৩ সেপ্টেম্বার ২০১৫ বৃহস্পতিবার। মিন্টুভাইয়ের বইয়ের দোকান বিদিততে দেখা হয়ে গেল গল্পকার ও ঔপন্যাসিক মামুন হুসাইনের সঙ্গে। সৌম্য, শান্ত, ধ্যানী। স্মার্ট। রুচিশীল। নাম বলে, — কবিতা লিখি, এই পরিচয় দেয়ার পর — অনেকক্ষণ কথা হলো। প্রিয় সাহিত্যিকের কথাগুলো শুনলাম। অনেককিছু জিজ্ঞেস করলাম। তার লেখালেখি, গদ্যভঙ্গির জটিলতা, তার সময়, পাদ্রী শিবপুর, কথা ইশারা ইত্যাদি নিয়ে। কিছু কথা ফেসবুকে টুকে রাখলাম। অনুমতি ছাড়াই। জানতে পারলে, মামুনভাই, ক্ষমা করবেন আশা করি। আর কিছু ভুলভাল হতে পারে। আবার শ্রুতিধর না হওয়ার দরুণ মূল বাক্যগুলো হয়তো তার মেজাজ হারিয়েছে। তারপরেও।
মামুন হুসাইনের কথাগুলো আমি যেভাবে যতটুকু মনে রাখতে পারলাম …
১। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য অনেককিছু করে। ঠিক তেমনি আপনিও হয়তো পড়তে ভালোবাসেন। অথবা কেউ হয়তো একটা বই ছুঁয়েও দেখে না। আমি এতে কোনো সমস্যা দেখি না। আমি শুধু বলতে চাই, এই-যে পড়ার বিষয়টারে অন্যভাবে ভ্যালু অ্যাড কইরেন না।
২। আমি যখন লিখতে শুরু করি, তখন ঐ ফিল্ডে (লেখার জায়গাটায়), দেয়ার ওয়াজ নোবডি। এখন তো দেখি অনেকেই ঐভাবে লেখে। হয়েছে কি, কে কীভাবে লিখছে, সূত্রটা কোত্থেকে এসেছে, এইটা কিন্তু খুব সহজেই টের পাওয়া যায়। তার মানে এই না যে, আমি কোনো বড় কাজ করে ফেলেছি। আমার কোনো কাজই হয়তো হয়নি।
৩। একবার হলো কি, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবলেন, মাংস পোড়ার গন্ধটা তাকে জানতে হবে। সে তখন একটা জ্বলন্ত কয়লা নিজের হাতে বা একটা-কোথাও চেপে ধরলেন। ঐ জায়গাটা পুড়তে লাগল। পোড়া মাংসের ঘ্রাণ তার নাকে আসতে লাগল। আসলে হলো কী, সাহিত্যটা-না এভাবেই করে যেতে হয়। জীবন দিয়ে আর-কী! মানিক কিন্তু পারতেন, পোড়া মাংসের ঘ্রাণ না নিয়েও কিন্তু লিখতে পারতেন। তো ঐরকম আর-কী। কি হলো, কেন লেখালেখি, এইসব ভেবে কী লাভ!
৪। বই হবে ব্রাহ্মণের মতো। ছাপা, বাঁধাই সহ সবকিছুতে একটা ব্যাপক বিষয় মনে হবে আর-কী। দেখেতে আরাম লাগবে। পড়তে ভাল্লাগবে। তারপর-না অন্যকিছু।
৫। এইটা কীভাবে যে হলো, একই সময়ে কয়েকজন ডাক্তার লিখতে শুরু করলেন। যদিও অন্যরা সেই অর্থে ডাক্তারিটা করেননি। (শাহাদুজ্জামান, কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জাকির তালুকদার প্রসঙ্গে)
৬। আসলে হয়েছে কি, ইলিয়াসভাই (আখতারুজ্জামান ইলিয়াস) মারা যাবার পর আমি আর কোথাও (কারো কাছে) সেভাবে যাইনি।
একটা লিঙ্ক : http://www.goodreads.com/book/show/25039288
৫ সেপ্টেম্বার ২০১৫
… …
- বাংলায় আজগুবি টিভিনাটক ও একটা প্রশ্ন || বিজয় আহমেদ - February 12, 2020
- মর্সিয়ায় আখমাতোভা || বিজয় আহমেদ - January 24, 2020
- ঢাকা জার্নাল || বিজয় আহমেদ - January 17, 2020
COMMENTS