কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ : দ্য শো ইজ ওভার || কাজল দাস

কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ : দ্য শো ইজ ওভার || কাজল দাস

আমার জীবনে ফুটবলের চেয়ে বড় কোনো এন্টার্টেইনমেন্ট আছে বলে আমি ফিল করি না। ইটস মোর দ্যন মাই লাইফ।

বাট দ্য গ্রেটেস্ট শো অব আর্থ ইজ ওভার।

দ্য নাইট অব ডিসমেয়, দ্য নাইট অব ফ্ল্যামবয়েন্সি, দ্য নাইট অব ডিস্ট্রেস, দ্য নাইট অব জয় অ্যান্ড দ্য নাইট অব গ্লোরি জাস্ট এভ্রিথিং কেইম টু অ্যান ইন্ড।

ইটস গৌজ টু রোজারিও। হোমটাউন অব গ্রেট লায়নেল মেসি। দে সেটেলড ডাউন দ্য মেসমেরাইজিং শো।

বিজয়ী দলের অনুভূতি উদ্দীপনা, উৎসাহ আর উল্লাস শিহরণজাগানিয়া।
পরাজিত দলের অনুভূতি বিষাদময়।

আর আমার মতো ফুটবলপ্রেমীরা বিবশ, নিথর আর স্তব্ধ হয়ে আছে।
উটের গ্রীবার মতো নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে আমার জানালায়।

দ্য শো ইজ ওভার।

২০২৬ পর্যন্ত আর এভাবে অপেক্ষা করে করে যাবার ইচ্ছা বা জোর পাচ্ছি না এইবার।
হোয়াই?
ভেতরের সেই জিল কী মরে গেল! জানি না, হয়তো।

সেই কৈশোর থেকে শুরু করে যৌবনের কত বিশুদ্ধ জল ব্যয় করেছি এই ফুটবলের পেছনে।

এ এক মহাজাগতিক প্রেম।
আমি আমার প্রেমিকাদের চেয়েও ফুটবল বেশি ভালোবাসতাম।

ক্লাবে রিয়াল মাদ্রিদ আর ন্যাশনালে সেলেকাওদের সাপোর্টার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর রোনালদিনহো গাউচোর আজীবন ফ্যান। কোনোদিন ফুটবল না ভালোবাসলেও ভালোবাসতাম ব্লাডি ম্যারাদোনাকে। কিন্তু আর্জেন্টিনা টানেনি আমারে। চারপাশে সবাই, পরিবারে সবাই আর্জেন্টাইন। আমি কেমনে দলছুট হলাম? সম্ভবত আমি জনপ্রিয়তাকে খুব অপছন্দ করি। মেসি খুব সুইট সুইট ব্যাপার এসবও টানেনি। আমি কিছুটা বুনো। ইনডমিটেবল।

ফুটবলের প্রতি এইসব অনুরাগ কীভাবে তৈরি হলো : এসব লিখতে গেলে মহা-আখ্যান হয়ে যাবে।

ফুটবল দেখলেই আমার শরীরে রক্তের সিম্ফনি ঢেউ খেলে যায়।
সেইসব দিনরাত্রি!
হলের রাত। পকেটে যত্ন করে শেষ সিগারেটটা বাঁচিয়ে রাখা কেবল খেলা শেষে ফুঁকবার জন্য শেষরাতে।

আমি দিন গুণে গুণে চার বছর পার করে দিতাম। কবে বিশ্বকাপ আসবে।
কী অস্ফুট উন্মাদনা!

এইবারের বিশ্বকাপে কতজনের সাথে আনন্দ বেদনা শেয়ার করেছি। সবই স্মৃতির তোরঙ্গে তুলে রাখলাম।

আই নিড অ্যা ব্রেইক।

নদীর পাড়ে বসবার মতো স্থির হতে চাই। নিজের দুই হাত নিজের কোলে নিয়ে বসতে চাই।


কাজল দাস রচনারাশি

COMMENTS

error: