মিলান কুন্ডেরা প্রথম পড়ি ১৯৮৬/’৮৭ সালের দিকে।
তখনও সোভিয়েত ছিল, ম্যাক্সিম গোর্কি, শলোখভ কিংবা নিকলাই অস্ত্রভস্কির মায়াবি দাপটের মধ্যে আমরা বেড়ে উঠছিলাম। প্রগতি কিংবা রাদুগার দোর্দণ্ড প্রতাপের মধ্যেও বরিস পাস্তেরনাক, সলজেনিৎসিন কিংবা মিলান কুন্ডেরা বাংলাভাষায় হাজির ছিলেন।
পাস্তেরনাকের ডক্টর জিভাগো, সলজেনিৎসিনের ফার্স্ট সার্কল এবং কুন্ডেরার দ্য জোক বাংলায় অনুদিত হয়েছিল ষাটের দশকেই (ফার্স্ট সার্কল মে বি কলকাতা থেকে)। আমাদের সমাজতন্ত্রের স্বপ্নে এসব বই ছিল কাবাব মে হাড্ডি। অবিশ্বাস নিয়ে পড়তাম। বড়রা নিষেধ করতেন, কিন্তু এদের দুর্দান্ত সাহিত্যিক ভ্যালু আমাদের পড়তে বাধ্য করত।
পরবর্তীতে বরিস পাস্তেরনাকের কবিতা এবং সলজেনিৎসিনের ক্যান্সার ওয়ার্ড পড়া হয়েছে। নব্বই দশকেই। তারপর তাদের আর পড়ি নাই।
কিন্তু কুন্ডেরা পড়া হয়েছে এই গতকালও। আর্ট অব নভেল বহুবার উল্টেপাল্টে পড়া। বুক অব লাফটার অ্যান্ড বুক অব ফরগেটিং, কিংবা ইমমর্টালিটি, অথবা আনবেয়ারেবল লাইটনেস অব বিইয়িং।
জীবনের বিভিন্ন ধাপে কুন্ডেরা হাতের কাছে ছিলেন। সর্বশেষ পড়ছিলাম প্রবন্ধের বই এনকাউন্টারস। কুন্ডেরার ননফিকশন সবসময়ই আমার কাছে মণিরত্নের মতো।
আর উপন্যাস? বিষাদ আর স্যাটায়ারকে এত নিবিড়ভাবে গুলে দিতে আর কাউকে দেখিনি।
সুমন রহমান রচনারাশি
দ্য আর্ট অব মিলান কুন্দেরা
- সহনশীলতা, সহানুভূতি ও মানবতা - December 7, 2023
- অনন্য নয়, অনেক || ইলিয়াস কমল - December 7, 2023
- দশকতামামি ১ / দশকভিত্তিক অর্জন ও স্বকীয়তা : বাংলাদেশের কবিতার অনুসন্ধান ও বিচারপ্রবণতা - December 6, 2023
COMMENTS