বাপ্পি অ্যান্ড দ্য ব্যান্ড

বাপ্পি অ্যান্ড দ্য ব্যান্ড

নেভার ক্যারেওকড মাইসেল্ফ বিফোর। বার্, ক্লাব, পাব্ প্রভৃতিতে এই ব্যাপারটা করা হয়ে থাকে। ট্র্যাডিশন্যালি এইটা ক্লাব, বার্ বা রেস্তোরাঁ কালচারে চালু খুব। এইটা নাইটক্লাবকেন্দ্রী বা ডিস্কোথেকগুলায় একটা ফর্ম অফ এন্টার্টেইনমেন্ট যেখানে ননমিউজিশিয়্যান লোকজন প্রি-রেকর্ডেড ব্যাকিং ট্র্যাকসের সহায় নিয়া ড্যান্সফ্লোর হইতে একটু আলাদা সাজসজ্জার একটা টাইনি স্পেইসে টুল টেনে বসে বা দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোন আঁকড়ে পপ্যুলার স্যং গেয়ে থাকে। এইটা আবার আজকাল স্টুডিয়োতে গান রেকর্ড করার ক্ষেত্রেও মিউজিশিয়্যানরা আকসার ব্যবহার করেন। এই ক্যারেওক টেক্নিক। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়াররা এই টেক্নিকটাকে বলেন এম্পটি ট্র্যাক, লিড ভোক্যাল সরিয়ে নিয়ে কেবল বাজনাটা রাখা হয় যেখানে। সিনেমায় প্লেব্যাকের সহায়তা নিয়ে যেমন অভিনেতারা গানের সঙ্গে ঠোঁট-মেলানো এক্সপ্রেশন দেন, ক্যারেওক ঠিক তেমনটি লিপ্সিং নয়। এইটা বরং একটা বেশ ইন্টারেক্টিভ ওয়ে অফ এন্টার্টেইনমেন্ট। আজকাল তো ঘরে ঘরে একটু গানশৌখিন কণ্ঠানুশীলনকারীরা ক্যারেওক ডিভাইস্ দিয়া আসর মাতিয়ে তোলেন ঘরোয়া পার্টিগুলায়। দামেও খুবই সস্তা, নাগালের আওতায় মিডলক্লাসের, ক্যারেওক করা পার্টিপিওপল আজকাল খুঁজতে হয় না। ফ্যামিলিতে কেউ-না-কেউ ট্র্যাক বাজিয়ে গেয়ে ফেসবুকে-ইউটিউবে শেয়ার করে হামেশা।


আই নেভার ক্যারেওকড মাইসেল্ফ বিফোর। দিস্ ইজ ভ্যেরি উইয়্যার্ড। অ্যানিওয়ে। লেট মি গেট আপ দ্যায়ার। লেট’স্ গ্য!
— হেই বাপ্পি, ডু য়্যু হ্যাভ অ্যা গিটার? য়্যু গট অ্যা গিটার ব্যাক দ্যায়ার? ব্রিং ইট আউট ফর মি প্লিজ্। অল রাইট।
লেট’স্ ডু দিস্, রাইট? ওক্যে, আ’য়্যাম গনা সিং দ্যান। হেয়ার উই গো … ইফ য়্যু গাইজ ওয়ানা সিং অ্যালং …

আ’য়্যাভ বিন গান ফর সো লং নাও / চেইজিং এভরিথিং দ্যাট’স্ নিউ / আ’য়্যাভ ফর্গটন হাও আই গট হিয়ার / বাট আ’য়্যাভ নট ফর্গটন য়্যু / উই ওয়্যার জাস্ট চিল্ড্রেন / বাট আওয়ার আইজ ওপেন্ড / অ্যান্ড য়্যু ওয়্যার অল দ্যাট আই ক্যুড সি / থ্রু দ্য গ্যুড টাইমস্ অ্যান্ড দ্য ব্যাড / য়্যু ওয়্যার দ্য বেস্ট আ’য়্যাভ নেভার হ্যাড / দ্য ওনলি চান্স আই উইশ আই হ্যাড টু টেইক / বাট দ্যায়ার ওয়াজ নো রাইটিং অন দ্য ওয়াল / নো ওয়ার্নিং সাইনস্ টু ফলো / আই নো নাও অ্যান্ড আই জাস্ট ক্যান’ট ফর্গেট / য়্যু’য়ার দ্য বেস্ট আই নেভার হ্যাড / (নান্নানা নান্না … নান্নানা নানানান্না …) / ইন দিজ মোটেল / ওয়েল পাস্ট মিডনাইট / হোয়েন আ’য়্যাম ব্লুয়ার দ্যান দ্য ব্রুজ / য়্যু কাম ড্রিফ্টিং-ইন থ্রু দ্য হাফ-লাইট / ইন য়্যুর ফানি ইয়েলো শ্যুজ / অ্যান্ড আই হোপ দ্যাট’স্ য়্যু স্ট্যান্ডিং অ্যাট মাই ডোরওয়ে / দ্যাট’স্ দ্য স্ক্রেচিং অফ য়্যুর কিই / অ্যান্ড আই হোপ দিস্ স্যং আ’য়্যাম সিঙিঙ্ / সামডে ফাইন্ডস্ য়্যু হোয়েরেভার য়্যু মেই বি / ওওও … / থ্রু দ্য গ্যুড টাইমস্ অ্যান্ড দ্য ব্যাড / য়্যু ওয়্যার দ্য বেস্ট আ’য়্যাভ নেভার হ্যাড / য়্যু’য়ার দ্য বেস্ট আই নেভার হ্যাড …


ম্যুভিটার নাম টেন ইয়ার্স । ২০১১ ম্যুভি। রোম্যান্টিক কমেডি। মিষ্টি বন্ধুত্ব ও পলকা বিষাদের ছবি। রিক্যাপ অ্যান্ড রিকালেকশান অফ স্কুলডেইজ আফটার অ্যা ডিস্ট্যান্স অফ ওয়ান কামপ্লিট ডিকেইড। দশবছরে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে বেশিরভাগেরই বিয়ে-থা করেও সারা, কেউ কেউ আটকে-পড়া ঘাটের মড়া। রোজারিও ডোসান রয়েছেন। ট্র্যান্স  ম্যুভিতে দারুণ পার্ফর্ম করেছিলেন। কৃষ্ণকনক বললে কমই বলা হয়। টেরিফিক টু ল্যুক অ্যাট। আর আছেন কেইট ম্যারা, ইদানীং যারে দেখে বেশ কয়েক ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোর-দ্যান স্টানিং মনে হলো। যদিও অতি সাধারণ ও শাই অ্যাপিয়ারেন্স। শ্যুটার  সিনেমায় দেখে মারাত্মক সিডাক্টিভ মনে হয়েছিল কেন জানি না। আর এরই সঙ্গে জুড়ি আমাদের এই গানের রিয়্যাল গায়ক এবং এই ম্যুভির ওয়ান-অ্যামাং-দি-অ্যাক্টর্স  উভয়ে-এক-ও-অভিন্ন-ব্যক্তি অস্কার ইজ্যাক। গানটা শ্রুতিমধুর। কয়েকটা গান রয়েছে এই রিয়্যুনিয়ন ম্যুভিতে। দেখতে খারাপ লাগে না মাঝে মাঝে কেবল এই গানটা আর গানটার গায়কের অলমোস্ট-রিয়্যাল-লাইফ প্রোফেশানের একটা পোর্ট্রেইয়াল পেয়ে।


এই কিসিমের ম্যুভি ইংরেজি সিনেমাল্যান্ডে পাওয়া যায় হাজারেবিজারে। ক্যাম্পাসম্যুভি, কলেজম্যুভি, স্কুলম্যুভি ইত্যাদি বিচিত্র ক্যাটাগরি। ভীষণ চপলতা, চাঞ্চল্য, গতি, টিঙটিঙে প্রেম আর অ্যাডাল্টারি দিয়া আবিল থাকে সেসবের বেশিরভাগই। ইম্যাচিয়্যুর কাণ্ডকারখানায় ভর্তি। কিন্তু এই সিনেমাটা তা নয়। এইটা আশ্চর্য পরিপক্ব। ম্যাচিয়্যুর। রিয়্যুনিয়ন ম্যুভিই, কিন্তু কমন এররগুলা বা নির্মম মনোটনিগুলা ছাড়া ভালো। সুন্দর। মনোরম। ‘বড় বেদনার মতো’। কতজনের সঙ্গে কতজনের গাঁটছড়া হবার কথা ছিল, হতে পারত, হয় নাই। ‘একটুর জন্য কতকিছু হয়নি’। জীবনের মতোই নির্যুক্তি নিরুত্তর এই হওয়া/না-হওয়াগুলা।


আমি আর বাপ্পি মিলে একটা ব্যান্ড করতে চেয়েছিলাম। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের দিনগুলায় ব্যান্ডপ্ল্যান ড্রাফটও করে ফেলেছিলাম। শুধু মেম্বার হান্ট প্রক্রিয়া ইনিশিয়েইট করতে দেরি হচ্ছিল। তখন তো বাংলাদেশ তুমুল সময় পার করছিল ব্যান্ডসাংগীতিক ইউফোরিয়ায়। আল্টিমেইটলি কিছুই হয় নাই। কিন্তু ‘ক্ষয়ে-যাওয়া আশা তবু পুরোটা ফুরোয়নি’। নিশ্চয় জীবন ফিরবে একদিন, মনে হয়, আবারও।


ঔ গাইজ! নো বিগ হ্যান্ড অ্যাট-অল! ওয়েল দ্যান, ইট’স্ ও’রাইট। বাট বাপ্পি শ্যুড’ভ স্যে সামথিং হাও আই প্লেইড দি গিটার। নো? ওয়েল, লেট মি হ্যাং অন অ্যান্ড বেটার নেক্সট টাইম। থ্যাঙ্কস্ গাইজ। থ্যাঙ্কয়্যু।

লেখা / জাহেদ আহমদ ২০১৪

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you