মঞ্চে উঠলেই আমি এতটা নার্ভাস হয়ে পড়ি যে বকবক করা ছাড়া নার্ভাসনেস ঢাকবার কোনো উপায়ও পাই না। আমি চেষ্টা করি বকবক না করতে। নিজের মগজেরে বলি, মুখে কথা পাঠায়ো না ভাই! কিন্তু যত মগজেরে সিগ্ন্যাল দেই তত বেশি নার্ভাস হতে থাকি এবং হতে হতে একসময় দাদিমার মতো শুরু করে দেই। তখন আমার চউখের দিকে তাকায়া আপনিও বুঝতে পারবেন যে সেখানে কেবল ভয়ের ছায়া। আর-কিছুক্ষণের ভিতরেই যে নিজের পার্ফোর্ম্যান্স কীভাবে ডেলিভার করব সেই চিন্তায় কিনারা পাই না।
অডিয়েন্সভয় আমার ভীষণরকম। অ্যাম্সটার্ডমে একটা শোয়ের কথা মনে আছে, এতই নার্ভাস হয়ে গেসলাম আমি যে শেষমেশ ফায়ার-এক্সিট দিয়া ভাগসি। দুই-দুইবার তো শো ক্যান্সেল করে দিতে হয়। একবার ব্রাসেল্সে। কার উপর যেন বমি করে দিয়েছিলাম এবং এরপর ধরাধরি করে ব্যাকস্টেজে এনে ক্যান্সেল ডিক্লেয়ার করতে হয়েছিল শো। কোনোমতে স্টেজে উঠে চালায়া নিতেসি আর-কি, কীভাবে যে পারতেসি আল্লা জানেন। সংগীতসফর জিনিশটা আমি নিতে পারি না গায়েগতরে। অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হয় আমার মধ্যে প্রচুর।
আমার জীবন তো ভাই এমনিতেই ড্রামায় ভরা। এর মধ্যে চেহারা নিয়া ড্রামা করার টাইম আমার নাই। কিসের মতো বা কার মতো দেখতে আমি, থিন না থলথলে, এইগুলা নিয়া আমার ছিঁচকান্দুনির নাটক করা সাজে না।
আমি কোনো নির্দিষ্ট বক্তব্য লইয়া গান লিখি না যেমন তেমনি কোনো রহস্যদর্শন নিয়াও না। আমি লিখি প্রেম নিয়া, ভালোবাসা নিয়া, আর দুনিয়ার বেবাকতেই জানে হৃদয় ভাঙলে বা দিলে দাগা লাগলে কেমন অনুভূতি হয়।
আমি বলতে পারেন জনি ক্যাশের মতো। শুধু কালো পোশাকটাই পরি আমি। মোস্টলি।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- ছোট ডুবুরি, পাতি সরালি, চড়াই ও না-পাখি || জ্যোতি পোদ্দার - July 30, 2025
- জীবনের ঋতুসমুদয় || শিলামনি - July 20, 2025
- কেইটের কামাই - July 12, 2025
COMMENTS