অ্যাডিউ গদার || আহমদ মিনহাজ

অ্যাডিউ গদার || আহমদ মিনহাজ

একটা ছোটকাগজের সম্পাদক তাদের আসন্ন বইমেলায় প্রকাশিতব্য সংখ্যার জন্য জঁ-লুক গদারের ওপর লেখা দাবি করে বসেছিলেন। ওদিকে গদার স্বেচ্ছাপ্রস্থান নিলেন দেখে অনেক কথাই মনে পড়ছিল। একটা লম্বা সময় ধরে তাঁর ছবি দেখার স্মৃতি মনে ভেসে উঠছিল বারবার। জীবনের অন্তপর্বে ভিডিয়োপ্রজেক্টের অধীন করেছিলেন নিজেকে। ফিকশনকে তথ্যচিত্রের আদলে উপস্থাপন করার ভাবনা থেকে একের পর এক Essay Movie তৈরির নেশায় পেয়ে বসেছিল তাঁকে। অন্তপর্বের এই গদার এক নতুন খেয়ালি সম্রাট! সিনেমার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকতেই যেন-বা ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে সিনেমা বানানোর সকল রীতিনিয়মকে ব্যাকরণভাঙা নৈরাজ্যের সহগ করেছিলেন। ছবিগুলো একাধিক কারণে আমার প্রিয় ও পছন্দের। এইসব নিয়ে লিখব-লিখব করে আর হয়ে ওঠেনি। আম্মাও অসুস্থ হয়ে পড়লেন ওদিকে। তো এইসব চাপটাপ ও উদ্বেগ মিলিয়ে আর লিখতে পারিনি।

যা-ই হোক, এর মধ্যে সেই লিটলম্যাগের সম্পাদক তাগাদা দিচ্ছেন দেখে অবশেষে লিখতে বসা। গেল তিন হপ্তা ধরে গদার নিয়েই ডুবে ছিলাম। জঁলুক গদার : তাঁকে কি আমাদের ভাবা যায়? — এই শিরোনামটা লিখতে বসার আগেই মাথায় এসেছিল। তো এই জিজ্ঞাসার তদন্তে নেমে যত ভাবনা মাথায় এসেছে তার সব জড়ো করে খসড়াটি মাত্র শেষ করেছি। আজকালের মধ্যে সম্পাদক মহাশয়কে পাঠাব। আমার খাসলতের দোষে ঢাউস আকৃতির রচনা যদি উনার পোষায় তবে পরিমার্জনায় হাত দেবো।

গদার বিষয়ক খসড়ার পরিশিষ্টে অমর্ত্য ভট্টাচার্যের প্রায় সদ্য অবমুক্ত ছবি অ্যাডিউ গদারকে প্রাসঙ্গিক করতে হয়েছিল। ছবিটি — অ্যাডিউ গদার  —যদি এখনো দেখে না থাকেন তবে দেখার অনুরোধ থাকল। ইন্টার্নেটে টোরেন্ট ও একাধিক স্ট্রিমিং সাইটে ওটা সুলভ আছে।


তাৎক্ষণিকামালা
আহমদ মিনহাজ রচনারাশি

COMMENTS

error: