তুতু কথামালা (৩)

তুতু কথামালা (৩)

প্রত্যেকটা নতুন অভিজ্ঞতার পরে, আপনে আরেকটু বড় হয়ে ওঠেন, কিছু-একটায় ঋদ্ধ হয়ে ওঠেন আপনে, এবং আপনে জানেন না বাকি ছয়মাসে এক্সপেরিয়েন্স আপনারে কই নিয়া যাবে, কেমনটা চাওয়া আপনার জিন্দেগিরে জড়ায়া ধরবে, কেমন চাহিদা কি জিনিশপাতির দরকার হবে আপনার জীবনে।

একই জিনিশ আমি দ্বিতীয়বার পাইতে চাই না, একই জিনিশ আমি দ্বিতীয়বার করতে চাই না, সার্প্রাইজ ভাল্লাগে আমার।

একজন-কেউ খুব ভালো পয়সাকড়ির একটা কাজ আমারে পাইয়ে দিক, মনে হয় না আমি ঠিক এমনটা চাই। মানে, পয়সা চাই ঠিকই, কাজও চাই, কিন্তু একজন-কেউ চাই না। আমি বিশ্বাস করি যত বেশি বেশি মানুষের সঙ্গে পয়পরিচয় হবে ততই আমার নিয়তি বা ভাগ্য প্রসারিত হবে। এবং কিছু জিনিশ তো আছে এমন যা ঘটবেই, কিছু দিয়া কেউই তারে আটকাইতে পারবে না।

ফ্রান্সে একটা আইন আছে যেইটা জার্নালিস্টদেরে অ্যালাউ করে না পার্মিশন ছাড়া কারো ছবি নিউজপেপারে প্রকাশ করতে। এর ফলে পাপারাৎসিরা আমার ছবি তুলতে পারে কিন্তু ছাপতে পারে না। ছাপতে গেলে অ্যাপ্রুভ্যাল নিতে হবে আমার। যদি না-জিগায়া ছাপে তাইলেই মজা। আমি দিমু ঠুকে মামলা। ফ্রান্সে এই সুবিধাটা পায় সিনেসেলিব্রেটি সবাই। আমি তো হামেশা পেপারগুলারে মামলায় লটকাই।

অ্যামেরিক্যান ফিল্মে একবার অভিনয় করে লোক হাসাইতে আমার খারাপ লাগবে না। কিন্তু আমি নিশ্চয় চাইব না অ্যামেরিক্যান মশকরা ম্যুভির সিরিয়্যালে অ্যাক্টিং করতে।

হলিউডের লগে আমার কোনোদিনই রিলেশনশিপ গইড়া ওঠে নাই। হলিউডে কাজ করার কোনো ডিজায়ার কোনোদিনই ছিল না আমার।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

বিদিতা গোমেজ

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you