কার্ল স্যান্ডবার্গ ও বাতাসের কলকলানি || বিজয় আহমেদ

কার্ল স্যান্ডবার্গ ও বাতাসের কলকলানি || বিজয় আহমেদ

শেয়ার করুন:

 

*
দুইটা জলের ফোঁটা হঠাৎ টের পায়
তাহাদের দেহের খাঁজের বিভিন্ন প্রান্তে
রামধেনু ফুটিয়াছে।
তাহারা বিস্মিত হইল। চকিত ঔজ্জ্বল্যে জ্বলিয়া উঠিয়া

বলিল, “এই গরিব জল-জন্মের সফর ধন্য হইল,
৩০ সেকেন্ডের রামধেনুর লাগিয়া;”

*
জলের ফোঁটা
কার্ল স্যান্ডবার্গ
পুস্তক : উইন্ড সং (বাতাসের কলকলানি)
অনুবাদ : বিজয় আহমেদ

লাইব্রেরির কার্ডে ইস্যুডেইট লেখা ১৯৭৪। ২০২৪ সালে উক্ত পুস্তক আমার কাছে ১ ডলারে বিক্রি হইবার সময়েও কাউকে ইস্যু করা হয় নাই। বোঝা যায়, কবিতার পাঠিকা খুবই সামান্য ইহজগতে কি অতিকায় আমেরিকায়। বোঝেন ব্যাপারটা ১৯৭৪ হইতে ২০২৪ পর্যন্ত একজন পাঠকও এই স্বর্ণখনির কেশখানা স্পর্শ করেন নাই। প্রকাশকাল ১৯৬০ মনে হইল সূচিপত্র ঘাঁটিবার পরে।

গুগল জানাইল, কার্ল স্যান্ডবার্গ এম্রিকার ১৮ শতকের (জন্ম : ১৮৭৮) কবি, জন্ম ইলিনয়ে। আর মৃত্যু ১৯৬৭ সালে নর্থ ক্যারোলিনায়। এম্রিকায় বিখ্যাত ভদ্রলোক। তিনটা পুলিৎজার পাইছিলেন। আব্রাহাম লিংকনের জীবনীও লেখছিলেন। তাহার সবচে বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম ‘শিকাগোর কবিতা’। উহা প্রকাশিত জয় ১৯১৬ সালে।

দেখিলাম ভদ্রলোক রবিঠাকুরের চেয়েও প্রায় ১৭ বছরের ছোট হইলেও, বাঁচিয়াছিলেন অনেকদিন। ফ্রি ভার্সে কবিতা লিখিতেন। আজিকের ছন্দ না জানা না মানা তরুণ বাংলাভাষী কবিদের মতন। ফলত আমি উনার ‘বাতাসের কলকলানি’ (উইন্ড সং) সংকলনখানা উল্টিয়াপাল্টিয়া অতীব আনন্দ পাইয়াছি।

আরকানসাসে শীত যাই যাই করিতেছে গত দুই দিন ধরিয়া। এক প্রায় বিকেলের আলসে লাগা মুহূর্তে বোধোদয় হইলে যে, স্যান্ডবার্গবাবুকে একটু বাংলায়ন করি। তাই এই প্রচেষ্টা। কবিতার চেয়ে ভূমিকা বড়। হইতেই পারে কেননা কোনো কোনো মহৎ কবিতার একটি মাত্র লাইনের লাগিয়ে যেখানে লক্ষ পৃষ্ঠা লেখা হইতে পারে, সেখানে ১০/১২ লাইনের ভূমিকারে কোনোভাবেই বৃহৎ বলা উচিত হইবে বলিয়া মনে হয় না।

সময় সুযোগ পাইলে কার্ল স্যান্ডবার্গের কবিতা অনুবাদ করিবো ভাবিয়াছি। কেননা উনার কবিতা আমাকে টানিয়াছে। ঋজু, রসযুক্ত, টানটান তাহার কবিতার ভুবন। তাহাকে এই জগৎ হইতে সালাম জানায়া রাখলাম।

ফেব্রুয়ারি ২০২৫


বিজয় আহমেদ রচনারাশি

বিজয় আহমেদ
শেয়ার করুন:

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you