বহুদিন পর রাত জেগে ছবি দেখলাম। কিছুটা আগ্রহ আর কৌতূহল নিয়া। ছবিটা হইলো ভুটানের সিনেমা ‘লুনানা’। এই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ছবি হিসেবে অস্কারের চূড়ান্ত শর্টলিস্টের সিনেমায় স্থান পাওয়া ছবি।
আগ্রহ হওয়াটাই স্বাভাবিক। ছবিটার বেশ কিছু অর্জনও উল্লেখ করার মতো। ছবি দেখতে বসে আবিষ্কার করা গেল একদমই পরিচিত গল্প। এবং উপসংহারও পরিচিত।
এই যে পরিচিত গল্প ও উপসংহারও যার অনুমেয় তেমন ছবিও যে অস্কারের সেরার জন্য মনোনীত হয় তা আসলে কেন, এইটা ভাবনার। সেই দিকে যাব না, আমি বলব ছবিটার ভিস্যুয়াল নিয়া।
কী আরাম ছবিটার ভিস্যুয়ালে! ল্যান্ডস্ক্যাপ বলি আর কম্পোজিশনই বলি চমৎকার। দেখার সময় আপনার ভেতর কোনও চাপ তৈরি করবে না। ভিস্যুয়ালের এই আরাম সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, কিন্তু এইটাও যে জরুরি তা তো বলতেই হয় না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি ‘লুনানা’ দেখে মুগ্ধ নই, তবে অসন্তুষ্টও না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি তো দূরের কথা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের এত নির্মাতা ও সুব্যবস্থা থাকার পরও যেখানে এই সেরার তালিকায় জায়গা পায় না, সেখানে ভুটান তো পারছে — এইটা সিগ্নিফিক্যান্ট। আমি বরং এইটারেই উপভোগ করি।
ছবিটা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সৈকত দে-কে ভালোবাসা।
—ইলিয়াস কমল ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
- সিনেমার চিরকুট ২০ - May 20, 2025
- সিনেমার চিরকুট ১৯ - May 18, 2025
- সিনেমার চিরকুট ১৮ - May 7, 2025
COMMENTS