ক্রাচের কর্নেল : একটি নির্মোহ সাহসী প্রযোজনা  || সিরাজুদ দাহার খান

ক্রাচের কর্নেল : একটি নির্মোহ সাহসী প্রযোজনা  || সিরাজুদ দাহার খান

[সংক্ষিপ্ত রিভিউ লেখার বিশেষ সামর্থ্য লাগে, যা আমার নেই। তাই রিভিউটা দীর্ঘ হয়ে গেল। এজন্য যারা পড়তে চাইবেন না, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!]

“নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে বড় কোনো সম্পদ আর নেই।” — কর্নেল তাহের

দুঃসাহসীও বলা যায়, নির্মোহ তো বটেই! চক্রান্ত ও মিথ্যার ওপর দাঁড়ানো এবং প্রতারক রাজনীতিবিদদের সৃষ্ট বিতর্কিত ইতিহাসের কানাগলির অন্দরমহল থেকে রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতাদের স্বরূপ উন্মোচনের এক বিশেষ প্রয়াস এই নিরাসক্ত নাট্যভাবনা — ক্রাচের কর্নেল। এক তমসাচ্ছন্ন অসহায় অনিশ্চিত অস্থির সময়ের গল্প; রহস্য উন্মোচনে প্রয়াসী একটি কুশলী ও চ্যালেঞ্জিং উপস্থাপনা। সত্য-মিথ্যার দোলাচলে দুলতে-থাকা সূক্ষ্ম সুতোর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার উদ্ভাবনীমূলক বয়ান এই দৃশ্যায়ন।

জনযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের রক্তপ্রবাহ থেকে ভূমিষ্ঠ স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নের ভঙ্গুর, জীর্ণদশা ও অরাজক সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উঠে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতি আকস্মিকভাবে ঘটে যায় ১৫ আগস্টের শোকাবহ আঘাত। সেই মর্মান্তিক বেদনার্ত হত্যাকাণ্ডের পরপর ঘটে-যাওয়া আরও কয়েকটি অভ্যূত্থান, পাল্টা অভ্যূত্থানের রহস্য ও মর্মমূল ভেদ করার বস্তুনিষ্ঠ সার্জারি বটতলার এই সৃষ্টিশীল প্রযোজনা — ক্রাচের কর্নেল। গত ১৬ নভেম্বর ২০১৯ এটি উপভোগ করার সুযোগ হয় আমার এবং আমাদের; — বটতলার আন্তর্জাতিক রঙ্গমেলার উদ্বোধনী নাটক।

উপস্থাপনার অভিনবত্ব
পুরো প্রযোজনার উপস্থাপনায় অভিনবত্ব দর্শকদেরকে আবিষ্ট করে ফেলে প্রথম থেকেই। প্রথম থেকেই এর আঙ্গিক দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করে। একটি নাটকের মহড়ার আঙ্গিকে পুরো ঘটনার দৃশ্যায়ন করা হয়; পরতে পরতে যার জড়ানো ছিল ঘটনার বর্ণনা ও আকস্মিকতার অভিঘাত। কথাকার শাহাদুজ্জামানের কথামালা থেকে আলো-অন্ধকার ইতিহাসের সংবেদনশীল সূত্রগুলোকে একসুতোয় গাঁথার জন্য এর নাট্যভাবনা এবং তার বয়নভঙ্গি ছিল বৈচিত্র্যময়। চমৎকার কৃৎকৌশল হিসেবেই প্রতীয়মান হয় তা দর্শকদের মন ও মননে, চিন্তায় ও বেদনায়। একটার পর একটা ঘটনা ঘটে যেতে থাকে মঞ্চে সাবলীল ও সংবেদনশীল অভিব্যক্তিতে। নেপথ্যের নির্দেশকের ছায়ামুক্ত হয়ে মঞ্চের ভেতরে আরেক নির্দেশক হাতে নেন নাটকের সঞ্চালনার; ঘটনা ও মহড়া টেনে নিয়ে যান সাবালীল ও অকৃত্রিম কুশলতায়। এই মহড়ার আবরণে নাট্যকার ও নির্দেশক সুকৌশলে বর্ণনা করে যান অতি সংবেদনশীল এক দেশপ্রেমিকের জীবনাখ্যান; তার দ্রোহ, রাজনীতি, প্রেম, রোমান্স, যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত এবং তাঁর প্রতি ঘটে-যাওয়া এক বিশ্বাসঘাতকতার স্মারকচিহ্ন।

মঞ্চে মহড়ার আড়ালে কলাকুশলীদের মধ্যে কথোপকথনে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম রাজনৈতিক পরিস্থিতির চাল ও জালিয়াতির ব্যাখ্যা এবং মুখোশ উন্মোচন করা হয় সুকৌশলে। অতি সংবেদনশীল ইস্যু ও বিতর্কের বিশ্লেষণ উঠে আসতে থাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে; নির্মোহ বয়ানে।

অ্যালিয়েনেশন ইফেক্ট
কাল নাটকের টেকনিক্যাল শো। আর আজকে তার শেষ মহড়ায় এসে মূল চরিত্র বা নায়ককে খুঁজে না পেয়ে মঞ্চের নির্দেশক উদ্বিগ্ন হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেন, যা প্রকারান্তরে নাট্যআখ্যানকে দর্শকদের কাছে স্পষ্ট করার একটা যুৎসই কৌশল হিসেবেই চয়ন করা হয়েছে। এ আঙ্গিকটি বেছে নেয়ায় অ্যালিয়েনেশন ইফেক্টের প্রয়োগ ছিল দ্বৈতপ্রকরণে। একটি অতি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ঘটনার উপস্থাপনায় এটি সূক্ষ্মভাবে প্রযুক্ত হয়েছে। প্রথমত, এতে করে, কলাকুশলীদের নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ও তর্কবিতর্কের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা সাধারণত যে-কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনুশীলিত নাট্যদলের মধ্যে ঘটে থাকে।

তাহের-উপাখ্যানের নানা বাঁকে নানা ধরনের নায়ক-খলনায়কের সাথে সম্মিলন হয়েছে তাঁর : তাঁকে করতে হয়েছে বেশকিছু যোগবিয়োগ-জ্যামিতির কাজ। মহড়ার ছায়ায় কলাকুশলীরা তাঁর স্বরূপ উন্মোচনে সাবলীল ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টা নিয়েছেন। এবং তা অনেকাংশেই সফল হয়েছে। বর্তমান অস্থির সময়ে এই কৌশল ছাড়া আর কোনোভাবে ৭১ ও ৭৫ এবং তারপরে ঘটনাবলির বয়ান ও ব্যাখ্যা তুলে ধরার জন্য অন্য কোনো যুৎসই উপায় হতে পারত কি না সেটা নাট্যনির্মাতারা পুনর্ভাবনা করতে পারেন। তবে এ প্রযোজনায় এটি ছিল একটি মোক্ষম অস্ত্র। তাছাড়া কলাকুশলীদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য, ব্যাখ্যা ও প্রশ্ন এবং কিছু সেন্সিটিভ প্রশ্ন নাটককে করেছে আরও জীবন্ত ও বস্তুনিষ্ঠ। বঙ্গবন্ধু, জিয়া, তাহের, সিরাজুল আলম খান, রব — এসব চরিত্রের রাজনৈতিক দর্শন, প্রজ্ঞা, কূটচাল, খুব সূক্ষ্মভাবে সামনে নিয়ে আসার কৌশলটি ছিল চমৎকার। নাট্যাখ্যানে বিধৃত ইতিহাসের জটিল প্রশ্নগুলো নিয়ে একটি দলের ভেতরে দ্বান্দ্বিকতাও ফুটে উঠেছে শিল্পসম্মত উাপায়ে।

চরিত্রগুলো নিজের জীবনের বয়ান দিতে দিতে চরিত্রের ভেতরে প্রবেশ করেছে নিপুণ কুশলতা, দর্শকদেরকে কাহিনির মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে অতীতের ঘোরের ভেতর থেকে মাঝে মাঝেই ফিরিয়ে এনেছে বর্তমান বাস্তবতায়। এভাবে দু-ধরনের অ্যালিয়েনেশন ইফেক্ট সুচারুভাবে সমন্বিত ও প্রযুক্ত হয়েছে।

নির্দেশনা, অভিনয়, কোরিওগ্রাফি টিমওয়ার্ক
বেশিরভাগ তরুণ কুশলী পরিবেষ্টিত এই নাট্যপ্রযোজনায় অভিনয়, কোরিওগ্রাফি ও পারফরম্যান্স ছিল অভিভূত হওয়ার মতো। বিশেষ করে পারস্পরিক বোঝাপড়া, দ্রুতগতির ম্যূভমেন্ট ও সংলাপ প্রক্ষেপণের ক্ষেত্রে কুশীলবদের স্বচ্ছন্দ বিচরণ দর্শকদেরকে বিমোহিত ও রোমাঞ্ছিত করেছে। দ্রুতলয়ে সাবলীল ভয়েস মড্যুলেশন চমৎকৃত করেছে সবাইকে। সাদামাটা মঞ্চসজ্জায় স্বল্প প্রপ্সে বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনায় মুন্সিয়ানার পরিচয় সঞ্চালন করেছেন নির্দেশক এবং তার সহযোদ্ধাগণ। সুচিন্তিত কোরিওগ্রাফির বদৌলতে অভিনয় ও পরিবেশনা হয়ে উঠেছে অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও টানটান; দর্শকদের কাছে যেটা সহজে উপভোগ্য ছিল। বাস্তবে এ কাজটি করতে নির্দেশক, কোরিওগ্রাফার ও শিল্পীদেরকে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে অনেক বলেই ধারণা করা যায়। এককথায় পুরো টিম ওয়ার্কটিই ছিল এ নাটকের প্রাণ।

সবচেয়ে কঠিন কাজটি করেছেন অভিনয়কুশলীবেরা। তাহেরের জীবনের খণ্ড খণ্ড ও বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে জোড়া দিয়ে নাট্যকার ও নির্দেশক যে পূর্ণাঙ্গ তাহেরকে মেলে ধরতে চেয়েছেন, সেক্ষেত্রে অভিনয়কর্মীদের পারঙ্গমতা প্রশংসনীয়। ছোট ছোট সংলাপ ও টুকরো টুকরো ঘটনার মধ্যে বাগভঙ্গি ও শারীরিক মুদ্রায় নিজেদেরকে প্রস্ফুটিত করা চাট্টিখানি কাজ নয়, এ ব্যাপারে আশা করি কেউই দ্বিমত করবেন না। এ কাজটি করার ক্ষেত্রে প্রতিটি কুশলীই পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছেন। পুরো নাটকের আলো তাহেরের ওপরে পড়লেও এ প্রযোজনায় কেউই একক আধিপত্য বিস্তার করেননি, যেটা চরিত্রবিন্যাসের দিক থেকে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে স্বীকার করতেই হয়।

কয়েকটি ঝলক
মাস্টারদার সহযোগীর ইতিহাস বর্ণনার মহূর্তটি জ্বলজ্বল করেছে দর্শকদের মানসপটে। আবার মাঝপথে থেমে গিয়ে তার আবার অভিনয় শুরু করার দৃশ্যপটও চমৎকৃত করেছে সবাইকে। অতি সংক্ষেপে লুৎফা ও তাহেরের রোমান্টিকতা ও প্রেম ছিল হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো, যার রেশ পরবর্তীতে পুরো নাটকটিকে টেনে নিয়ে গেছে অনেকদূর। নবজাতক জয়াকে নিয়ে শনিরহাওর পাড়ি দেয়ার দৃশ্য এবং ভয়বহতা চোখে লেগে আছে। যুদ্ধে বিজয়লাভের পরও তাহেরের পা হারানোর দৃশ্যটি মর্মে নাড়া দিয়ে গেছে। মাত্র দুটি সংলাপে বঙ্গবন্ধুর শেষ দিন ও রাতের বর্ণনায় স্তব্ধতা নেমে এসছে দর্শকহৃদয়ে। জিয়ার সংক্ষিপ্ত উপস্থিতিও তাকে চিনিয়ে দিয়েছে তাঁর স্বরূপে। তাঁর রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও নির্দয় কূটকৌশল ফুটে উঠেছে ছোট ছোট দু-একটি ঘটনায়। খোন্দকার মোশতাকের অতি সংক্ষিপ্ত আগমন ও প্রস্থান, চলনবলন, কাঁচুমাচু ভণিতা তার সামগ্রিক খল চরিত্রকে দর্শকহৃদয়ে গেঁথে দিয়েছে (তার একটি নিক্ষিপ্ত জুতা প্রাপ্য!)। উপহার হিসেবে দামি গাড়ি পেয়েও তা ফিরিয়ে দেয়ার ঠাণ্ডা শীতল দৃঢ় সংলাপ, “হাই ডেয়ার ইউ ছে ছো!’ — প্রক্ষেপণটি তাহেরের উঁচুমানের ব্যক্তিত্বকে উদ্ভাসিত করেছে মুহূর্তের মধ্যে।

এ-রকম বেশকিছু নাট্যমুহূর্ত দর্শকের মানসপটে দীর্ঘদিন জাগরুক ও ভাস্বর হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।

আলো, পটভূমি, সংগীত, শব্দ, কোরিওগ্রফি, নির্দেশনা, অভিনয়, টিমওয়ার্ক — সব মিলিয়ে এ এক অনবদ্য প্রযোজনা। সাহসী তো বটেই; দুঃসাহসীও বটে! এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আখ্যানের সাদাকালো-আলোময় অধ্যায়ের এক অনবদ্য উপস্থাপনা — ক্রাচের কর্নেল; উদ্যমী এবং তারুণ্যে দেদীপ্যমান বটতলার কর্নেল।

তবুও কিছু বিষয়
নাটকের সূচনাতে প্যারেডরত ছন্দময় সৈনিকদের দৃপ্ত পদভঙ্গি ও ঝঙ্কার অত্যন্ত ব্যঞ্জনাময় হওয়া সত্ত্বেও নেপথ্য মিউজিকের কারণে সংলগ্ন সংলাপগুলো কিছুটা হলেও ম্রিয়মান ছিল। আমরা সাধারণ দর্শক তাতে একটু হলেও বঞ্চিত হয়েছি। যেমন তাহেরের বিচারের শেষ অংশে এসে বিশেষ করে লুৎফার পাঠানো খাবার খেতে খেতে এবং তারপরে বলা তাঁর জীবনের শেষ সংলাপগুলো ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া স্বত্বেও তা ম্লান হয়ে গেছে শব্দঝঙ্কারে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে তা সৈয়দ জামিল আহমেদের নির্দেশিত শহীদুল জহীরের ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’-র মঞ্চায়নের শব্দঝঞ্ঝাটের কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে।

বিচারের দৃশ্যে বিচারকদের অভিব্যক্তি ও সংলাপ প্রক্ষেপণে আরও একটু কাজ করা যেতে পারে বলে আমার ধারণা। বিশেষ করে একেবারে শেষদিকে তাহের যখন তাঁর শেষ যুক্তি উপস্থাপন করছিলেন তখন ৩ বিচারককে বেশ নিষ্প্রভ মনে হয়েছে। এটি কি ব্যক্তি তাহেরের বক্তব্যের ধার ও দৃঢ়তায়, নাকি কুশীলবদের পারফরম্যান্সের খানিক দুর্বলতায় — সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। জিয়াকে নিয়েওআরও একটু কাজ করা যেতে পারে। চরিত্রটিকে আরও একটু স্পষ্ট করার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয়েছে। তার পারফরম্যান্সে আরেকটু কুশলতা প্রয়োগ করা দরকার হয়তো-বা। তাহেরের একটি সংলাপ একটু স্ববিরোধী মনে হয়েছে। তিনি জিয়াকে মুক্ত করার পর সিপাহীদের দেখিয়ে বলছেন, এটি আমার নেতৃত্বে হয়নি; আবার বিচারকের কাছে সত্য প্রকাশ করে বলছেন, “আমারই নেতৃত্বে এ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।”

যা না বললেও চলে
কর্নেল তাহের বাংলাদেশের সত্যিকার এক বীর সন্তান; ফাঁসির দড়িতে মৃত্যুবরণ করেও গণমানুষের মুক্তির সত্যনিষ্ঠ প্রয়াসের এক জীবন্ত মানুষ। একটু ভুলের জন্য শুধু নিজের জীবনকেই উৎসর্গ করতে হয়নি, হারাতে হয়েছে অগণিত বিপ্লবী ও গণমানুষের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের জীবনকেও। নির্দেশক মোহাম্মদ আলী হায়দারের সুচিন্তিত পরিকল্পনায় বটতলা  সেই তাহেরকেই আমাদেরকে উপহার দিয়েছে। হায়দারের নাট্যনির্দেশনার কৃৎকৌশল সর্বদাই উদ্ভাবনীমূলক ও চিন্তার খোরাক যোগানদায়ী। জীবনে অনেক নির্দেশকের — তরুণ ও পরিপক্ক — নির্দেশনাই দেখার সুযোগ হয়েছে; নিজেও কখন সখনো নির্দেশনার কাজ করেছি। আলী হায়দারের নির্দেশনাপ্রক্রিয়া উপভোগ করার ইচ্ছা পোষণ করি, মনে মনে।

সৌম্য সরকার ও সামিনা লুৎফা নিত্রাকে আলাদা করে কৃতিত্ব না দিলেও তাদের জটিল নাট্যরূপ ছাড়া এটি যে সম্ভবই হতো না, তা কে-ইবা অস্বীকার করবেন। ‘খনা’ থেকেই তার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা।

নাট্যকুশলীদের নাম : মুন্না, রুমা, লুৎফা, তৌফিক, পঙ্কজ, ইভান, সাইদ, রনি, মাসুম, বাকিরুল, নাফিউল — প্রত্যেকে একেকটি সম্ভাবনা!


(এ অভাজন একজন প্রাক্তনী। অনুশীলন নাট্য দল, সমকাল নাট্যচক্র, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়-এর প্রাক্তন কর্মী এবং পাবনার কয়েকটি নাট্যসংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এখন সক্রিয় দর্শকমাত্র। লেখাটি একজন দর্শক হিসেবে অনুভূতি প্রকাশ; কোনো প্রথাগত ক্লাসিক্যাল নাট্যসমালোচনা নয়।)

২১.১১.২০১৯

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you