ঠিক যা বুঝাইতে চাই, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আভিধানিক বেত্তার বদান্যতা ব্যতিরেকে, এক কথায়, প্রাগভবিষ্য শব্দটি দিয়া, পাঁজর ও পিলে চমকাবার পাশাপাশি, তা তো সোজা, আন্দাজ করা যায়, আগের ও আগামীর যা-কিছু, শুভ ও অশুভ, দ্বন্দ্ব ও অন্বয়, আর বলা হয়ে গিয়েছিল হবে বলে যা যা, আরও যত পুরাণ ধর্ম রস শৈল্য গণিত রসায়ন পদার্থ সর্বশাস্ত্রে যে-রেখাটি ধরে এগিয়েছে ন্যারেটিভ তথা কথা বলা, তা আর কিছু নয়, প্রাগভবিষ্যের গুপ্তকলা। বাকবাকুম এই বর্তমান শুধু অতীত আর ভবিষ্যতের মাঝখানকার এক সংযোগসূত্র। পুঁতিটি মাত্র, গোটা মালাটায়। সাহিত্যে, সিনেমায়, চিত্রকলায় সেই গুপ্তকলা কাজ করে চলে তার আপনকার অনুজ্ঞায়। শিল্পীটি নিমিত্ত তখন, স্বয়ংক্রিয় স্বতশ্চল শিল্পতাড়নায়, এক অনর্গল অবিরল অবিরাম অসহায় কারুবাসনায়। শিল্পের কাজটা প্রাগভবিষ্যের ভাষায় সাধিত হতে চায়। তার প্রকরণ যা-ই হোক, যথেচ্ছা আঙ্গিক, যে-কোনো চর্যায়। নিরুপায়। দি মাহাভারাতায়, একেবারে গোড়ায়, ব্যাসদেব এই নিরুপায়তায় সারেন্ডার করেন সেই বিশ্রুত কথাটি বলে নিয়ে : এ-কাহিনি পূর্বের কবিরা বলে গেছেন, বর্তমানের কবিরা বলছেন, বলবেন এসে ভবিষ্যতের কবিরা। প্রাগভবিষ্য। গোটা আখ্যান। গোটা কাব্য। গোটা আবহমান শিল্পকলা। প্রাগভবিষ্যের লীলা। তাতে এক কাহিনি। রিলেন্টলেস রিলে রেস। শকট। রথচক্র। উড়ন্ত। অর্ধভগ্ন। সুদর্শন ও অন্যান্য অস্ত্র। শস্ত্রসমেত সৈন্য। অক্ষৌহিণী। জীবন্ত। চলিষ্ণু। বর্তমান। ভবিষ্যতের অতীত যাহা, তাহাই তো। গুপ্ত। ইলিউমিনাতির মতো। প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি কণা প্রতিটি তরঙ্গ প্রতিক্ষণে লেখাচ্ছে নাম তার প্রাগভবিষ্যের পাতায়। এভাবেই শিল্পের, আর্টের, কবিতার, চিত্রের ভিতর দিয়াই দৃশ্যাদৃশ্যের গুপ্তকলা আগায়। তারা সিগ্ন্যাল বহনকারী, বিলীন হবার আগে একটা প্রাচীন উপত্যকায়, গীতল একটা মায়াগাঙের পারে, এক মর্মাচ্ছন্ন বনপাংশুল বিকালবেলায়; এক নটরাজনের রক্তমুদ্রায়, এক অতিকায়, বিরামহারা, প্রাগভবিষ্যের দোলায়…
বিশেষ দ্রষ্টব্য : উল্লেখ্য, উপরের রচনাটি এক্সিবিশনের পজিশন পেপার হিশেবে, ধারণাপত্র হিশেবে, নক্ষত্রগুহা আর্টখানার তরফ থেকে ফেইসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।
দ্য ক্রনিকলস্ ফোরটোল্ড / প্রাগভবিষ্যের পদাবলি। স্বনির্বাচিত সত্যজিৎ রাজন দ্বিতীয় একক চিত্রপ্রদর্শন। ০৫-১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৩ থেকে রাত ০৯ পর্যন্ত প্রদর্শনীগৃহদ্বার উন্মুক্ত সর্বসাধারণের জন্য। নক্ষত্রগুহা আর্টখানা সিলেট নগরীর কিনব্রিজতীরবর্তী প্রাচীন গণবিপণী সুরমা মার্কেটের দ্বিতীয় ভবনসারির দ্বিতীয় তলায় গেলে পাওয়া যাবে।
এক্সিবিশন সমাপ্তির দিকে এগোবে, কাউন্টিং ডাউন, এইটা স্বাভাবিক। শুধু নক্ষত্রগুহা আর্টখানা থাকবে, যেমন ছিল গত অনেকদিন অনেকবছর ধরে, এটি একটি বহুমুখী আর্ট-অ্যাসোসিয়েইটিং ইনিশিয়েটিভ হিশেবে আর্টিস্টদের অ্যারিনায় রোল প্লে করে যাবে জানালেন স্বয়ং শিল্পী। প্রদর্শনী শেষ হলেও প্রদর্শশালা থাকবে। এখানে আরও আরও আর্ট রিলেইটেড ইভেন্ট অর্গানাইজ করা যাবে।
সত্যজিৎ রাজন এক্সিবিশন প্রতিবেদন
- অক্টোবর নয় || তুহিন কান্তি দাস - October 9, 2025
- মায়ের চরণে মেমোয়ার - October 7, 2025
- সাধুসঙ্গ ও সাধনসংগীত || বিমান তালুকদার - October 3, 2025
COMMENTS