যতদিন অনুদানের বাটপারির হাতে চলচ্চিত্র, একধাপও সামনে যাবে না দেশ || সজীব তানভীর

যতদিন অনুদানের বাটপারির হাতে চলচ্চিত্র, একধাপও সামনে যাবে না দেশ || সজীব তানভীর

২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই দশ বছরে অনুদান দেয়া হয়েছে ৭৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে। তার মধ্যে মুক্তি পেয়েছে মাত্র ২৫টি চলচ্চিত্র, মুক্তি পায়নি ৪৯টি (২০২২ এর জুন পর্যন্ত)।

শুধু ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর, এই তিন অর্থবছরেই মোট ৩৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়েছে। ৫৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ২৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জনগণের এই টাকা ‘বোদ্ধা’ চলচ্চিত্রনির্মাতাদের দেওয়া হয়েছে। জনগণ নিজেদের টাকার কয়টা সিনেমা দেখার সুযোগ পেয়েছে এই ৮০টি চলচ্চিত্রের?

২০১০ থেকে ২০২০ এই দশ বছরে অনুদান দেওয়া হয়েছে ৭৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। আর বিগত তিন অর্থবছরে দেওয়া হয়েছে ৫৫টি!!! এ-বছর এ-তালিকায় আরও যুক্ত হয়েছে ২৩টি চলচ্চিত্র!!! অর্থাৎ বিগত তিন বছরের মোট চলচ্চিত্রের প্রায় অর্ধেক এক বছরেই!!!

১৩ বছরে ১৫১টি চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছে, হিসেব করলে বছরে প্রায় ১২টি সিনেমা!!! জনগণের টাকার মাসে মাসে একটা করে অন্তত অনুদানের সিনেমা এই ১২-১৩ বছরে কোন সিনেমা হলে, কীভাবে চললো? কোন ভেলকিতে এই এত এত টাকা হাওয়ায় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আসলে??

দুর্নীতি কোন লেভেলে পৌঁছেছে! এইসব অনুদানের টাকা তুলে মেরে দেওয়া সো-কল্ড চলচ্চিত্রের দালালদের দিকেও আঙুল তুলে বলার সময় এসেছে। সময় এসেছে এদের জনগণের সামনে এনে কাপড় খুলে দেওয়ার। এদের অনেকেই কি এমন উদ্ধার করেছেন চলচ্চিত্রে, যে তাদেরকে জনগণের দেওয়া ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকা ব্যক্তিগত মৌজমাস্তির জন্য তুলে দেওয়া হবে?

দেশে কতশত তরুণ চোখে স্বপ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে চলচ্চিত্র নির্মাণের, যারা শুধু স্বপ্ন দেখেই বসে নেই, নিজেদের শাণিত করছে প্রতিনিয়ত চলচ্চিত্রের জ্ঞানে। অথচ এই সব দালাল, চলচ্চিত্রের নামে পা চাটা চক্রের জন্য, এসব সিন্ডিকেটের জন্য, এই তরুণেরা চাপা পড়ে যাচ্ছে, দাফন হয়ে যাচ্ছে তাদের স্বপ্ন।

আহা রে…

নেসেসারি নিউজলিঙ্কগুলি…
লিঙ্ক ১
লিঙ্ক ২
লিঙ্ক ৩
লিঙ্ক ৪


সজীব তানভীর রচনারাশি

COMMENTS

error: