চাকরি বা ব্যবসাপাতি করে ক্যারিয়ার গড়া অনেক বন্ধুরা দেখলাম খেলার ধারেকাছে নাই। এদের অনেকেই কোনো আগ্রহ পায় না কোপা বা ইউরোর খেলায়। আর আমি এখনো দিন গুনে, বছর গুনে পার করি। কবে ইউরো আসবে। কোপা আসবে। বিশ্বকাপ আসবে।
সেই ১৯৯৮ সালের পর থেকে শুরু হয়েছিল এই দিনক্ষণ গণনা করা। আজ পর্যন্ত চলছে।
জীবনে ফুটবলের চেয়ে বড় কোনো আনন্দের কিছু আর ধরা দিলো না। এখনো নওল কিশোরের মতো বসে থাকি কবে খেলা শুরু হবে। সারারাত ইউরো দেখে আবার ভোরে কোপা দেখি। মনে হয় আর কোনো কাজ না থাকলেই ভালো হতো।
ফুটবল খেলা আর দেখার মতো এত পরিতৃপ্তির কিছুই পাইলাম না আর জীবনে।
গত দুই দশকে মেসি-রোনালদো দ্বৈরথের যুগসাক্ষি হয়ে রইলাম। রইলাম নেইমারের অসহায় আক্ষেপের। ফুটবল এত আনন্দের। তীব্র অর্গাজমের চেয়ে বেশি কিছু। পুরাটাই জীবনই মনে হয় এর পেছনে ব্যায় হবে।
তবুও ভালো লাগে এই ভেবে যে এখনো ফুটবলের মতো মহাজাগতিক আনন্দ নিয়ে বেঁচে আছি।
২.
এইবারের ইউরোর মতো এত বিরক্তির টুর্নামেন্ট আর কোনোটা লাগে নাই। স্পেনের খেলাই একটু ভালো লাগছে। কিছুটা জার্মানির। আর হল্যান্ডের। আর বাকি সব দল স্ক্রিপ্টেড আর মুখস্থ শিডিউল নিয়ে খেলতেছে।
সবাই এক গোল দিয়ে চাকরি বাঁচানোর ধান্দায় আছে।
৩.
এত সাস্পেন্স, এত থ্রিলার, এত কমেডি, এত অ্যাকশন, এত কামব্যাক, এত প্যাশন, এত প্যাশেন্স, এত ট্রাজেডি আর আনন্দ আছে বলেই ফুটবল এত সুন্দর।
কাজল দাস রচনারাশি
গানপারে ফুটবল
- ভোটবুথ, ভূতভোট, বজরঙবলি ও বেবুন - November 26, 2024
- ক্বারী আমীর উদ্দিন সান্নিধ্যে সেদিন || তারেক আমিন - November 20, 2024
- পোয়েট ও তার পার্টনার - October 19, 2024
COMMENTS