দুনিয়া পাল্টানো দশ পাখি

দুনিয়া পাল্টানো দশ পাখি

টেন বার্ডস দ্যাট চেইঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড। বইটি লিখেছেন স্টিফেন মস। উনি বিহঙ্গবিশারদ, প্রকৃতিনিসর্গ ও জীবজন্তু অনুসন্ধিৎসু, বহু গ্রন্থের প্রণেতা। অ্যামাজনে উনার টাইটেলগুলা খানিক নজর করলেই ইম্প্রেসড হবেন পাঠক। দুনিয়া পাল্টানো দশ পাখির তালিকাটা এই বইনিউজে শুরুতেই বলে নিলে হয়, আবার না-বললেও হয়, এমনিতে বইয়ের নাম লিখে গ্যুগল করলেই অবশ্য দশটা পাখির নাম পরপর জানা যায়। পাখিগুলা সাতটা মহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এইগুলা প্রাণপ্রজাতির খুবই গুরুত্বপূর্ণ দশ সদস্য।

সেই দশটা পাখির গল্প বলা হয়েছে এইখানে, যেই পাখিরা খালি পৃথিবীবিশ্ব বদলায়ই নাই, ইন্সপায়ার করেছে এই পৃথিবীর সৃজনশীল ও মননশীল মানুষগুলারে এবং অবদান রেখেছে এই পৃথিবীরই চিত্রে কবিতায় শিল্পে সংগীতে।

মানবেতিহাসের আগাগোড়া আমরা পাখির সঙ্গে বেঁচে রয়েছি।  নিজেদের খাদ্যচক্র সচল রাখবার গরজে আমরা পাখি শিকার করে মারছি নিত্য, পোষ মানাচ্ছি নিষ্ঠুর সংসারে। এইগুলা আমাদের মিথোলোজিতে, রিলিজিয়নে এবং রিচুয়ালে ব্যাপক গ্রাহ্য। প্রকৃতির এই সম্পদগুলা আমরা আমাদের স্বার্থে শোষণ করছি, ছিঁড়ছি কাটছি, শিল্পেসাহিত্যে আবার তার বন্দনাও গাইছি। স্টিফেন মস, প্রকৃতিবিদ ও লেখক, এই বইয়ে সেই পাখিগুলির কথাই লিখেছেন যেগুলার লগে মানবপ্রজাতির রিলেশন অনেক লম্বা টাইমের ও বহুধাবিস্তৃত।

নর্ডিক অঞ্চলের নর্স মিথোলোজিতে বর্ণিত জগদীশ্বর ওডিনের সেই বিশ্বস্ত পাখিজোড় থেকে শুরু করে ডারউইনের সেই ফিঞ্চপাখি, আমেরিকার বুনো টার্কি থেকে এম্পিরর পেঙ্গুইন ইত্যাদির বিবরণ রয়েছে এইখানে; এই পাখিগুলার বিলুপ্তি বিপদ ডেকে আনছে এবং বিপত্তি বিপন্নতা যত দিন যাবে আরও বাড়বে ছাড়া কমবে না। ক্লাইমেইট চেইঞ্জের অনেক চেতনা পাঠকমনে এন্টার করবে এই বইয়ের সুবাদে। এই বই ক্লাইমেইট ক্রাইসিস নিয়া আলাপালোচনা ডাইরেক্টলি ইনিশিয়েইট করে নাই, রিডিং বিটুইন দ্য লাইন্স তা পাঠকের মনে জাগাবে।

এইটা ফ্যাসিনেইটিং, আইওপেনিং ও এনগেইজিং একটা বই, রিডার পড়তে পড়তে টের পাবেন। প্রকৃতিবিদ্যার অনুধ্যায়ীরা ছাড়াও সর্বসাধারণের কাছে এই বই উপভোগ্য মনে হবে এতে সন্দেহ নাই। —গানপার বইনিউজ ডেস্ক


বইনিউজ
বইরিভিয়্যু

পরের পোষ্ট
আগের পোষ্ট

COMMENTS

error: