হিনির চিঠির বই

হিনির চিঠির বই

Every now and again I need to get down here, to get into the Diogenes tub, as it were, or the Colmcille beehive hut, or the Mossbawn scullery. At any rate, a hedge surrounds me, the blackbird calls, the soul settles for an hour or two…

এতটা খ্যাতি জীবনে পেয়েছেন হিনি, কবি হিশেবে এবং ব্যক্তি হিশেবে, পৃথিবীর যে-কোনো দূরপ্রান্তের নিয়মিত কবিতাপাঠক এমন কাউকে বের করা যাবে না যার কানে শিমাস হিনির নাম পৌঁছায় নাই আগে। শেইমাস হিনি উচ্চারণ করেন অনেকে, কেউ বলেন শিমাস হিনি, ব্যাপার না। ব্যক্তিটা বা বস্তু তো আর বদলায়া যায় না নামোচ্চারের হেরফেরের কারণে।

সেই হিনি চিঠি লিখেছেন জীবনে অজস্র। রবীন্দ্রনাথের মতো? তুলনা করবার জোখা বুদ্ধিবিদ্যা আমার পেটে নাই; কিন্তু, প্রতিপত্তি-খ্যাতি জুটবার পরেও পত্রলেখা ছাড়েন নাই যারা, চিঠিলিখন একটা আলগ প্রকাশফর্ম হিশেবে ভেবেছেন যারা, হিনি তাদের একজন। এই চিঠিচয়নিকা তার একটা নজির।

চয়নিকা, সামগ্র্য সংকলন নয়। হিনির লাইফের লাস্ট পঞ্চাশ বছরে যে-চিঠিচাপাটি লিখে গেছেন তিনি, সিলেক্টেড একটা পার্ট ছাপা হয়েছে এই ‘দি লেটার্স অফ শিমাস হিনি’ শীর্ষক বইটায়। ক্রিস্টোফার রেইড এই চিঠিপত্রচয়নিকার এডিটার। বইটা বাইর হয়েছে ফেবার অ্যান্ড ফেবার  থেকে। হার্ডব্যাক বইটা পাব্লিশ হয়েছে তেইশের অক্টোবরে।

হিনির লাইফের, বিশেষত কবির বিকাশের দিনগুলার, এমন কিছু অধ্যায় আমরা জানবার অ্যাক্সেস পাচ্ছি চিঠিবইটায় যা আগে কখনো জনসমক্ষে আসে নাই। হিনিজীবনের কিছু অনালোচিত অধ্যায়, যেমন — বেলফাস্টে বসবাস শুরুর সময়টা, নয়া এই প্রজাতন্ত্রে সেটল করবার তার কন্ট্রোভার্শাল সিদ্ধান্ত, কবিতায় তার দিগন্ত বিস্তারের দিনগুলা যা তাকে নোবেল পুরস্কারের হকদার করে তুলেছিল এবং যে-বিস্তৃতির কারণে তিনি একের পর এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে থাকেন। এই চিঠিগুলা পড়তে পড়তে টের পাই হিনি কী তুমুল ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন জীবনের ক্রমশ-অন্তিম দশকগুলায়!

এডিটার ক্রিস্টোফার রেইড কবির নিজের জবানিতে সেই ভীষণ কর্মব্যস্ত সময়গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন বইটায়, চিঠির পর চিঠি বিছিয়ে, এবং সেজন্যে রেইড দুইহাতে ব্যবহার করেছেন কবির প্রাইভেট ও পাব্লিক আর্কাইভ।  উদার, আমুদে ও মজাদার, উচ্ছ্বাসপূর্ণ, আত্মবিশ্বাসী ও বিশ্বাসপরায়ণ, বিরক্ত ও বীতশ্রদ্ধ, সহানুভূতিশীল ও বিবেচনাবোধসম্পন্ন — এমনি বিচিত্র সব চেহারায় হিনিকে দেখতে পাবো বইটার পাতায় পাতায়। দেখতে পাবো দশকদীর্ঘ সম্পর্কের বন্ধুবান্ধব ও কলিগদের মুখ, যারা কবির অনুধ্যায়ী-শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন, এমনকি হিনির চিঠিপত্র ভুল করে না আগন্তুক-পথচারীদের চকিত মুখচ্ছবিখানা পাঠকের যথেষ্ট গোচরে এনে দেখাইতে। এবং, বলা বাহুল্য, কবির যে-কোনো সাহিত্যকর্মের মতো এখানেও অগোচর থাকে না তার বাকবিভূতি।

চিঠিবাহিত কবিস্বর শুনতে শুনতে এ-মতো মনে হয় যেন কোনো সভাঘরে বা বাসায় একটা কামরায় একান্ত আলাপচারিতায় পাঠককে ডেকে জীবনের শেষ দশকের লিপ্ততৎপর দিনগুলার গল্প শোনাচ্ছেন শিমাস হিনি। —গানপার বইনিউজ ডেস্ক


বইনিউজ ডেস্ক
গানপার বইরিভিয়্যু

COMMENTS

error: