কেইটের কথাবাত্রা (১২)

কেইটের কথাবাত্রা (১২)

হামেশা এমন নারীদেরে দেখি যারা দারুণ সমস্ত জিন্স, হাইহিল আর খাটো টিশার্ট পরে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেখে আমার ভিতরে সাধ জাগে এদের মতো আমিও জিন্স আর খাটো জামায় চমৎকার হাওয়া লাগিয়ে শহর ঘুরি। নিশ্চয় এদের মতো আমারেও চমৎকার দেখাবে। এরপরেই আবার মনে হয়, না, এইরকম হাইহিল পরা নারীরা আর-যা হোক স্বচ্ছন্দ আরামে হাঁটতে পারছে বলে মনে হয় না।

আমার মুখের রেখায় চামড়ায় চেইঞ্জ আসতেসে রোজ রোজ। বয়সোচিত পরিবর্তন। একইসঙ্গে এইটাও বুঝতেসি যে খালি শরীরলাস্য নয়, মেশিনের মধ্যেও গড়বড় দেখা দিতেসে। বয়সোচিত গড়বড়। আগের বাহাদুরি আর নাই। তেল-মবিল তো কমতেসে। একটু একটু জং ধরতেসে পার্টসগুলায়, ইঞ্জিনে ব্যতিক্রম করা শুরু করে দিসে।

এইটা আজব একটা ব্যাপার দেখবেন যে একুশ বছর বয়সে পয়লা আপনার চমকায়া ওঠার শুরু, ইয়াল্লা! আমার তো তিরিশ হয়া যাইতেসে! এরপরে যেই তিরিশ পারায়া আপনি পঁয়ত্রিশ-ছত্রিশ হইলেন তো পালপিটিশন শুরু হয়ে গেল চল্লিশের, চল্লিশ হইল কি শুরু হলো বলিরেখা লুকাইবার কায়কসরত। সত্যি বলতে কি, নিজের চেহারাখানা আমার যেমন দেখায় তেমন দেখাইতেই আমি খুশি।

আমার শরীরে এমন কোনো অংশ নাই যেইটা আমি ঘিন্না করি বা আরেকজনের লগে বদলাইতে চাই। কিংবা আমি চাই না অমুকের মতো নাক তমুকের মতো নিতম্ব লভিতে শল্যবিদের দ্বারস্থ হতে।

এমন একটা পারিপার্শ্বিক পৃথিবীতে বেড়ে উঠেছি আমি যেইখানে প্রায় হক্কলেই অভিনয় করতেসে আর অতিরঞ্জিত ফাঁপা ব্যক্তিত্বের মানুষে যেই পৃথিবী গিজগিজ করতেসে।

সংকলন, চয়ন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you