মোটা মোটা ক্যানভ্যাসের উঁচা উঁচা কায়া
কাআ তরুবর তার পাঞ্চ বি ডাল
মনে হয় চায়া থাকি — বিশাল, বিশাল!
মনে হয়, জিগাই —
নিথর, নিরাই
শীতে কাবু জলে ভাসা মানুষের ভিড়ে
এই শিল্পে এই চর্যায় ভিজাইতে পারবেন কী ত্রিলোকেশ্বরের চিঁড়ে?
এতটা চায় না বালক, চায় কিছু কম
পরনে রেড শার্ট, ফরাশি সেন্ট ও অ্যাক্সেন্ট, সন্ধ্যায় পানীয় — নরম
অথবা হার্ড
এইটা অ্যাবসার্ড
লোকে একটা আর্টিস্টেরে হার্ডশিপে দেখতে চায়
না, ভাই, মিসিন্টার্প্রিট করবেন না আমায়
চাকরি করি, মাসোহারায়, চিত্রপ্রদর্শনীর রিভিয়্যু পড়ি নিউজপেপারের সাপ্লিমেন্টপাতায়;
আমার শিল্পসমুজদারি
নিচা হাইটের, ওয়েইট অল্প, কখনো অবিমৃষ্যকারী
তিনি তার ক্যানভ্যাসগুলার ন্যায় রাজকীয় — রয়্যাল, রয়্যাল!
সবকিসু মনে হয় বাস্তব নয়, কেমন যেন মহাকাল মহাকাল!
মনে হয় সেলিব্রিটি ইমেইজের মতো ফটোশ্যুটে ক্যানভ্যাসগুলা টায়ার্ড!
তবু তারা রাজার অনার
আর মিডিয়ার মর্মরিত প্রচার
পায় আনকন্ডিশন্যাল, অনির্বচনীয়, শর্তহীন
শুধু একটাই জিজ্ঞাসা, জানতে যায় সাধ
কোথায় প্রমাদ
এত শৌর্য, রঙপ্রাখর্য, শরীরের গতি ও উড়ান
মনীষা আর সাহসের প্রশংসাগান
তবু কোথায় যেন প্রণয়ের পাংশু মুহূর্ত ও মনোবেদনাটা নাই
তিনি সিটিজেন অফ দ্য গ্লোব
করেন রচনা ব্রাশের একেক স্ট্রোকে এমিনেন্ট রাজাদের স্তব
আনাগোনা তার রাজার বাগানে —
কেন, বঙ্গজ সমুজদার ও আর্টডিলার তা জানে
রেসিডেন্ট তিনি যে-শহরের, নাম তার পারি
ফ্রিডমফাইটার আর ফাদার অফ দি ন্যাশন আঁকেন রিপিটেডলি
লিভিং অ্যান্ড লাইফ দেখে কেউ বুঝতেও পারে না হি ইজ অ্যা বেঙ্গলি
শিল্পকলায় আমাদের আগ্রহ সন্দেহজনক হলেও উই রিয়্যালি প্রাউড অফ হিম
উনার ক্যানভ্যাসকুশীলবগুলার ফিগার আঁকবার স্টাইল
ইজ সিম্পলি ইমেন্স, ইউনিক অ্যান্ড ভের্স্যাটাইল
সবকিসুই ঠিকাসে
যেতে যেতে লেইট-নাইট বাসে
সেলফোনে দেখতেসি ইমেইজ
ফরাশি ভিন্টেইজ
রইদে লেপ্টা ক্যানভ্যাসের দৃশ্য দুরন্ত ও রঙিন
মনে হয়
এই কথাটা বলা আদৌ সমীচীন নয়
সাহস করে বলেই না-হয় ফেলি —
শাসকের সঙ্গে শিল্পীর যদি হয় — ক্রিটিকের নয় — ক্রেতা আর বিক্রেতার রিশ্তাদারি
শিল্প তখন শুধু শুধুই রিপিটিশন করে যায়
খাড়া-বড়ি-থোড় আর থোড়-বড়ি-খাড়ায়
ক্যাবিনেট মিনিস্ট্রির দেয়ালসজ্জায় শিল্পকলা অ্যাপ্রিসিয়্যাশন পায়
বিদেশি ডিপ্লোম্যাট ও স্বদেশী শিল্পযশপ্রার্থীদের মুহুর্মুহু প্রশংসায় উড্ডীন
ছবির পাশে খাড়ায়া হাস্যোজ্জ্বল পোজ দেন শিল্পী শাহাবুদ্দিন।
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা / পাঠক–জ্ঞাতার্থে
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা নামটায় অবনঠাকুর উঁকি দিলেও ওই কিসিমের প্রবন্ধ ও অনুসন্ধান এইটা না। মানে, এই সিরিজটার কথা বলতেসি, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা, মিসিলিনিয়াস টাইপের টপিক নিয়া আগাবে। একটাই মিল সবগুলায়, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালায়, এইগুলা আর্টকালচারের নানান মানুষজন নিয়া বান্ধা বাগবিস্তার, প্রবন্ধের প্রকৃষ্ট বন্ধন জিনিশটার প্রতি নির্নিমেষ তাকিয়ে থেকে, এক্সপার্টদের অপিনিয়নের মজমায় ডাইলে রসুন ছ্যাঁকাইবার কায়দায় হাল্কা টাইমে হাল্কা সাউন্ডে যা-কিসু করবার তার করবে, এবং বলবে, এইসব মানুষ ও জিনিশ নিয়া আমিও ভাবি আমিও ইহাদেরে চিনি। শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা নামের উৎসের বইটির ঋণ স্বীকার করি জীবনে, এই চিনাজানার খবরান্তর করাটাই লিট্রেচার। যার যত ধন, সে ততই কৃপণ। অতএব, অধিক বাক্য করি সংবরণ। তৈয়ার করি ইল্যুশন। এইটাই শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালার মিশন। অধিক কিসু না। গাজোয়ারি লিট্রেচার আর আর্টকালচারের দুনিয়ায় এই জিনিশগুলি শ্রীহট্টে শেখ হাসিনার অতিকায় শাসনামলের কোনো-একটা টাইমে লেখা, ফাইজলামি নয়, তাৎক্ষণিক হলেও তন্ময়, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা। সালাম, আদাব, শুভেচ্ছা। — জাহেদ আহমদ
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা
- যেভাবে হয়ে ওঠে ‘এসো আমার শহরে’ || শিবু কুমার শীল - March 6, 2025
- Basudeb Dasgupta’s ‘Randhanshala’ The Cooking Place translated by Sourav Roy - March 4, 2025
- ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনা ও যুদ্ধদিনের ইউক্রেনীয় কবিতা || জয়দেব কর - February 17, 2025
COMMENTS