নিজের নিবন্ধ

নিজের নিবন্ধ

রচনাচোর
নিবন্ধগুলি নিজের

শব্দগুলিরে এদিক-ওদিক কিছু করে হেরফের
তুমি নিয়া নিয়ো অধিক নিজের করে

এই বিজনেসে ব্যস্ত কবিরা বাংলার ঘরে ঘরে
অ্যাওয়ার্ড লাভের আশায় আশায়
আন্দাজি অভিনন্দনবার্তায়
ভাসায়া দ্যায় ফেইসবুকের গাঙ

শুমার করিলে দ্যাখা যায়
কাতারে কাতার বেশুমার তাদের লাঙ
বগল বাজায় ডিকেডশ্রেষ্ঠী নিভৃতচারীর পুরস্কারলালচ

কবিরা বাংলায় একই অঙ্গে দেবযানী ও কচ

উর্ধ্বগগনে বাজে বিউগল
নিম্নে বেহায়া শিমুলফুল
কমল চক্রবর্তী থাকেন অনেক অনেক দূর
শুনসি, বিহারের জমশেদপুর

উনি কী জানেন উনার কবিতা মারতেসে সমানে
মেলার মাঠে বইয়ের উঠানে
লেখকদের লাইনধরা হায়ালজ্জাহীন
লকলকে লেলিহান লোভলালসায় স্বাধীন
বাংলাদেশে
ভ্যাব্লার মতো বত্রিশদাঁতে হেসে হেসে

একটি তীব্র কবিতাচোর!

ওইটারে অ্যাওয়ার্ড দিতে একপায়ে খাড়া
বাঙালির জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীকের বাঁড়া।
.
.
নিজের নিবন্ধ
চাঁদ।
রাত্রি।
নিঃসঙ্গতা।
আর, কে তোমার দ্বিতীয় সঙ্গী কিংবা দোসর?
নিজেরই মিহি ছায়া?
বা, স্মৃতি?
আসলে একেবারে খাঁটি নৈঃসঙ্গ্য বলিয়া কিছু নাই।
নৈঃসঙ্গ্য সবসময় একটা আরেক অবয়ব গড়ে নেয়।
একটা কারো-না-কারো, কিছু-না-কিছুর, দ্বিতীয় প্রতিরূপ তৈরি করে ফেলে।
ধ্যানে বসে একদম শূন্য ও নিঃসঙ্গী হতে পেরেছেন কোনো মহামানব?
উনাদের অভিজ্ঞতা প্রায়শ অতিরঞ্জিত মনে হয় আমার নিকট।
বলুন দেখি, নিজের জন্য রচিত নিবন্ধও বুঝি নিজেরই নিঃসঙ্গতাজাত শুধু?
অটোবায়োগ্রাফি কি নিছক অটোবায়োগ্রাফি পৃথিবীতে?
.
.
পেইন্টার কলিগের ইলাস্ট্রেশন দেখে ক্যাপশন
ইয়েলো দুইটা পাখি, গ্রিন একটা ডাল
এই নিয়া আমাদের শীতের সকাল

*
হলদিয়া পাখিদুটো
সবুজপাতা ডাল
চলে যায়, মরি হায়
ইজি শীতকাল

রৌদ্রবর্ণ তনু তাদের
শষ্পডগা আঁখি
এত কাছে তবু অন্যেরে একে
করতেসে ডাকাডাকি

ডেকে কহে একে অন্যেরে
ওগো ওই দ্যাখো দুর্জয়
একটা ষাঁড়ের পৃষ্ঠকুব্জে
একজোড়া পাখির প্রণয়

কইতেসে ডেকে একে-অপরেরে
দখিনের দহলিজে
রইদফালি যেন ডিস্কোজকিটি
তুমি সেই প্রিয় ডিজে

দ্যাখো দ্যাখো হোথা সাতসকালেতে
কমলালেবুর দেশে
কেমন করিয়া সোমত্ত শীত
সূর্যের সনে মেশে

কেমন করিয়া পোহাতেসে দ্যাখো
রমণীর মতো রোদ
হিমে-ছ্যাঁকা-লাগা মানুষের মুখে
এটুকু জীবনবোধ

আমরাও দোঁহে দেখে যাই প্রিয়
শোল্ডারে সানশাইন
আমাদের ঠোঁটে ডেনভার আর
হৃদয়ে ভ্যালেন্টাইন।

জাহেদ আহমদ


গানপার কবিতার, কবিতার গানপার

COMMENTS

error: