মহান বললেই হয়
না-বললেও মহাভারত মহাভারতই রয়
এরপরও লোকে দ্যাখো করে এত সময়ের অপচয়
লিখতে লেগে অ্যাডজেক্টিভ খুঁজতে যায়া
আর্টক্রিটিকদের সবকিসুরে অ্যাডজেক্টিফাই করবার হ্যাবিট ছাপায়া
ক্যারেক্টারটারে ক্যারেক্টারের ডিন্যামিক্স বুঝে ক্যাম্নে অ্যালাইন করতে পারি —
কিংবা ন্যারেটিভটারে ন্যারেটিভের মেরিট অনুসারে
সেই চিত্রা নদীটারে এই সুরমা গাঙের পারে —
বিশেষণের আগে একটা ভালোমন্দ যুক্ত করে
একটু সংক্ষিপ্ত পথ ধরে,
এমন একটা প্র্যাগম্যাটিক চিন্তা থেকে অ্যাডজেক্টিভ ব্যবহার করে থাকি আমি
যিনি রিপ্লাই দিলেন তিনি পিয়েচডিধারী
লিটারেচারে, বাংলায়
কাজেই তিনি বিশেষজ্ঞ, সর্ববিধ, বিহার করেন বৃক্ষশাখে পাতায়
কিন্তু মুখে একবারও বলি নাই, যদিও, মনে মনে বহুবার বলি
বিশেষণ দিয়া আর কতদুরায় যাওয়া যায়
আমাদের মাথার উপর আকাশ আর পায়ের তলায় পলি
চিত্রকলাচাক্ষিক মাত্র, বুঝি অল্প, খুঁজি অধিক
খনিজ চকমকি, হীরা, রত্ন, স্ফটিক
অত প্রবন্ধবকবক করে যেতে কে বলসে তোমায়?
জিগাইসি চিত্রকলায় কারে নিয়া আপনার লিখতে মন চায় —
ইন রিপ্লাই
ইনাইবিনাই
শ্রীযুক্ত রমাকান্তকামার ভনিলেন অভিন্ন উল্টাপাল্টা তার লাম্পাডাম্পা গান
আহমদ ছফা তারে নিয়া আর্টিক্যল লিখসেন বলেই চিনপরিচয়
কিংবা তারেক মাসুদ তার স্বল্পদৈর্ঘ্য ডকুমেন্ট্রিটায়
আদম সুরতের কিসু ঝলক দেখাইসিলেন কবে কোন জমানায়
রিমার্কেবল কিসু অব্জার্ভেশন জানাইসেন বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর
তার ক্যানভ্যাসে ব্যবহৃত নর ও নারীর
কিসুটা হাসনাত আবদুল হাই
ইমেইজ দেখতে দেখতে একবার থামি
বৃষ্টি হয় গ্লাসউইন্ডোয়, গাড়িঘোড়ায়, বীজ হাতে কেউ নাই
স্ট্রিটসাইড চায়খানায় খাড়ায়া
খালি বৃষ্টিভিজা রিকশাড্রাইভারদেরে অ্যাইঞ্জেলের মতো দেখায়
কৃষিলিটারেসি নিতে কে যায় কৃষকের দুয়ারে আজ আর?
কৃষিকাজ শুধু বইপুস্তকের বিষয়, স্পেশ্যালাইজড ইউনিডিগ্রি, অ্যাগ্রিকালচার
আর কৃষিভরা লাল মিয়ার বিরাট বিরাট পেইন্টিঙটেক্সচার
রঙ যার মাটিয়া কালার
কোন কাননের পুষ্প অথবা ডায়নামো তুমি কোন মিশিনটার
জিগাইবা সাকিনঠিকানা লাল মিয়ার!
অরিজিন্যাল দেখতে চাইলে যাও আবুল খায়েরের বাড়ির কিনার
ওই বাড়িতেই ডিপোজিট করা বাংলাদেশের চিত্রকলার পঞ্চাশ বছর
স্থিরপ্রতিকৃতির ক্ষেত্রে যেমন নাসির আলী মামুনের ঘর
যদি তারে দেখতে মন চায় — কারে জিগাইবেন জিগান
অথবা ডাইরেক্ট গ্যুগলের ইমেইজ সেকশনে চলে যান
ডাকনাম লাল মিয়া, ভালোনাম এসএম সুলতান
আমুণ্ডুনখাগ্র উনি কৃষিসিভিলাইজেশনের দান
ক্যানভ্যাসে ক্যারেক্টারগুলার মতো সুঠাম, সমর্থ, সুমহান।।
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা / পাঠক–জ্ঞাতার্থে
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা নামটায় অবনঠাকুর উঁকি দিলেও ওই কিসিমের প্রবন্ধ ও অনুসন্ধান এইটা না। মানে, এই সিরিজটার কথা বলতেসি, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা, মিসিলিনিয়াস টাইপের টপিক নিয়া আগাবে। একটাই মিল সবগুলায়, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালায়, এইগুলা আর্টকালচারের নানান মানুষজন নিয়া বান্ধা বাগবিস্তার, প্রবন্ধের প্রকৃষ্ট বন্ধন জিনিশটার প্রতি নির্নিমেষ তাকিয়ে থেকে, এক্সপার্টদের অপিনিয়নের মজমায় ডাইলে রসুন ছ্যাঁকাইবার কায়দায় হাল্কা টাইমে হাল্কা সাউন্ডে যা-কিসু করবার তার করবে, এবং বলবে, এইসব মানুষ ও জিনিশ নিয়া আমিও ভাবি আমিও ইহাদেরে চিনি। শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা নামের উৎসের বইটির ঋণ স্বীকার করি জীবনে, এই চিনাজানার খবরান্তর করাটাই লিট্রেচার। যার যত ধন, সে ততই কৃপণ। অতএব, অধিক বাক্য করি সংবরণ। তৈয়ার করি ইল্যুশন। এইটাই শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালার মিশন। অধিক কিসু না। গাজোয়ারি লিট্রেচার আর আর্টকালচারের দুনিয়ায় এই জিনিশগুলি শ্রীহট্টে শেখ হাসিনার অতিকায় শাসনামলের কোনো-একটা টাইমে লেখা, ফাইজলামি নয়, তাৎক্ষণিক হলেও তন্ময়, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা। সালাম, আদাব, শুভেচ্ছা। — জাহেদ আহমদ
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা
- স্বরচিত কবিতার অন্তর্গত অনুপ্রেরণা || হাসান শাহরিয়ার - January 24, 2025
- আর্কের হাসান ও নব্বইয়ের বাংলা গান - January 23, 2025
- শাহ আবদুল করিম : জন্মের শতক পেরিয়ে আরও একটা আস্ত দশক || ইলিয়াস কমল - January 20, 2025
COMMENTS