যে-আমি ভিতরে আমার

যে-আমি ভিতরে আমার

‘দ্য উইম্যান ইন মি’ এমন একটা বই যেইটা আপনাকে বলে সাহসের কথা, সামনে এগোবার কথা, হার্ডল লাফায়া লাফায়া পারায়া রান কমপ্লিট করবার কথা। আর, সাধারণভাবে একটা আত্মজীবনীতে অটোবায়োগ্র্যাফিতে মেমোয়ারে যেই জিনিশগুলা আমরা পাবো বলে এক্সপেক্ট করি, ব্রিটনি স্পিয়ার্সের এই জার্নিটায় সেই ইন্সপিরেশন আমরা পাই এবং পেয়ে একটা ভালো বই পড়ে উঠতে পারার ফ্যুলফিলমেন্ট লাভ করি।

যিনি লিখতেসেন বইটি তিনি যদি সেলেব্রিটি হন তাইলে সেক্ষেত্রে একটা প্রায় রেডি রিজেকশন কাজ করে, সাধারণত, রেগ্যুলার বইরিডারদের মধ্যে। এইটা আলবৎ ট্রু। নর্ম্যালি। এক্সেপশনের কথা বলতেসি না। নামজাদা স্টার সিঙ্গার ড্যান্সার রাইটার ম্যুভিডিরেক্টার সবারই জীবনে একটা স্ট্রাগল থাকে এবং এহেন স্ট্রাগলগুলা প্রায় একই ফর্ম্যাটের না-হলেও উপস্থাপনাটা থাকে থোড়-বড়ি-খাড়া খাড়া-বড়ি-থোড় টাইপের।

ফর্চুনেইটলি, দ্য উইম্যান ইন মি  বাই ব্রিটনি স্পিয়ার্স থোড়-বড়ি-খাড়া টাইপের নয়। এই বই বলতেসে একজন ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ফ্রিডম, ফেইম, মাদারহুড, তার টিকিয়া থাকবার লড়াই, তার বিশ্বাস ও আস্থা, খ্যাতি, মুক্তি, সমোহ ও নির্মোহ সংসারযাত্রা আর সর্বোপরি শীর্ষস্থানীয়া আশার গল্প।

উল্লেখযোগ্য অকপটতার নজির এর পাতাগুলায় পাওয়া যায়। এবং, অগোচর নয় এর হিউম্যর। স্পিয়ার্সের গ্রাউন্ডব্রেইকিং এই মেমোয়ারে তার সংগীতক্যারিয়ার, পার্ফোর্মার এবং স্টেইজপার্সোনা হিশেবে তার আবির্ভাব ও অন্তর্যাত্রা, সবকিসুর মধ্যে এই ভোয়েসআর্টিস্ট গুরুত্ব দিতেসেন সংগীতের শক্তি ও ভালোবাসার দুর্নিবার ক্ষমতার উপর। এই গুরুত্ব দেয়াটা খুবই সিগ্নিফিক্যান্ট। সবসময়।

দ্য উইম্যান ইন মি  বইটা এই প্রথমবারের মতো পপমিউজিকহিস্ট্রিতে গ্রেইটেস্ট পার্ফোর্মারদের একজন ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ইনক্রেডিবল জার্নি রিভিল করতেসে পাঠকের কাছে। এবং তা করতেসে একান্ত ব্রিটনির অননুকরণীয় জবানে, নিজের শর্তে, স্বতন্ত্র ও সম্ভ্রান্ত ভঙ্গিমায়। —গানপার বইনিউজ ডেস্ক


গানপারে ব্রিটনি স্পিয়ার্স

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you