টিল্ডা টোল্ড

টিল্ডা টোল্ড

বিশ্বাস জিনিশটার অস্তিত্ব শুধু বিশ্বাসীর চোখে।

কই যাচ্ছি না-জেনে যেতে ভালোবাসি আমি, অচেনা অরণ্যে ইতিউতি ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসি, শিস দিয়া রাস্তায় হাঁটা আর ক্ষিদে পেলে একটু রুটি ছিঁড়ে পেটে দিতে পারলে আর কিচ্ছু চাই না।

সেই গল্পগুলাই আমি বেশি ভালোবাসি যেইগুলাতে একটা আবহমান স্রোতের কাহিনি থেকে ক্যারেক্টার সশব্দ পতনের দিকে ধাবিত হয় এবং সেই স্রোত থেকে ছিটকে যাবার ফায়দাটা চাক্ষুষ হয়।

সবসময় যে টেবিলের এইদিকটাতেই ছিলাম তা তো নয়, টেবিলের ওইদিকটাতে থেকেছি অনেকবার এবং চেষ্টা করেছি আমার প্রোজেক্টের ব্যাপারে টেবিলের অন্যদিকের লোকগুলারে আগ্রহী করে তুলতে, কিন্তু দেখেছি যে এর খেসারত দিতে হয়েছে ব্যাপকভাবে এবং আমার সদয় আচরণের কারণে শেষমেশ বোকা সাব্যস্ত হয়েছি এবং বোকামির দণ্ডটাও হয়েছে চড়া।

পরিমিত সন্দেহ সমস্ত মানুষের মধ্যেই থাকা চাই, সন্দেহের অভাব একটা মানুষকে অযৌক্তিক ও উন্মাদ করে তোলে। সন্দেহ, আমার মনে হয়, একটা মানুষকে ঠিকঠাক মানুষ করে রাখে। সন্দেহ করা ব্যতিরেকে একটা ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিও অন্যায়-অযৌক্তিক হয়ে যেতে পারে তার নিজেরও অজান্তে।

এমন অনেককিছুই আছে আমার জীবনে ঘটেছে যা আমি ঠিক বলে বুঝাতে পারব না। যেমন, কথার কথা বলছি, আমি কখনোই এভাবে বলতে পারব না যে ডেভিড বাউয়্যি এবং নিউজিল্যান্ডের সিঙ্গার-স্যংরাইটার-রেকর্ডপ্রোডিউস্যর লর্ডি এসেছিল আমারে জন্মদিনের উয়িশ করতে। এইটা তো বলতে পারি যে লর্ডি ইজ অ্যা ফেনোমেন্যাল স্পিরিট।

আমাকে দেখতে ঠিক ফিল্মের লোকদের মতো মনে হয় না; আমাকে দেখায় পেইন্টিঙসের লোকদের মতো।

আমি তো ক্যারিয়ার যাপন করি না, আমি যাপন করি জীবন। কাজেই জীবনটা আমি যাপন করব নিজের মতন, বাইরের কোনো জাজমেন্ট দিয়া আমার ভালো-মন্দ আমি নির্ধারণ করতে নারাজ।

সচরাচর আমার ক্ষেত্রে দেখা যায় ফিল্মপ্রোজেক্টটা আদৌ মুখ্য নয়, দ্বিতীয় অবস্থানে এইটারে রাখি আমি। ফিল্মমেইকার কে, এইটা আমার মুখ্য বিবেচ্য হয়ে থাকে। একটা ফিল্মের নির্মাতা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি ফিল্ম জিনিশটা জন্মায় রিলেশনশিপ থেকে।

মুহূর্তের জন্য হলেও সব নারীর জীবনে এমন একটা পর্যায় আসে যখন তারা ভাবে তাদের গর্ভে একটা দানো বড় হচ্ছে, একটা দানবই প্রসব করতে চলেছে শেষে, এই পর্যায়টা নারীরা তাদের গর্ভকালীন পার করে থাকে।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: