লাতিন সাহিত্যিক বলতে বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে যাদের নাম আমি জেনেছিলাম তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস। কিন্তু একই সময়ে ওই তালিকায় ইয়োসাও ছিলেন। মানে পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিয়ো বার্গাস ইয়োসা।
সাহিত্য ও সংষ্কৃতির যে বড়াইটা আমরা মানে বাংলা ভাষাভাষীরা করি, তাদের অহমের সামনে লাতিন এই সাহিত্যিকরা দেখিয়েছেন তারা কতটা সর্বজনীন ও কত বড় মাপের সাহিত্যিক। স্প্যানিশ, পর্তুগিজ বা ইংরেজিও যথেষ্ট না-জানলেও আমাদের কাছে তারা পৌঁছতে পেরেছেন। আমাদের সাহিত্যের সামর্থ্য ততটা সুদুরপ্রসারী কি হয়েছে? যতটুকুই হয়েছে তা সরাসরি দেখতে ইচ্ছে করে। মানে জানতে ইচ্ছে করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর আর কার কার লেখা এত বৃহৎ কলেবরে পৃথিবীর মানুষ পড়েছেন? সে-সংখ্যা নেহাতই নগণ্য।
আজ যে ইয়োসা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন, তিনি বেঁচে ছিলেন তার সময়ের লাতিন সাহিত্যের স্বর্ণযুগের প্রতিনিধি হিসেবে। তাঁর চলে যাওয়ার মাধ্যমে শেষ বাতিটি নিভলো। হয়তো, আরও পাঁচ দশক লাগবে আরেকটা সোনালি প্রজন্ম লাতিন আমেরিকায় তৈরি হতে।
আমাদের মানে বাংলা ভাষায় এমন প্রজন্ম কি আদৌ আসবে? সেই আশায় থাকলাম। তার আগে ইয়োসাকে তাঁর বিদায়ে শ্রদ্ধা।
১৪ এপ্রিল ২০২৫ / ০১ বৈশাখ ১৪৩২
- সিনেমার চিরকুট ২০ - May 20, 2025
- সিনেমার চিরকুট ১৯ - May 18, 2025
- সিনেমার চিরকুট ১৮ - May 7, 2025
COMMENTS