তিরাশি-চুরাশি সালের দিকে ফিডব্যাকের খোকাভাই সিঙ্গাপুর থেকে এনেছিলেন একটা কাস্টম-মেড আইবানেজ ব্যেসগিটার। আমার জীবনে সেটাই প্রথম ইলেক্ট্রিক গিটার।
তিরানব্বইয়ে সিঙ্গাপুর থেকেই আনালাম একটা ফেন্ডার প্রিসিশন ব্যেস। এটা একটা রিয়্যালি স্টেডি গিটার; — ফাঙ্ক কিংবা র্যেগে বাজানোর জন্য বিশেষ উপযোগী, কিন্তু প্রিঅ্যাম্প সেকশন না থাকায় এর কিছু অসুবিধাও আছে।
কিছুদিন আগে কিনেছি (১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দসংলগ্ন সময়ে — গানপার) আইবানেজ সাউন্ড গিটার। এটাতে ফ্যাসিলিটি বেশি। ইক্যুয়্যালাইজ করে ইচ্ছেমতো টোন বার করার সুবিধা আছে। প্রিসিশনের চাইতে এর ওজন অনেক কম, ফ্রেটবোর্ডও অনেক চিকন — ফলে সব দিক থেকেই এটা বাজিয়ে বেশি আরাম পাচ্ছি।
ব্যেস বাজাতে প্রসেসরের খুব দরকার নেই, তাই কোনো প্রসেসরই ব্যবহার না করার চেষ্টা করি। স্ট্রিং ব্যবহার করি ফেন্ডার।
গানপারটীকা
বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের সেই সোনালি দিনে একমুঠো রোদ্দুর ছড়িয়ে যে-ব্যান্ডটা আমাদেরে হরণ করেছিল, ‘উইনিং’ সেই ব্যান্ডের নাম। অনেকদিন কোনো হদিস ছিল না মাঝখানে, দেশেবিদেশে জীবনজীবিকা নিয়া ব্যস্ত সবাই মিউজিকে সেভাবে প্রত্যক্ষ সময় ইনভেস্ট করতে পারেননি নিশ্চয়। রিসেন্টলি দেখা গেল উইনিং ফিরেছে একটি রিইউনিয়ন অ্যালবাম নিয়ে। সেই অ্যালবাম কেমন হয়েছে, এখনও পরখিয়া দেখা হয় নাই। কিন্তু লঞ্চিং সিরিমোনিতে ব্যান্ডের ভোক্যাল চন্দন, ব্যেসবাদক মশিউর রহমান সহ পুরানা ব্যান্ডমিউজিশিয়্যানদেরে দেখে বেশ লাগল। ‘বহু দূরে’ শীর্ষক অ্যালবামটা আদৌ মন্দ হয় নাই আন্দাজ করছি, একটা ন্যস্ট্যালজিয়্যা তো উঁকি দিবেই অ্যালবামটা শুনতে গেলে, অ্যাট-লিস্ট স্মৃতিবিধুর হবেন নাইন্টিসের ব্যান্ডসংগীত শুনে বেড়ে উঠেছেন যারা বা যাদের ছত্রচ্ছায়ায় বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীত পল্লবঘন তরুটিতে পরিণত হয়েছে সেইসব উন্মথিত-উন্মাতাল মিউজিকলিস্নাররা, টাইমট্র্যাভেল তো হবেই আর-কিছু হোক বা না। যা-হোক। গানপারের বাদক বিভাগে এই পিসটুকু উইনিঙের ব্যেসিস্ট মশিউর রহমানের জবানিতে ব্যক্ত। পুরা নাম এসএম মশিউর রহমান শেলী। রিপ্রিন্ট করছি আমরা গানপারে এই কথিকাংশটুকু। কথানুসৃত রচনাটা কাজী উচ্ছল অনুলিখন করেছিলেন। বাংলাদেশের একটা পাক্ষিক ‘আনন্দভুবন’ পত্রিকায় ১৯৯৮ অগাস্টে এইটা ছাপা হয়েছিল।
COMMENTS