‘সুহৃদ-সম্ভাষণ’ শিরোনামে গৌতম ভদ্রের অসাধারণ এক গদ্য পড়ছি। রণজিৎ গুহের প্রেরণায় সাবঅলটার্ন গ্রুপের জন্মবৃত্তান্ত থেকে ষাটের দশক, কলকাতার ছাত্ররাজনীতির নতুন বিন্যাস — কত কী উঠে আসলো এই লেখায়! সবচেয়ে বড় পাওনা হলো বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের দার্শনিক ইন্টারপ্রিটেশন।
গৌতম ভদ্রের মূল লেখাটি ত্রিশ পাতার আর ফুটনোট অংশটি ছাব্বিশ পাতার এবং সেটিও চমৎকার সমৃদ্ধ একটি অংশ। কত কত দরজা যে খুলে যায় এমন লেখা পড়লে! সম্প্রতি শঙ্খ ঘোষের ‘হওয়ার দুঃখ’ পড়ে যেমন নড়েচড়ে বসেছিলাম। কী নিবিড় পর্যবেক্ষণ! কী পোয়েটিক!
গদ্য মানে যে কিছু বাক্য রচনা নয় বা কিছু তথ্যের সমাহার নয় এসব গদ্য তা মনে করিয়ে দেয়। পড়তে পড়তে যেন শেষ হয় না পড়া। আরেক যাদুকর মণীন্দ্র গুপ্ত। এত স্বাদু গদ্য যে ঠোঁট চাটতে হয়।
Latest posts by গানপার (see all)
- যেভাবে হয়ে ওঠে ‘এসো আমার শহরে’ || শিবু কুমার শীল - March 6, 2025
- Basudeb Dasgupta’s ‘Randhanshala’ The Cooking Place translated by Sourav Roy - March 4, 2025
- ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনা ও যুদ্ধদিনের ইউক্রেনীয় কবিতা || জয়দেব কর - February 17, 2025
COMMENTS