করোনাবন্দি দিনে মা-মেয়ের নিরালা আলাপ || আহমদ মিনহাজ

করোনাবন্দি দিনে মা-মেয়ের নিরালা আলাপ || আহমদ মিনহাজ

কথাটা আগেভাগে জানিয়ে রাখি, মা-মেয়ের একান্ত কথালাপের ভিডিওটি আন্তর্জালে ঘোরাঘুরির সুবাদে আচমকা চোখের সামনে চলে এসেছিল। এ-রকম কতকিছুই তো নেটে ঘোরার সময় চোখের সামনে হাজির হয়। তার শতকরা নব্বই ভাগে প্রবেশের তাগিদ থাকে না। তারা চোখের সামনে ভেসে ওঠে ও ভ্যানিশ হয় তাৎক্ষণিক। মা-মেয়ের ঘরোয়া গপসপ-এ রঙিন ভিডিওখানির পরিণতি সে-রকম হওয়ার কথা থাকলেও দৈবদোষে ওটা ঘটেনি। মেয়ের হাতে ধারণকৃত স্মৃতিচিত্রে মা-মেয়ে এক সুরে বলছিলেন,—মানুষের জীবনে দৈব ও দিব্যর অভিজ্ঞতাটি নিত্য! অনেকসময় ঠার  হয় না কিন্তু তার জীবনে ওটা ঘটতে থাকে। তাকে বোঝাবুঝির অবকাশ না দিয়ে দৈব নিজের কাজ করে যায়। রবিঠাকুরের গানে এর ভূমিকা নিয়ে ধান ভানতে বসে দুজনকে বলতে শুনি,—জীবনে যা পাওয়ার কথা ছিল না অথচ পেয়েছি, এখন তার হিসাব করতে বসে আশ্চর্য আর দিব্য লাগে সবকিছু! পাওয়া এবং না-পাওয়ার সবটুকুনকে এইবেলা দৈব ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে মন আপত্তি ঠুকে বসে।

কেন আপত্তি ঠুকে বসে  জানতে হলে পাঠককে ভিডিওটি আগাগোড়া দেখতে হবে। কান পেতে শুনতে হবে এর পুরোটা। মা-মেয়ের গপসপ, আমার যেমন, শুনতে-শুনতে দৈব বোধ হচ্ছিল এক-একসময়। একান্ত নিরালা আলাপটি সহসা চোখের সামনে কেন হাজির হয়েছিল সেটাই ভাবছি এখন! আন্তর্জাল তো হিসাবি। রেলিভেন্স  বুঝে দর্শকের সামনে কন্টেন্ট হাজির করে সে। কে কী খুঁজছেন ও খুঁজতে গিয়ে কোথায় ঢুকছেন ইত্যাদির ওপর চলে তার হিসাবকিতাব। তথাপি, তার মহাফেজখানায় একটা বিচরাতে গিয়ে অন্যটা পেয়ে যাওয়ার ঘটনা মাঝেমধ্যে এমনভাবে ঘটে যাকে তখন দৈব ভাবা ছাড়া উপায় থাকে না। ওরকম ভাবতে বেশ লাগে বৈকি।

গত রজনিতে উদ্দেশ্য ছিল অন্য। রবিঠাকুরের গান শোনার খেয়ালে নেটে ঢুকেছিলাম। কভু শোনা হয়নি, রবিগানের শ্রোতাদের কাছে পরিচিত বা জনপ্রিয় নয় অথবা আমার কাছে অজ্ঞাত কোনো কণ্ঠে ঠাকুরের গান শোনার বাই চেপেছিল মাথায়। সে-রকম কারো দেখা পাওয়ার আশে স্পটিফাই থেকে ইউটিউবে বনবন ঘুরছিলাম। রবিঠাকুরকে উপলক্ষ করে মা-মেয়ের কথালাপ চোখের সামনে ঘোরাফিরা করে দেখে লিংকে ক্লিক পড়েছিল তাৎক্ষণিক। মোর কাছে অশ্রুত এক গায়কের নাম সেখানে পেলাম বটে! ঠাকুরের গান তাঁর কণ্ঠে শোনা হলো কিছুখন। কানটা জুড়ালো খানিক। মন বিস্ময়ে মজবুর হলো শিল্পীর বয়সের কথা ভেবে! আশির কোঠা পেরিয়ে নব্বইয়ের দিকে বয়সটা ধাইছে। হা ঈশ্বর! গলায় তার কোনো ছাপ পড়ে নাই! রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন : তুমি কেমন করে গান কর হে গুণী, / অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি। শিল্পীর কণ্ঠে অদ্য সেই রবিকবিকে শুনতে-শুনতে মনে হলো ঠাকুর বোধহয় তাঁর কথা ভেবে গানখানা লিখেছিলেন! সে যাকগে, সহসা যাঁকে পাওয়ার সুবাদে গুণী শিল্পীকে শোনার ভাগ্য হলো, মানে মা ও মেয়ের ঘরোয়া গপসপের কথা বলছি আর কি, আলটপকা লেখাটির প্রসঙ্গ কিন্তু সেটাই। ভিডিওর সঙ্গে পাঠককে পরিচিত করানোর সুবাদে শিল্পীকেও চিনে নেওয়া যাবে। সুতরাং ভণিতায় ইতি টেনে মূল প্রসঙ্গে গমন করা যাক এবে।


করোনার দিনগুলোকে ফেরত আনা ভিডিওটি শ্রীমতি মুখোপাধ্যায় একুনে তিন বছর আগে নেটে তুলেছিলেন। প্রতিদিনের যান্ত্রিক জীবনে তখন ছেদ টেনেছে করোনা। বয়সভারে জীর্ণ মাকে নিয়ে শ্রীমতি একা। ঘরবন্দি মা ও মেয়েকে মন খুলে কথা বলার সুযোগ দিতেই বুঝি শ্রীমতিদের লোকে গিজগিজ বাড়িটি খালি হয়ে পড়েছিল। ঘরে একলা দুজন নারী। হাতে অখণ্ড অবসর। গতির চাকা হঠাৎ থমকে দেওয়া অবসরকে কাজে লাগানোয় মন দিয়েছিলেন শ্রীমতি। এটা-সেটা ভাবতে বেশ লাগছিল। মোবাইলে ধরে রাখছিলেন নিজের চারপাশ। আপাত সঙ্গনিরোধের কারণে পরিবারের বাকি লোকজন দূরে-দূরে রয়েছেন। তারা যেন দেখতে পায় সে-কথা ভেবে ধারণকৃত ভিডিওগুলো নেটে তুলছিলেন। তো এই করতে-করতে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে রবিঠাকুরের গানের ছুতোয় আলাপ জোড়েন মেয়ে। দুজনের গপসপের  প্রারম্ভ বলতে এটুকুন। সেখান থেকে কথাবার্তা শিকড় ছড়ায় গভীরে। বয়সের কারণে ধারণা করি আলাপে মায়ের ভূমিকা শ্রোতার হওয়াটা অবধারিত ছিল। প্রগলভ কথার স্রোতে বক্তা মেয়ে যেখানে মাকে দিয়ে দু-কথা বলানোর চেষ্টা করেন। আলাপটি এভাবে নিজের পথ করে নিয়েছে। ক্রমশ এমন এক মাকে ওটা তুলে আনে যাঁর মেদমজ্জা চুষে বাড়ন্ত মেয়ে (সম্ভবত) যাপন করছিলেন তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত!

দুজনের আলাপ থেকে শ্রোতা জানতে পায় শ্রীমতির মায়ের জন্ম সিলেটি পরিবারে। সিলেটি আবহের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য শিলং শহরে তাঁর বেড়ে ওঠা। পড়ালেখায় তুখোড় মেধাবী ছিলেন। ওই সুবাদে শিলং থেকে কলকাতায় পাড়ি জমান পরে। কলেজ-ভার্সিটির পালা সাঙ্গ হলে উচ্চশিক্ষার তাড়নায় বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন। মায়ের সঙ্গে মেয়ের আলাপ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবু কেন জানি মনে হলো, মা সম্ভবত বিদ্যায়তনে দর্শনশাস্ত্র পড়াতেন একসময়। এর মধ্যে বিয়ে ও ঘর-সংসার। সন্তান আর নাতিপুতি। সংসার মহারণ্যে হাঁটতে-হাঁটতে ছিয়াশিতে পা রাখা। লম্বা জীবনজার্নির বাঁকে মহামহিম ঈশ্বর ও রবীন্দ্রনাথকে একত্রে আত্মায় ধারণ করেন প্রতিখন। মায়ের দেখানো পথে মেয়েও দিব্যি খরশান। বুদ্ধিজীবিতার ছটায় ঝলমল। প্রগলভ, এবং একইসঙ্গে বুকিশ! নেতিবাচক নয় বরং ইতিবাচক অর্থে মেয়ে ভীষণ বইঅন্তপ্রাণ। ইংরেজি সাহিত্য ও দর্শনশাস্ত্রের আলাপে তুখোড়। গান গাইতে, শুনতে আর শোনাতে ভালোবাসেন। সুরলয়তালের সঙ্গে কথার ভাবিক মর্মে ডুব দিতে ভালোবাসেন ততোধিক। মায়ের কাছে প্রথম গলা সাধার পাঠ নিয়েছিলেন। তারপর দীক্ষা নিয়েছেন মাসি বিভা সেনগুপ্তকে শিক্ষক মেনে। লেখার শুরুতে যাঁর নাম নিচ্ছি নেব করে নেইনি ইনি হচ্ছেন সেই শিল্পী। গানশিক্ষক মাসিকে স্মৃতির সঞ্চয়ে অক্ষয় রাখতে শ্রীমতি একান্তে-গাওয়া তাঁর কিছু গানের ভিডিও আন্তর্জালে তুলেছেন। অশীতিপর শিল্পীর অমলিন কণ্ঠে ঠাকুরের গান শুনতে পাওয়া এই কথালাপে কান পাতার সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি সে-কথা আর না বললেও চলে।

আগেই বলেছি, নব্বইয়ের পানে ধেয়ে চলা বিভা সেনগুপ্তের কণ্ঠে বয়স ছাপ ফেলতে পারেনি। দেবব্রত ও মায়া সেনের কাছে গানের হাতেখড়ি ঘটেছিল। তারপর থেকে রবীন্দ্রনাথকে জীবনের ধ্রুবতারা মেনে পথ চলেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের ঠাকুরের গান শেখান। কণ্ঠের এমন ঐশ্বর্য, সুরলয়তালের ওপর দখল, বিভা সেনগুপ্তকে শুনতে বসে বয়সকে নিছক সংখ্যা ভাবতে শ্রোতা বাধ্য হয়। গায়কির অপূর্বতার কাছে বয়স এখানে নতশিরে হার মেনেছে। মনে-মনে ভাবছিলাম, রবীন্দ্রনাথ হয়তো অসীম পারবারের তীরে বসে তাঁকে শুনছেন! যাই হোক, শ্রীমতির কথায় ফিরি আবার। মা ও মাসীর কাছে সংগীতের সবক নিলেও গানে নিয়মিত গলা সাধাকে জীবনের পাথেয় করা তাঁর হয়ে ওঠেনি। এর পরিবর্তে বিচিত্র পথে গমনাগমনকে বেছে নিয়েছিলেন। সাহিত্য ও দর্শনের পাঠে বোধিকে শানিত করছেন নিয়ত। কোলরিজ ও রবীন্দ্রনাথের সীমাঅতিক্রমী জগতে শ্রীমতির প্রবেশ, বেশ বোঝা যায়,—অবারিত।


করোনা মনে হয় ঘরেবাইরে প্রচণ্ড ব্যস্ত মেয়েকে বহুদিন পর নিজের মায়ের সঙ্গে প্রগলভ হওয়ার অবকাশ দিয়েছিল। পড়াশোনায় তুখোড় মাকে ক্যামেরার ফ্রেমে রেখে বিদুষী মেয়ে আড়ালে বসে কথার ঝাঁপি খুলে বসেন। গান আর কথায় রবীন্দ্রনাথকে উদযাপন করেন দুজন। ঠাকুরের সুতো ধরে কোলরিজ, টলস্টয়, এলিয়ট, কাণ্ট, ফ্রয়েড, ইয়ুংরা কথার সেই ঝাঁপি থেকে একে-একে বেরিয়ে আসতে থাকেন। সভ্যতার ইতিহাসে গুরুতর এইসব মহাজনকে নিয়ে নিজের ভাবনা মাকে শোনাতে মেয়ের ক্লান্তি নেই। তন্ত্রমন্ত্রে দড় মাদাম ব্লাভাস্কি আর সিংগিং কালীকে দিব্যচক্ষে অনুভব করার উচ্ছাস নিয়ে কথার খৈ ফোটান মেয়ে। শ্যামাসংগীত ও রামকৃষ্ণ পরমহংসের আর্কিটাইপ, ঋতুপর্ণের সিনেমায় তার ফুটনোট আর অজয় চক্রবর্তীর গানে শ্যামার রূপদর্শন…, একটা কথার চোরাটানে অন্য কথা অনায়াস আসা-যাওয়া করে সেখানে। গুরুগম্ভীর কথার ফাঁকে অন্য প্রসঙ্গেও তাঁরা ঢোকেন বৈকি। বান্ধবী সান্ত্বনা মাসিকে মায়ের স্মৃতিতে সক্রিয় করতে মেয়ে উসকানি দিতে বাকি রাখেন না। শিলং থেকে কলকাতা অবধি ছড়ানো-ছিটনো স্মৃতিখচিত দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতেও ভুল হয় না তাঁর। মা-মেয়ের যৌথআলাপে প্রসঙ্গ এভাবে একটা থেকে অন্যটায় গড়িয়ে চলে অন্তহীন!

বয়সভারে জীর্ণ, শ্রোতার ভূমিকায় নিবিষ্ট ও মাঝেমধ্যে খেইতাল হারানো (*ডিমেনশিয়ার প্রভাবে হবে হয়তো) মাকে একা পেয়ে মেয়ের আজ কথার বাঁধ খুলে গেছে। ফেলে-আসা অতীতকে মায়ের স্মৃতিতে জীবিত করার মতলবে ক্ষণে-ক্ষণে প্রগলভ হয়ে উঠছেন। মাকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সিলেটের পারিবারিক আবহে বেড়ে ওঠা পাহাড়িকন্যা কতটা দুঃসাহস দেখিয়েছিল সেই সময়। শিলং থেকে কলকাতার কলেজ স্ট্রিট আর প্রেসিডেন্সিতে ঢুকে পড়েছিল সে। দর্শনশাস্ত্রের রথিমহারথির সঙ্গে রবিঠাকুরকে অমোঘ করেছিল জীবনে। কথার ফুলঝুরির মধ্যে নিছক ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে ঢুকে পড়তে যাচ্ছে বুঝে মেয়ের মধুর বকুনিও হজম করেন মা! তাঁর তো এখন সেই বয়স যখন মায়েরা সবাই অবোধ কিশোরী বনে যায়, আর মেয়েরা হয় মা। এভাবে চলতে-চলতে মা-মেয়ের কথায় আকস্মিক ছেদ ঘটে। আরো কিছুখন চলতে পারত কিন্তু। ভালোই তো লাগছিল শুনতে!

জগতে যা-কিছু উত্তম তার রস চাখতে আকুল মেয়ের পাঠবৈভবে গরবিনী মা আলাপের অন্তে এসে নিজের জীবনের দিকে ফিরে তাকান। তাঁর তখন মনে হয়, মেয়ে কেবল বড়োই হয়নি, সাহিত্যটা কত যত্ন করে সে পড়েছে। কত স্বচ্ছ আর নিটোল তাঁর বোধ-অনুভব! ওদিকে তাঁর জীবনটা কিচিরিমিচির  নয়তো এদিক-ওদিক করতে-করতে বেলাশেষে পা দিয়ে বসেছে! মেয়ে তাৎক্ষণিক মাকে মনে করিয়ে দেয়, সে আজ যেটুকু হতে পেরেছে তার ষোলআনা বাবা-মায়ের অবদান। মায়ের মতো মেধা কি তাঁর ছিল? একটুও না। যেটুকু হয়েছে সে, জীবন ও শিল্পকে একবিন্দুতে মিল করে দেখার নেশা, আর্টিস্টিক এ্যাপ্রিসিয়েশন, তার সবটাই মায়ের থেকে পাওয়া! মেয়ের কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা ঝরে। আলাপ শেষ হয়। শ্রোতার কেন জানি মনে হতে থাকে, ভাটির পানে ধাবমান মা চুপিসারে চিরআধুনিক রবিকবির গানের কলি আওড়াচ্ছেন। মেয়ে কিন্তু সেটা শুনতে পায় না। শ্রোতা-দর্শকরা ঠিকই শুনতে পায়, মেয়েকে দেখতে-দেখতে মা গাইছেন নিরলে : তোমার হলো শুরু, আমার হলো সারা।

করোনায় ঘরবন্দি দিনগুলো আর কিছু না পারুক, মানুষকে মানুষের কাছে বসার সুযোগ করে দিয়েছিল। মেয়েকে দিয়েছিল মায়ের সঙ্গ যাপনের সুখ। তার সমুখে চপল বালিকার মতো নিজেকে মেলে ধরবার সুখ। মাকে চেয়ারে বসিয়ে অবিরাম জ্ঞানগর্ভ কথার ফুলঝুরি ছোটানোর সুখ। তাকে মধুর শাসনে শাসন করার সুখ। তার গর্ভ থেকে বেরিয়ে বিরাট জীবন-অরণ্যের রং-রূপ-রস-গন্ধ পরখের সুখ। আর, করোনাই দিয়েছিল স্মৃতিফ্রেমে মাকে অক্ষয় রাখবার সুখ। আলাপের হীরকতুল্য মা আজ বেঁচে আছেন কি না জানার উপায় নেই। শ্রীমতি তারপর থেকে কোনো ভিডিও নেটে তোলেননি। মায়ের সমুখে মেয়ের এমনধারা প্রগলভ বকুনির সুখ, আফটার করোনা, মিলেছিল কি? অনন্ত পারাবারে যদি পাড়ি দিয়ে থাকেন ইতোমধ্যে, সেক্ষেত্রে বলতেই হচ্ছে, আন্তর্জালে তুলে রাখা এই আলাপ মেয়ের জীবনে অক্ষয় থাকবে চিরকাল।

প্রা স ঙ্গি ক  লি ঙ্ক গু লা
করোনাবন্দি দিনে মা-মেয়ের নিরালা আলাপ, ভিডিও ১
করোনাবন্দি দিনে মা-মেয়ের নিরালা আলাপ, ভিডিও ২
শ্রীমতি মুখোপাধ্যায় ইউটিউবচ্যানেল


আহমদ মিনহাজ রচনারাশি

COMMENTS

error: