অ্যাকচুয়্যালি আই অ্যাম টকিং উইথ মাই গার্লফ্রেন্ড হু হ্যাড জাস্ট ফরোয়ার্ডেড মি অ্যা লিঙ্ক হোয়্যার ইট ওয়্যজ মেনশনড্ দ্য সাইনস্ ইউ আর নট রিয়্যালি ইন ল্যভ || ইমরুল হাসান

অ্যাকচুয়্যালি আই অ্যাম টকিং উইথ মাই গার্লফ্রেন্ড হু হ্যাড জাস্ট ফরোয়ার্ডেড মি অ্যা লিঙ্ক হোয়্যার ইট ওয়্যজ মেনশনড্ দ্য সাইনস্ ইউ আর নট রিয়্যালি ইন ল্যভ || ইমরুল হাসান

রাশিফলের ভাষা নিয়া ভাবছি একটা সময়। ঘুরায়াফিরায়া একই তো কথা, কাওসার আহমেদ চৌধুরী যদিও সাহিত্য লেখেন, তারপরও একইরকমেরই তো বাণী। তারপরও পড়া হয়, রিলেটও করা যায়। ভাল্লাগে, দেখতেও ইচ্ছা করে, মাঝেমধ্যে।

একইরকমভাবে, এখন যে নানানরকমের কুইজ বা সাইকোলোজিক্যাল ট্রিটগুলি চোখে পড়ে; – যে, কোনো মাইয়া আপনারে দেইখা চুলে হাত দিলো মানে আপনারে পছন্দ করল, পা ভাঁজ কইরা বসল মানে নিজেরে শাট-অফ করল। এইরকম ব্যাপারগুলি। বা, একলগে সিনেমা-দেখা বা রান্ধাবাড়া করা মানে (রেগ্যুলার কোনো জিনিশ না, বরং) প্রেম ‘শক্তিশালী’ হইতেছে! 🙂

তো, আমার ধারণা, এইগুলি বেশ ‘অপোজিট’ একটা জায়গা থিকাই অপারেট করে। মানে, এই সাইনগুলি যে মিথ্যা – তা না; ডিডিএলজে-তে (দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে) আছে-না, নায়িকা কাজল পিছনে ফিরা তাকাইল মানে নায়ক শাহরুখ সহ আমরা অডিয়েন্সও বুঝতে পারলাম যে, নায়িকা প্রেমে পড়ছে! এখন পিছন ফিরা না তাকাইলে কি এইটা না হয়া যাবে, ব্যাপারটা? বা তাকাইলেই হয়া যাইতে হবে? …  মানে, এই সাইনগুলি যতটা-না মিন করে তার চাইতে সাইনগুলিরে মিনিং হিসাবে পার্সিভ করতে থাকি আমরা। একটু উইয়ার্ড শোনাইলেও, এইটাই মেবি ট্রু।

ডিডিএলজে
২.
ফ্রয়েডের একটা বাণী আছে মনেহয় এইরকম যে, ‘সামটাইমস অ্যা সিগার ইজ অনলি অ্যা সিগার’; মানে, সিগার যে খালি সিগার এইটা ছাড়া আর অন্য কোনো মানে নাই, কিন্তু আন্ডারলায়িং মিনিংটা হইতেছে যে, বেশিরভাগ সময়েই আছে। আমি সিগ্রেট খাইতেছি মানে আসলে আমি সিগ্রেট খাইতেছি না, লোনলিনেস কাটাইতেছি, কোনোকিছু চিন্তা করতেছি, কারো লাইগা ওয়েট করতেছি বা একটু একটু কইরা সুইসাইড করতেছি, হাবিজাবি অনেককিছু, খুব কম সময়েই যেন সিগ্রেট খাইতে খাইতে খালি সিগ্রেটই খাইতেছি।

একটা ছবি আছে তো, যেইটা নিয়া ফুকো লিখছিলেন যে, দিস ইজ নট অ্যা পাইপ। পাইপ কখনোই একটা পাইপ না; একজন মানুষ কখনোই মানুষ না, থিঙস্ ইন ইটসেল্ফ খুব কমই এক্সিস্ট করে, আমাদের সাইন-কালচারে, ল্যাঙ্গুয়েজ-সিস্টেমে। যা বলতেছি, তা বলাটা খুবই কঠিন একটা জিনিশ। যতই ভাবি, উপমাটা ট্রু না, ‘মতো’ কইরা বলতেছি বা একটা এক্সাম্পলই দিতেছি। ওইটাই আসল হয়া উঠতেছে। সাইনটাই মেইন, যে একটা কথা বা এক্সিস্টেন্স বা অ্যাক্ট কি মিন করতেছে; ওইটার ভিতরেই আমরা তারে আটায়া ফেলতে পারতেছি।

এইটা ইন্ডিভিজ্যুয়াল কোনো টেন্ডেন্সি বইলা মনেহয় না আমার কাছে, এইটা আমাদের ল্যাঙ্গুয়েজ-বেইজড নলেজ সিস্টেমের প্যাটার্ন বইলাই মনেহয়।

৩.
যেমন, আছে-না, কুরবানির ঈদ আইলেই শুরু হয়, মনের পশু! 🙂 এইবার অবশ্য অনেক ট্রল হইছে। কিন্তু এই ট্রলগুলিও ইন্টারেস্টিং, প্যার্টানটারে পার হইতে পারে বা চায় বইলাও মনেহয় না। কারণ, এইটা তো ‘মানুষ’ ব্যাপারটার সাথে পুরাপুরি এমবেডেড। মানুষ নিজেই তো অ্যানিমেল। তার ডেফিনেশনে, পলিটিক্যাল হোক আর সাইকোলোজিক্যালই হোক। … তো, আমি বরং ইন্ডিভিজ্যুয়ালের চাইতে একটা গ্রুপ বা পাব্লিক সাইকোলোজির জায়গাটাতে বেশি সাবস্ক্রাইব করতে চাই। ধরেন, ‘মানুষ’ ধারণাটা যদি অ্যানিমেল না হয়া মেশিন হইতে থাকে, তাইলেও তো ওইখানে মোরালিটি ব্যাপারটা আসতে পারে না; মানে, মানুষ যদি মোরাল অ্যানিমেল না হয়া মোরাল মেশিন হয়, একই তো ঘটনা ঘটে। মানুষ ইটসেল্ফ মানুষ হইতে পারে না, অন্য কোনো একটাকিছুর রেফারেন্স ছাড়া। এই যে পারে না, এইটা যতটা-না এক্সিস্টেন্সের ঘটনা তার চাইতে মেবি অনেক বেশি ভাষার স্ট্রাকচারের ঘটনা। … এই কারণে কুরবানি মেবি ইমেজরে খুন করার একটা ঘটনা। মতোরে মাইরা ফেলার একটা সাজেশন। কিন্তু এইটা তো পসিবল না আসলে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভাষার স্ট্রাকচারের ভিতর উত্তরটা খোঁজার ট্রাই করতেছি।

৪.
ভাষার সাথে অ্যাক্ট বা অ্যাক্টের সাথে ভাষার যেই রিলেশন সেইটা মোর অর লেস একই হইতে পারলে তো খুবই ভালো, কিন্তু কাছাকাছি একটাকিছু হওয়া হয়তো সম্ভব। মানে, ভাষার মিনিঙটাই আমরা অ্যাক্ট হিসাবে পারফর্ম করি না বা কোনো-একটা অ্যাক্টের মিনিঙরে ভাষায় ন্যারেট করি না। দুইটা আলাদা আলাদা ব্যাপার। মিনিং দিয়া রিলেট করা যায় হয়তো বা করাই লাগে; কিন্তু এইভাবে লিমিট করার ব্যাপারটায় হাঁসফাঁস লাগে অনেক।

৫.
আমাদের টাইমে কোনো আলাপ শেষ করা পসিবল বইলা মনেহয় না আমার কাছে। আমরা জাস্ট বইলা রাখতে পারি, একটা সময়ে; আর আরেকটা সময়ে শেষ করার কথা ভাবতে পারি। 🙂

৬.
#তুমি ভাষা, #আমি রিডিউসড মিনিং একটা …

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you