মর্সিয়ায় আখমাতোভা || বিজয় আহমেদ

মর্সিয়ায় আখমাতোভা || বিজয় আহমেদ

কিছু অনুবাদ এইখানে থাকুক।

ভাবলাম কিছু অনুবাদ করে রাখি। এইজন্যই এই নোটের অবতারণা। হয়তো প্রচুর ভুল চোখে পড়বে আপনার! ধরায়া দিয়েন। উপকৃত হব।

ব্যক্তিজীবনে খচ্চরের চরিত্রে অভিনয়ের সাথে হয়তো এইসবের কোনো মিল নাই। মিল নাই বলেই বোধহয়, এই সোনার খনির আশেপাশে, এইভাবে, হাফপ্যান্ট পরে, অনাহূত যদিও, ঘোরাফেরা করা।

আপনার যাত্রা আনন্দময় হোক। 

  • বিজয় আহমেদ, অনুবাদক


রিক্যুয়েম/Requiem কাব্যগ্রন্থ থেকে
আন্না আখমাতোভার কবিতা


ডন নদী বয়ে যাচ্ছে নিশ্চুপ।
এই উজ্জ্বল চাঁদকে মনে করো শান্ত কিন্তু দাম্ভিক।
মুখ ঢেকে রেখেছে। জানলা দিয়ে এইসব দেখছে তোমার মতো কেউ
পীড়িত, ম্লান — নিঃসঙ্গ সবাই।
বাড়িতে-শুয়ে-থাকা মহিলাটাকে দেখছে চাঁদ
তার পুত্র জেলখানায়। আর স্বামী, মৃত।
তার জন্য বরং দোয়া করো তুমি

ক্রুশিফিকশান
আমার জন্য
কেঁদো না, মা

এই মধুময় কবরে এখনো বেঁচে আছি আমি

১.
ভালো সময়ের মহিমাকীর্তন
করছে দেবদূত আর তাদের গানের দল।
আগুনে বিলীন হচ্ছে এইসব মখমল স্বর্গ!
বাবাকে সে বলল : এত দ্রুত কীভাবে ভুলে গেলে আমাকে?
আর মাকে বলল : আমার জন্য কেঁদোনা

২.
ম্যাগদেলেনা, বুক চাপড়ে চাপড়ে বিলাপ করছিল;
আর স্নেহের সোনায় গড়া শিষ্যরা হয়ে যাচ্ছিল পাথর।
কিন্তু মা যেখানটায় দাঁড়িয়েছিল নিশ্চুপ, নিঃশব্দে;

ঐদিকে তাকাবার সাহস পাচ্ছিল না কেউ, মুহূর্তের জন্যেও!
[১৯৪৩। তাসখন্দ।]

নাটক শেষের কবিতা /
আমি জানি, কীভাবে পতনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়!
আমি জানি, কীভাবে সন্ত্রাসী তার নত চোখ থেকে বাঁচতে পারে
আমি জানি, কীভাবে দুর্ভোগ গণ্ডদেশে খোদাই করে রেখে যায়, তার পরম স্মৃতি!
আমি জানি, গাঢ় স্বর্ণকেশের তীর হঠাৎ কীভাবে পাংশু হয়ে যায়!
আমি জানি, বিনয়ী দু-ঠোঁটের ওপর খ্যাপাটে হাসির মানে?
আমি জানি, ফাঁপা হাসির ভিতরে কীভাবে লুকিয়ে থাকে কম্পিত ভয়!

আমি  তাই, নিজের জন্য না রে, হাত তুলি তোমাদের জন্য মালিকের কাছে —
তোমরা যারা ছিলে আমার কাঁধে কাঁধ রেখে,  সুতীব্র ঠান্ডা ও ফুটন্ত জুলাইয়ের
.                                                               উগ্র তাপের পরেও

তর্জমাকাল / সেপ্টেম্বর ২০১৫

… …

বিজয় আহমেদ

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you