গাঙডুবি : আবহমান জীবনের দৃষ্টি ও ধারণা

গাঙডুবি : আবহমান জীবনের দৃষ্টি ও ধারণা

শেয়ার করুন:

যাত্রাপথে বায়েজিদ বোস্তামীর গল্পগ্রন্থ ‘গাঙডুবি’ পড়া হলো। বুকিশ  থেকে প্রকাশিত ৯৬ পৃষ্ঠায় গ্রন্থিত আছে ১০টি গল্প। ‘পারাপার’, ‘বৃষ্টি সন্ধ্যায় ছাদে’, ‘ফেরার’, ‘তৃতীয় হাত’, ‘গাঙডুপি’, ‘চাতালের মাগী’, ‘ইঁদুর’, ‘ছি!’, ‘গামার একদিন’ ও ‘ফেরা’—এই গল্পগুলোতে আবহমান জীবনের দৃষ্টি ও ধারণাই প্রকাশিত হয়েছে। আলাপের ঢঙে আমাদের প্রতিদিনের জীবনকেই তুলে ধরেছেন গল্পকার।

সূচনাগল্পটা নিয়েই বলি। ‘পারাপার’ গল্পটি বর্ণনা করছে সাকিজল। তার বাসনা ছিল কার্তিকে মরার কিন্তু মরেছে বাদলে। মরার পর বাড়ির উঠানে পড়শী ও আত্মীয়-স্বজনের গমনাগমন দেখছে। তার ছেলে পিন্টুকে দেখছে। তার বউ মমেনার কান্নাকাটি দেখছে। বিলাপগীতিতে, আনুষ্ঠানিকতায় পড়শীরা মমেনার শরীর দেখছে। জোয়ান ছেলেকে হারিয়ে জানাজায় দাঁড়িয়ে তার বাপও শরম পাচ্ছে।

এ-রকম পরিচিত জীবনের গল্পগুলোর ভেতরে একটা স্তব্ধতা এসে হাজির হয়েছে। আমরা আড্ডায় বসে যেভাবে গল্প কবি সেভাবেই বলা হয়েছে গল্প। কোনো কাব্যিকতা নেই, নেই কোনো অতিরিক্ত বর্ণনার আয়োজন।

বুকিশ পাবলিকেশনের বুকবাইন্ডিংয়ে ছিমছাম একটি প্রকাশনা। গল্পের বানানরীতিতে লেখকের একটা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি আছে বলে মনে হলো। তবে গল্পের গুণেই গ্রন্থটি পাঠকের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। এমন একটি গ্রন্থের জন্য লেখককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

সরোজ মোস্তফা ২৫ জুলাই ২০২৫


গানপার বইরিভিয়্যু

শেয়ার করুন:

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you