দুই কিংবা আড়াই দশক আগের গল্প।
রাত আট কি সাড়েআট হবে। আমি আর অপুদা৷ লক্ষ্মীপুজোর রাত। পাশের বাসা; — মৌলভিস্যারের গাছের জাম্বুরাগুলোর দিকেই আমাদের নজর৷
আমি গাছের উঁচুতে, অপুদা নিচে। বালুর ঢিবিতে জাম্বুরা ফেলছি।
হুট করে টর্চের আলো গাছে, নিচে তাকিয়ে দেখি অপুদা নাই!!
মৌলভিস্যারকে আমরা মেসো ডাকি।
গাছের নিচে এসে টর্চআলো ফেলে বলছেন, — সাবধানে নামিয়া আয় রে বাবা! তুই তো দিনেই জাম্বুরা নিতে পারিস!! রিস্ক নেওয়ার দরকার কী?
আমাকে বাসায় পৌঁছে দিলেন মেসো …
এই মামুলি গল্পগুলো এখন বিলীন মনে হয়!!
ইফতার, ঈদের সকালে সেমাই, সংক্রান্তির পিঠা — মাসি আমাদের ছাড়া খেয়েছেন কি না আমরা জানা নেই৷
মিলিআপা, শিউলি, পলাশভাই। মনে হয়নি কোনোদিন আলাদা পরিবার।
খুব আফসোস হয়! কেমন অচেনা হয়ে গেল আমাদের সময়।
আমি বুঝি, আমার অনেক বন্ধু বিব্রত হয়। ওদের কষ্টটাও বুঝি।
কথা তো বলতেই হবে বন্ধু! ভয়হীন পৃথিবীটা তো মানুষেরই হবে! দায় তোমারও, আমারও!
আমার মেসো মৌলভিস্যার আর অপুদা দু-জনেই আজ নেই। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
এমন অসংখ্য টুকরো গল্প আমাদের ছেলেবেলার! তোমার, আমার, আমাদের গল্পগুলো বলতে হবে।
আজকে কয়টা মন্দ মানুষ আমাদের মা-খালা নিয়ে কটুকথা বলার সাহস পায়!
আরে বেকুব, মায়ের আবার ধর্ম কী!
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
১১ মে ২০২১
- মৌলভিস্যার, মেসো, মাতৃধর্ম ও কতিপয় বেকুব || উজ্জ্বল দাশ - May 11, 2021
- বিলেতে সেই জনসভার ৫০ বছর || উজ্জ্বল দাশ - April 7, 2021
- দি ইনফর্মার ১৯৭১ || উজ্জ্বল দাশ - March 26, 2021
COMMENTS