ঘুরপথ দিয়া আলাপের প্রসঙ্গটারে খেলাইতে ভালোবাসি আমি। যদি সুযোগ থাকে তাইলে আমি কখনো সোজাসুজি মূল কথায় যাই না, যাই আশপাশ ঘুরে একটু জটিল গ্রন্থিল পথ ধরে। হুদা আমি সহজসরল হতে যাব কেন যদি জটিল হবার সুযোগটা হাতে থাকে?
লোকে আমায় নিয়া অ্যাকিউজ করে যে আমি নাকি নিয়মমানা কাঠখোট্টা টাইপের, অথচ আমি তা না আদৌ। লোকে আমায় শাদা পৃষ্ঠার মতো বুঝে ফেলুক আমি তা চাই না। আমি নিজেকে দেখাতে চাই না তাদেরে। আমি চাই না তারা আমার গুণপনা, আমার পরাজয়, আমার ব্যর্থতা চাক্ষুষমাত্র পড়ে ফেলুক। কোনো চরিত্রে নিজেকে স্থাপন করার সময় আমি কখনোই নিজের ওই একান্ত বৈশিষ্ট্যগুলা হাজির করি না।
ব্যাখ্যা দিয়া আমি হয়তো বুঝাইতে পারব না, কিন্তু কথাটা সত্যি যে অভিনেত্রী হয়ে আমি নিজেরে নিয়া প্রায়শ সঙ্কোচ বোধ করি।
সিনেমার লিড ক্যারেক্টারে অ্যাক্টিং করতে যেয়ে দেখি যদি যে সহশিল্পী পুরুষ অভিনেতা আমার চেয়েও সুন্দর দেখতে, ব্যাপারটা আমারে হ্যাঁচকা টানে একদম গোড়াতেই বিমর্ষ করে ফ্যালে।
এখন যখনই ‘ইংলিশ প্যাশেন্ট’ সিনেমাটা দেখতে বসি, নিশ্চয় এঞ্জয় করি, ভীষণ ডাকাবুকো অভিনয় দেখতে পাই কুশীলব সকলেরই। কিন্তু কল্পনা করলেও জ্বর ছাড়ে গা দিয়া যে এই সিনেমাটায় একটানা ছয়মাস কাজ করতে হয়েছিল।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- শৈলিন উডলির কথাগুলি (৭) - August 11, 2019
- কেইটের কথাবাত্রা (১০) - July 25, 2019
- টিল্ডা টোল্ড (২) - May 12, 2019
COMMENTS