কোরবানের এই ঈদে হাটের মজাটা তেমন পাই নাই।
প্রতিবার যেমন হয়—হাটে যাই। প্রথমেই শহরের বাইরে দরবস্ত, তারপর গরু দেখতে দেখতে হরিপুর, এইভাবে শহরের দিকে আসতে থাকি। চিকনাগুল, শাহপরান। মাঝখানে আরো দুয়েকটা হাট। ছোট ছোট। গরু দেখতে থাকি। পছন্দের গরু বাজেটে মিলে না। গরুর সারি সারি লাইন। বড় বড় ষাঁড়। বলদ দেখি না। বলদ ভালো লাগে না। গরুর গোবর লাগে, মুত লাগে গায়ে। পায়ে। এইসব চলতে থাকে। আচমকা এর সাথে, ওর সাথে দেখা হয়। হইছে? কিনছো নাকি? বাজেট কত? হয় নাই। খুব দাম। কঠিন অবস্থা। তারপর মেজরটিলার দিকে আসতে থাকি। কী এক অজানা কারণে অত্র এলাকায় মেজরটিলার গরু খুব বিখ্যাত।
অ্যানিওয়ে। তারপর টিলাগড়। তারপর ডানদিকে যাই। শাহি ঈদগাহ। তারপর আমার এলাকায় আসি। উপশহর মাছিমপুর। এইভাবে দুই-তিনদিন কাটে। কোনোবার এমনও হইছে, বাইপাসের সবচেয়ে বড় হাটেও গেছি দলবল নিয়া। কিন্তু এইবার এমন কিছুই হয় নাই।
চার তারিখে দশমিনিটের মধ্যে গরু কিইনা ফেলছি এইবার। মেজরটিলার গরু! আমি বা আমার বন্ধু—গরু কিনতে পারায় খুব এক্সপার্ট, ব্যপারটা এইরকম না। আমার ধারণা, দুইজনেই খুব অলস। ভালো লাগছে। কিইনা ফেলা উচিত। এইরকম। বেপারি একটু দাম হাঁকায়। ইন্টারেস্টিং তার হাবভাব। তার ধারণা, আমি খুবই সহজ সরল একজন মানুষ। আমার সাথে বেশি দামদর কইরা লাভ নাই। কিন্তু নিজের দামটা ছাড়তে রাজি না সে।
ফ্যাক্ট হইলো কোইন্সিডেন্টালি ওই একটা গরুর ব্যাপারে আমি আর আমার বন্ধুর রুচি খুবই ঘনভাবে ম্যাচ করছে। সাধারণত এইরকম হয় না।
অ্যানিওয়ে, তারপর আর হাটে যাই নাই। পাশ দিয়া গেছি শাহি ঈদ্গাহে। প্রায়ই যাই ওইখানে। জুস খাইতে। রাতের বেলা। কিন্তু হাটের ভিতর যাই নাই আর। তাই ঠিক বলতে পারবো না বাজারের হাল। হাটের ভিতর থেইকা মাইকিং শুনছি এইরকম—যারা যে দামে গরু নিবা, সেই দাম বলবা; ঠিকমতো হাসিল দিবা। নাইলে আল্লা গুনা দিবে…
ঈদ মোবারক!
হাসান শাহরিয়ার ০৭ জুন ২০২৫
কুর্বানির ঈদ গানপার সংকলন ২০২২
COMMENTS