ধুমায় আইন্ধাইর দেশে প্রাগভবিষ্যের খবরবার্তা || আলফ্রেড আমিন

ধুমায় আইন্ধাইর দেশে প্রাগভবিষ্যের খবরবার্তা || আলফ্রেড আমিন

শেয়ার করুন:

ঘাতক সময়, ঘাতকদের সময়ে, সুরমাতীরে, ‘প্রাগভবিষ্যের পদাবলি’ শিরোনামে সত্যজিৎ রাজনের চিত্রপ্রদর্শনী দেখতে গেসিলাম৷ মানে একটা লম্বা জার্নি স্বল্পায়ু দিয়া রিচ করা, আলো-অন্ধকারের ফাঁকফোকর দিয়া,  আর্টকালচারের বিদ্যাপতি না হইলেও দেখা, শোনা, হাত তুলে সম্মতি দেয়া৷

একটা ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট সিঁড়ি দিয়া উইঠাই শেকলবাঁধা ঝুলন্ত ছবির দেয়াল, চোখে পড়ে, মনেও৷ অনিশ্চল, অস্থির,  তৎপর, বিক্ষুব্ধ।  চিলেকোঠায় মানুষের শব্দ বাদেও, বিষণ্ণতা-এনলাইটেন্ড ছবিগুলার প্রত্যেকটা চরিত্র কথা বলতেসে, শোনা যায়। মনে হইতে পারে একটা থমথমে ট্রায়ালঘর, কাফকার।

প্রকারবিশ্লেষে এই ছবিগুলা, বন্ধুদের মুখ মনে করায়া দিতেসে মনে হইলো। কেন মনে হইলো, এখনই বাইর করতে পারতেসি না। অর্ধেক মুখ, কাটা গোশতের মতো একটুকরো চোখ, চেনা না-চেনা, তোমার, আমার৷ রঙ ও রক্তের এই তীব্র রেখাপাত শীতার্ত করে দিতেসিলো৷

ভাসাডোবা সন্ত্রস্ততার ভেতর দিয়া একলা সত্যজিৎ রাজনই বোধহয়, এখন, এই কূলবিনাশী নরখাদকদের দেশে, বঙ্গেবিবঙ্গে, মুখ লুকাইবার অন্ধকারটুকু পার হয়া আসলেন৷ ব্র‍্যাভো!

ঘেন্না, ভয়, এই হাজার বছরের সন্ত্রস্ততা কোথায় নিয়া যাবে বুঝতেসি না। কিম্ভুতকিমাকার এই বঙ্গে উদর ভজনালয় আর স্যানাটোরিয়ামসদৃশ শহর সিলেটে এইটা একটা আজব ঘটনাই৷

উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে জীবনানন্দ দাশের উপস্থিতির খবর পাওয়া গেসে৷


আলফ্রেড আমিন রচনারাশি
সত্যজিৎ রাজন এক্সিবিশন প্রতিবেদন

শেয়ার করুন:

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you