এবার সিজন শুরু হওয়ার বেশ কদিন আগে থাকতে বৃষ্টি দিতেছে। এতদিনে আমাদের ভিটায় ঢেঁড়স, ডাটাশাক, আর নালিশাকের একচ্ছত্র দাপট থাকত। এবার কিছুই নাই। ওদের জায়গায় হাতখানেক লম্বা ঘাস বৃষ্টির আশীর্বাদ পেয়ে মনের সুখে ফৈয়াজ খাঁ ঠুকতেছে। মা বাড়িতে নাই। তিনি না থাকায় এই প্রথম আমার উপর ক্ষেতগিরস্তির ঝায়ঝামেলা চেপে বসেছে। আমি ক্ষেতগিরস্তি, সবজিচাষ, মাছচাষ — এইগুলাকে ছোট থেকেই আপন করে নিতে পারিনি। বাবা ছিলেন দেশি মদের ব্যবসায়ী। পেশা লিখতেন ‘কৃষক’। কিন্তু তিনিও চাষবাসে মনোযোগ দেননি। যা করার মা-ই করতেন। বলতেন, এখনো বলেন, — ভাত থাকলে বাঘেও ডরায়। আমার ভাই এইসব একদম ভাল্লাগে না। এর চাইতে বাজারের টং-দোকানদার, মুচি, টমটমের ড্রাইভার — এদের পেশাকেই চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। বাজার থেকে এককেজি ঢেঁড়স আর আর একআঁটি রামাই এনে পরিবারকে বললাম, ঢেঁড়স দিয়া ইরনবি করো, নাগা মরিচ আর ইয়ংচাক তো আছেই। এইসবের সাথে কড়কড়া রামাইভাজা!! আহা!! জীবনে আর কী লাগে ঠাকুর!! সারাদিন গরুর পিছনে পিছনে ‘এর’-‘তিতি’ করে করে জীবনের ছায়াপড়া রোদের দুপুরগুলি খোয়ানোর কোনো মানে হয়!!
- ভিক্টোরিয়া অ্যামেলিনা ও যুদ্ধদিনের ইউক্রেনীয় কবিতা || জয়দেব কর - February 17, 2025
- মাসুম পারভেজ : কবি, কাব্যগ্রন্থহীন || সরোজ মোস্তফা - February 7, 2025
- ছত্তার পাগলার সন্ধানে আহমেদ স্বপন মাহমুদ ও সরোজ মোস্তফা - January 28, 2025
COMMENTS