এই গর্জিয়াস গোরস্থানে দাঁড়ায়া ‘গরিবি অমরতা’-র কবরস্থানটাকে ইমাজিন করা কঠিন হয়ে গেল। সংস্কারকাজ চলছে। আব্বার কবর কোথায় ছিল, অনুমান করেই আগাতে হলো। এই নতুন ভার্শনে কোনো কবরফলক নাই। ফলে, আমার ‘অমরতা’ হাওয়া হয়ে গেল।
শুধু সেই ছেলেটা আছে, পাহারাদার। ছেলে নাই আর সে, ক্রমাগত মরণের চাপে বয়সের চেয়ে বেশিই বুড়া হয়ে গেছে। তবু আমারে চিনতে পারল। বলল, ঠিক জায়গাতেই দাঁড়াইছেন ভাইজান। এখানেই ছিল।
আশ্চর্য! আলাদা করে মনে রাখার কী কারণ ওর থাকবে? নাকি এভাবেই আমারে একটা চিরস্থায়ী সংশয় থিকা মুক্তি দিতে চাইল সে!
সেই কড়ুইগাছ নাই, হেরোয়িঞ্চিও নাই। প্রচুর অভাবী মানুষ বসে আছে চকচকে কবরস্থানের সামনে। খাবারের প্যাকেট নিমেষে ফুরায়া গেল।
কেমন একটা কর্পোরেট কর্পোরেট ভাব চারদিকে! আব্বার স্মৃতিচারণ করব, নাকি তাঁকে নিয়া লেখা গল্পের স্মৃতিচারণ করব, বুঝতে পারছি না!
Latest posts by গানপার (see all)
- লোককবি তাজউদ্দিন ও তাঁর গান || জফির সেতু - November 25, 2025
- শাহজালাল শাহপরান গ্রামবাঙলায় গাজির গান || তুহিন কান্তি দাস - November 22, 2025
- আমাদের গ্রামের নাম আমাদের নদীর || কাজল দাস - November 19, 2025

COMMENTS