হ্যাভ অ্যা হ্যাপি নিরন্তর জার্নি, ঋতুপর্ণ! || কাজল দাস

হ্যাভ অ্যা হ্যাপি নিরন্তর জার্নি, ঋতুপর্ণ! || কাজল দাস

ঋতু তার সমগ্র জীবন দিয়ে মানুষের সম্পর্কটাই বুঝতে চেয়েছিলেন।


তিতলিতে মা আর মেয়ের চোখে একই প্রেমিকের গল্প। মা প্রেমিককে ভুলে যেতে চায় আর মেয়ে সেই প্রেমিকরে বাঁচিয়ে রাখে ঘর জুড়ে, দেয়াল জুড়ে। একই প্রেমিকের জন্য মা-মেয়ের চোখের কোণে জলের বিস্মরণ।

বাড়িওয়ালি  সিনেমায় দেখাতে চেয়েছেন এক বিগতযৌবনা মধ্যবয়সী নারীর বেগবান কামনার তিথি জেগে ওঠার গল্প।

অসুখ  সিনেমায় সেই নিরূপায় বাবার গল্প যে মেয়ের উপার্জন মানতে পারে না আবার এই উপার্জন ছাড়া বাঁচতেও পারে না।

কিংবা আবহমান  সিনেমায় দীপ্তি আর শিখার মাঝে দাঁড়িয়ে-থাকা দোদুল্যমান প্রেমিক অনিকেত।


প্রতিটি সিনেমাই ছিল সম্পর্কের ভেতর দিয়ে যাওয়া আর আসার নিরন্তর জার্নি।

চিত্রাঙ্গদা  গল্পে নিজের রূপান্তরকামী হবার বাসনাটিও গোপন রেখে যেতে চাননি তিনি।

মানুষ হয়ে জন্ম নেয়া ঋতুর আজীবনের সাধ ছিল বনমালী হওয়ার।


এই জন্মে পারে নাই, পরজন্মে ঋতুবতী হয়েই ফিরে এসো!
আমি তোমার আজন্ম প্রেমিক হতে চাই।


শুভ জন্মদিন, ঋতু!

কাজল দাস রচনারাশি

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you