বলেন হেলেন মিরেন (২)

বলেন হেলেন মিরেন (২)

সিনেমায় ন্যাংটা দৃশ্যে অভিনয় করার মধ্যে সেক্সি কিছু নাই। জিনিশটা বরং অস্বস্তিকর। কাপড় খোলার চেয়ে আমি পরতেই বেশি পছন্দ করি।

আমি ব্রিটিশ। ভালো-মন্দ সব মিলিয়েই ব্রিটেইন আমার জান। আমার হাজব্যান্ড অ্যামেরিকান এবং আমরা বছরের বড় সময়টা থাকি লস-অ্যাঞ্জেলেসে। কিন্তু যখনই কেউ জিগায় আমার বাড়ি কই, ফস করে আমার মুখ দিয়া বাইরায় ‘লান্ডান’!

গোয়েন্দাবৃত্তির পেশায় নারীর ভূমিকাটাকে এখন পর্যন্ত অবমূল্যায়িত করে যাওয়া হচ্ছে, স্বীকৃতির দিক থেকে এই পেশায় নারীর অবদান খাটো করে দেখা হয়। এইটা ভারি অন্যায়। জাসুসির পেশায় নারীর অংশগ্রহণ ও ভূমিকা আরও বেশি বেশি দরকার।

মানবসভ্যতায় পার্কিন্সন রোগের শিকার মানুষগুলোকে একদল উদ্ভট মনে করার কোনো যুক্তি নাই। চিকিৎসাশাস্ত্র রোগটা নিয়া কাজ করছে, এখনও সুরাহা করে উঠতে পারেনি।

আমি খুবই স্পিরিচুয়্যাল। ছোটবেলায় আমি জ্বিনপরিদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতাম। পরির অস্তিত্বে এখনও বলতে গেলে বেশ আস্থা আছে আমার। ভূতেপ্রেতেও বিশ্বাস করি। ঈশ্বরবিশ্বাসটার কথা জানতে চাইলে বলব, ফোঁটা পরিমাণেও নাই ঈশ্বরে বিশ্বাস।

যে জায়গাটায় বেড়ে উঠেছ তুমি সেই জায়গাটা বাকি জিন্দেগি জুড়ে তোমার অচ্ছেদ্য অংশ হয়ে রয়। এই জায়গাটা থেকে যেমন পালাতে পারো না তেমনি যেখানেই যাও তোমার বিকাশের সেই দিনগুলোর স্মৃতিবিজড়িত জায়গাটা তুমি ছেঁটে ফেলতেও পারো না। পালাতে চাও যত, ততই জায়গাটা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ায়ে ধরে আরও বেশি করে। তুমি জীবনে যা, তার পিছনে সেই জায়গাটার ভূমিকা অপরিসীম।

অভিনয়শিল্পীরা প্রায়শ বজ্জাত এবং ভ্যাগাবন্ড। অথবা তাদেরে ভ্যাগাবন্ড ও বজ্জাত হতেই হয়, না-হয়ে উপায় নাই বলে।

অন্যেরা তোমায় নিয়া কী ভাবে বা তোমারে কেমন নজরে দেখে, এই জিনিশগুলা তুমি তো কন্ট্রোল করতে পারবা না। যা তুমি করতে পারো তা-ই করো, মানিয়ে নাও।

সবার জীবনেই বলতে গেলে এমন মুহূর্ত আসে যখন বুঝতে পারে যে সে প্রেমে পড়েছে। এইটা দারুণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হবার কথা, কিন্তু না, তা হয় না। ব্যাপারটা সবসময় ভয়ের, কেননা আপনি জানেন যে ফজর হবার আগেই পিরিতির মোহন সুখ পর্যবসিত হবে ব্যথায়, বিচ্ছেদ অথবা প্রতারিত হবার বেদনায়, যা ছাইদানিতে পড়ে থাকবে তা হচ্ছে সম্পর্কের তিক্ততা।

ফোটোগ্র্যাফি ভালোবাসি আমি। ভীষণ ভালোবাসি আমি আলোকচিত্রকলা।

বাগান করাটা সানন্দ একটা লার্নিং সবসময়। ধারাবাহিক এবং ননস্টপ একটা লার্নিং। রোজ কিছু-না-কিছু যদি শিখতে চান চুপিসারে তাইলে বাড়িতে ব্যাল্কোনিতে বা কামরার ভিতরে ফ্লোরটবে বাগান করুন, বাগানের পরিচর্যা করুন নিজহাতে।

এখনও আমার মধ্যে জিপ্সিদের খাসলত রয়ে গেছে। বেদেনিদের সেন্স অফ অ্যাডভেঞ্চার। আমার মনে হয় না সারাজীবনে একবিছানায় আমি তিন থেকে চারমাসের বেশি শুয়েছি। খাটপালঙ্ক থেকে শুরু করে জায়গা পাল্টাই আমি ঘনঘন। নয়া বাসায় যাই, আবার নতুন উদ্যমে সব্জিবাগান করি, কিন্তু নিজে সেই সব্জির অল্পই খাওয়া পড়ে। বাসা পাল্টাই। ফুলচারা লাগাই, পানির ঝাঝ্রি দিই, কিন্তু ফুলফোটা দেখার আগেই আবার নয়া বাসায়। আল্লার দুনিয়ায় খালি ঘুরে ঘুরে বেড়াইতে আমার মন চায়।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

বিদিতা গোমেজ

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you