জ্যোৎস্নাসম্প্রদায় হাতে পেয়ে এমন মনে হয়েছিল যে এটি হয়তো একটি ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমার বিশ্বাস এ বই নিয়ে অনেক তর্কবিতর্ক হবে এবং বইটি পাঠকদের কাছে সমাদৃত হবে।
জ্যোৎস্নাসম্প্রদায় লেখা শুরু করি বছর পাঁচেক আগে। তখন মনমতো না-হওয়ায় কয়েকটা কবিতার পর লেখা বন্ধ করে দিই। মাঝখানে আরো দুই/একবার চেষ্টা করি, কিন্তু হয়নি। মার্চের শেষের দিকে লকডাউন শুরু হলে আচমকাই লেখা শুরু করি। তখন মনে হলো আমি যে-ভাষাটা খুঁজছিলাম সেটা এসে ধরা দিয়েছে। ভাবলাম এটার জন্য ধ্যান ও মগ্নতা দরকার। করোনার অজুহাতে বউ আর বাচ্চাদেরকে সিলেটে পাঠিয়ে দিলাম। দীর্ঘ ছয়মাস পরিবারবিহীন থেকে ডুবে রইলাম জ্যোৎস্নাসম্প্রদায়-এ। এজন্য আমার স্ত্রী নাসরিনের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
কুড়িটা কবিতা লেখার পর কবি শামীম রেজাকে পাঠাই। কয়েকদিন পর শামীমভাইয়ের ফোন — আবেগজড়ানো কণ্ঠে তিনি কবিতাগুলোর খুব প্রশংসা করেন, আর বলেন, “পুরা পাণ্ডুলিপির জন্য আমি অপেক্ষা করছি। তাড়াতাড়ি লিখে পাঠাও।” তখন আমার মনে হয় আমি যা লিখতে চাচ্ছি তা-ই হয়তো হচ্ছে।
এই সময়েই কয়েকটি কবিতা পাঠালাম মোস্তফা হামেদী ও মতিন রায়হান ভাইকে। তারাও দারুণ অ্যাপ্রিশিয়েট করলেন। এই দুই কবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
কবি ও গদ্যকার জাহেদ আহমদের সহযোগিতা ভুলবার নয়। সে কয়েকবার এ-বইয়ের পাণ্ডুলিপি পড়েছে এবং সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে পরামর্শ করেছি। জাহেদই প্রথম বলল একটাকিছু ঘটতে যাচ্ছে। ইট ইজ সামথিং ডিফ্রেন্ট।
আমার বিশ্বাস আরো দৃঢ় হলো। জাহেদকে বললাম প্রতিটি কবিতার সঙ্গে একটা করে স্কেচ দিতে চাই। এই কাজটাও জাহেদ করে দিলো। শিল্পী সত্যজিৎ রাজনকে বলে ৬৬টি স্কেচ করিয়ে দিলো। জাহেদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সত্যজিৎকে ভালোবাসা।
জ্যোৎস্নাসম্প্রদায় সিরিজের কয়েকটি কবিতা পড়ে জলধির প্রকাশক নাহিদা আশরাফী পুরো পাণ্ডুলিপি চায়। পরে জলধি থেকে প্রকাশের আগ্রহ ব্যক্ত করলে জলধিকে বইটা প্রকাশের দায়িত্ব দিই। দারুণ একটা প্রোডাকশনের জন্য প্রকাশককে অনেক ধন্যবাদ।
বইটি পাঠকদের হাতে হাতে ঘুরুক, এই আশা। কবিতার জয় হোক।
নভেম্বর ২০২০
জাকির জাফরান রচনারাশি
জ্যোৎস্নাসম্প্রদায় রিভিয়্যু
- রিপন মিয়ার জীবন ও সাহিত্য || কাজল দাস - October 14, 2025
- চেজিং হোমার / লাসলো ক্রাসনাহোরকাই || অনুবাদ / কয়েস সামী - October 13, 2025
- আহমদ রফিক : শতবর্ষী বিরিখের প্রস্থান - October 13, 2025
COMMENTS