জুলিয়ার বাতচিত (৬)

জুলিয়ার বাতচিত (৬)

এখন আর ইচ্ছামতন অগোছালোভাবে বাইরাইতে পারি না। কারণ, এখন জীবন বদলে গেছে, সেই আগের জীবন নাই আমার আর, ব্যস্ততাও এখন অন্য কিসিমের। আমার মনে আছে একটা টাইমে, যখন উচ্ছল যৌবনদিন ছিল আমার, একটাকিছু টপ চাপিয়ে প্রিমিয়ারে চলে গেছি দ্বিতীয়বার না ভেবে। এখন তা আর হয় না। আমাকে এখন পার্ফেক্ট এবং ফেব্যুলাস হতে হয়। নাইলে লোকে বিরক্ত চউখ নিয়া তাকায়।

আমি নিতান্তই গড়পড়তা মানুষ একটা, পার্ফেক্ট তো না কোনোমতেই, একদমই অ্যাভারেইজ, টোট্যাল একটা গিক বলতে যা বোঝায় তা-ই।

ছোটবেলায় অ্যাব্রাহাম লিঙ্কনের উপ্রে ক্রাশ খাইসিলাম আমি। ভীষণ প্রেম বোধ করসি উনার প্রতি পিচ্চিকালে। এখন এই বয়সে এসে ক্যান এইটা আমি রিভিল করতেসি? আমি জানি না, রিয়্যালি, আই ন্য নট।

ন্যুডিটি দিয়া আমি অভিনয় করতে চাই না পারতপক্ষে। ন্যাংটো হয়া আমি তো অভিনয় স্বেচ্ছায় করতে যাই না, ক্যারেক্টার ইত্যাদির দরকারে ডিরেক্টর করান আমারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যদি আমারে জিগান আর-কি, যে, জামা গায়ে দিয়া ক্যামেরার সামনে কাম করারে বলে অভিনয়, আর জামাছাড়া নাঙ্গা ক্যামেরায় খাড়ানোরে বলে তথ্যচিত্র বড়জোর।

বয়স যত তোমার বাড়তির দিকে যাবে ততই তুমি বুঝতে পারবা যে জিন্দেগি খুবই ভঙ্গুর আর নাজুক। এইটা ভাবার ফলে একটা লাভ হয় যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকালবেলায় ফুর্তি নিয়া বিছানা ছাড়া যায় এবং ফুর্তি নিয়াই দিনটা স্টার্ট করা যায়।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

বিদিতা গোমেজ

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you