কেইটের কথাবাত্রা (৮)

কেইটের কথাবাত্রা (৮)

আমি সবসময় চেয়েছি আমার বাচ্চাদের বাপ যেন তার ঔরসজাত সন্তানের জীবনের সবটুকুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। কেবল যে বাচ্চাদের দৈনন্দিন অ্যাস্পেক্টগুলার লগেই নিজেরে সম্পৃক্ত রাখবে তা না, আমি চাই সে যেন তার বাচ্চাদের আবেগিক রূপান্তর-পরিবর্তনগুলার সঙ্গেও জড়ায়ে রাখে নিজেরে, এমনকি বিকাশের ছোটখাটো তুচ্ছাতিতুচ্ছ ব্যাপারগুলার লগেও ওরা যেন তাদের বাপকে কাছে পায়, এবং সবসময় চেয়েছি বাচ্চাদের জন্যই যেন আমরা বাপ-মা ভাবতে বাধ্য হই যে আমরা আছি।

যে-কোনো ধরনের সেল্ফ-এক্সপ্রেশনের আদ্ধেকটাই কনফিডেন্স, বাকিটার মধ্যে খানিকটা শারীরিক খাটুনি বা পরিশ্রম ও অধ্যবসায়, খানিকটা ট্যালেন্টেরও যোগসাজশ মনে হয়।

মাল্টি-ফ্যাসেটেড আর ইনক্রেডিব্লি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রগুলাই করতে চেয়েছি আমি সবসময়। কেননা আমার মতে আমরা প্রত্যেকেই একেকটা ধাঁধা।

একজন অ্যাডাল্ট এবং একজন মা হিশেবে আমি যখন অভিনয় করছি না, আমি সব অর্থেই অভিনয় করছি না। মা হিশেবে আমি ইশকুলে দৌড়াই বাচ্চাদেরে নিয়া, বাস্তবেই তা করি নিরভিনয় এবং তাদের মোজায় রিফু করে দেই বা এইটাসেইটা সারাক্ষণই কিছু-না-কিছু করার মধ্যেই থাকি। জিনিশগুলায় ছিঁটেফোঁটা অ্যাক্টিং নাই। ঠিক এই কাজগুলাই দিনরাত করি আমি রিয়্যাল লাইফে ক্যারিয়ারপেশার কাজের বাইরে।

আমার ভিতরের একটা অংশ সবসময় আমারে খোঁচাইতে থাকে আমি অন্য অভিনেত্রীদের মতো অত ছিপছিপা স্বাস্থ্যকৃশ স্লিম না বলে। এই ভিতরগত অবচেতনের অংশটা আমারে একটা চাপের মধ্যে রাখে সবসময়।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you