শেষমেশ জিন্দেগি কিন্তু দুবারা না মিলেগি। জিন্দেগি এই একটাই। জীবন হাতে নিয়া বসে থাকলে তো হবে না। ট্রাই করে যাওয়াই জীবনের সারকথা। সারাজীবনে কেউরে কিসুই জিগাইলেন না, তাইলে জীবন থিকা আপনি কী আর আশা করতে পারেন বলেন?
নারীত্বের মানে বলতে আমি বুঝি হ্যাপিনেস এবং ফ্রিডম। শইল্লের শেইপ নিয়া ভাবনাচিন্তা আর সাইজ নিয়া ঘুমনিদ্রা হারাম করার হাত হইতে মুক্তির নামই নারীত্ব।
রাস্তায় বেরোলে একটা জিনিশ তো আন্দাজে বুঝি যে লোকেরা আমায় মাপছে। মেপে বুঝে উঠতে চাইছে আমার বুনিজোড়া সাইজের কি না, আমার ফিগার আদর্শ মাপজোখের আওতায় ফালানো যায় কি না ইত্যাদি ইত্যাদি। নিশ্চয় আমি জিরো ফিগারের অধিকারিণী না। আমার শইল্লের গড়ন মোটাসোটা। আমি স্ফীতকায়। কিন্তু এইসব নিয়াও যদি নিজেরটা আমি নিজে জুটিয়ে নিতে পারি, নিজে যা চাই তা করতে পারি, তাইলেই ঠিক আছি আমি।
পস্তানো মোটেও কাজের কিছু না। আফসোসে মেলে না কিছুই। জীবনে যা-কিছুই করেছেন আপনি, কিছু-না-কিছু কারণেই নিশ্চয় করেছেন সবই। কিন্তু মন্দ কিছু ঘটলেই আমরা আফসোস করি, রিগ্রেট করি, পস্তাই। আমার মধ্যে এইসব পস্তানোফস্তানো নাই। যখনই কিছু ঘটে যা আমার মনঃপূত না হয়তো-বা, ভাবি নিশ্চয় এই ঘটার পিছনে একটা কারণ আছে। বা, ভাবি যে এর থেকে শেখার ব্যাপার আছে যা হয়তো পরে কাজে লাগবে।
ছোটবেলায় কাউকেই বলতে শুনিনি যে সে তার শরীরটা ভালোবাসে। একজন নারীকেও পাই নাই এমন বলছেন আমার চারপাশের চেনা পরিবেশে। আমার মা, আমার বড় বইন, আমার বেস্ট বান্ধবী কাউরেই বলতে শুনি নাই তারা তাদের শরীরটারে ভালোবাসে। কেউ বলে নাই যে হ্যাঁ আমি আমার শরীর নিয়া হ্যাপি, যেমনই হোক এইটা আমার শরীর আর এইটা নিয়া আমি প্রাউড বোধ করি। তাই এখন আমি আমার মেয়েকে এই কথাটা প্রায়ই বলি। ওকে শোনাই যে এই শরীরটা আমার এবং আমি এইটা ভালোবাসি। শরীর নিয়া পজিটিভ চিন্তাভাবনা মানুষেরে একদম ছোটবেলা দিতে না পারলে বাড়বাড়ন্তি ঠিকঠাকমতো হয় না।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- ফেঁসে-যাওয়া ফিতায় ফিলিংস ও নগরবাউল দিনগুলি || ইলিয়াস কমল - October 3, 2023
- চন্দ্রাবতীর পুত্রগণ :: পর্ব ২৬ || শেখ লুৎফর - September 28, 2023
- গ্রাসরুটসের গান, অনিয়মিত অসাহিত্যিক অবদমনাখ্যান ১৩ - September 26, 2023
COMMENTS