বাউলগানের পরম্পরায় ক্বারী আমীর উদ্দিন আহমদ এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। তাঁর সুরেলা কণ্ঠের আকর্ষণে গানের আসরে ছুটে আসতেন হাজার-হাজার আবালবৃদ্ধবণিতা। তবে যারা আমীর উদ্দিনকে ভালোভাবে চেনেন, তারা নিশ্চয়ই এই ‘হাজার’ শব্দটাতে ওজরআপত্তি তুলতে পারেন। তারা দাবি করবেন, ক্বারী আমীর উদ্দিনের গানের আসর মানেই লাখো মানুষের সমাগম।
‘হাজার’ কিংবা ‘লাখ’ — আমীর উদ্দিনের গানপ্রিয় শ্রোতার পরিমাণ যা-ই থাকুক, সেটা বড় বেশি মুখ্য নয়। মুখ্য বিষয় হলো — যেসব এলাকায় তাঁর গানের জলসার আয়োজন করা হতো, সেসব স্থানে অনুষ্ঠান শুরুর আগে থেকেই দর্শক/শ্রোতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হতো আয়োজকদের! চোখ বুজে নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায়, এমন লোকপ্রিয় বাউল-গায়কের সংখ্যা নিতান্তই অল্প।
সেই অল্পসংখ্যক গায়কের মধ্যে ক্বারী আমীর উদ্দিন আহমদ এক বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছেন। দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী হয়েছেন সেই কবে, তাও কম সময় নয়। এরপরও ক্ষেত্রবিশেষ বাউলগানের আলোচনায় আমীর উদ্দিন ঘুরেফিরেই হাজির হন। বিশেষত সিলেট অঞ্চল, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আলমপুর গ্রাম, যেখানটায় আমীর উদ্দিনের বাড়ি, সেখানে তাঁর গানের মোহনীয় সুরের ঘোর এখনও কাটেনি।
আলমপুরের পাশ দিয়ে বহে-চলা সুরমা নদীর শাখা তেতইখালি যেমন দিনে দিনে নাব্যতা ও অস্তিত্ব হারিয়ে ম্লান ও ধূসর হয়ে পড়ছে, তেমনি আমীর উদ্দিনও তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন এক বিস্মৃতপ্রায় নামে পরিণত হয়েছেন। অথচ সিলেট তথা হাওরাঞ্চলে সেই আমীর উদ্দিনের গানের জলসা আয়োজন করা হতো অনেকটা উৎসবমুখরতার মধ্য দিয়ে। সেই কবেকার কথা। লেটারপ্রেসে এবড়ো-খেবড়ো লাল হরফের একরঙা পোস্টার সাঁটিয়ে আর সয়াবিন তেলের খালি টিনে লাঠি পিটিয়ে আমীরের গানের জলসার খবর পৌঁছে দেওয়া হতো গ্রাম-গঞ্জ-বন্দরে।
‘বিরাট গানের জলসা’ শীর্ষক এ আয়োজনে যোগ দিতে দশ-কুড়ি ক্রোশ দূরের সংগীতানুরাগীরা ভিড় জমাতেন। তাঁর গানের এমনই টান, তাঁর গানের এমনই মায়া! জনশ্রুতি রয়েছে, আমীর উদ্দিন যখন কোনও আসরে গান গাইবার জন্য বায়না রাখতেন, তখন তাঁর দাবিকৃত পুরো টাকা ওইদিনই আয়োজকদের সমঝিয়ে দিতে হতো। বিনিময়ে আমীর উদ্দিন আয়োজকদের হাতে তাঁর নিজের ব্যবহৃত বেহালাটি তুলে দিতেন। নির্দিষ্ট দিনে আমীর তাঁর বেহালা আনতে ওই গ্রামে/গঞ্জে যেতেন। এরপর গান গেয়ে আমীর বেহালা নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। এ ধরনের দু-তিনটি বেহালা আমীরের ছিল, এসব বেহালা বায়নার পর এক হাতে হয়ে আরেক হাতে ঘুরত।
বছর ত্রিশেক আগে মৌলভীবাজার জেলা সদরের মাঠে এক মালজোড়াগানের আসরে নেত্রকোনার বাউল-গায়ক আবেদ আলীর সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন ক্বারী আমীর উদ্দিন আহমদ। ওইদিন রাত ১২টায় আসর শুরু হয়। দর্শক/শ্রোতারা টিকেট কেটে আসরে অংশ নিয়েছিলেন। শুরুতেই আবেদ আলী বাহাসে আমীরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বললেন, ‘ক্বারী আমীর উদ্দিন এক লাখ টাকা গানের বায়না কিসের বিনিময়ে নিয়ে থাকে? আমি আবেদ আজ ফেরেস্তা হয়ে এসেছি তা দেখতে।’
এরপর মঞ্চে ওঠেন ক্বারী আমীর উদ্দিন। তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘আদম বানাইবার সময় আল্লা আবেদ ফেরেস্তাকে শয়তান বলে লানতের মালা গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। আজকে আবেদ আবার কবে ফেরেস্তা হইল? আর ওই আবেদ এখন প্রশ্ন তুলছেন — আমায় কেন এক লাখ টাকা বায়না (শিল্পীর সম্মানি) দেওয়া হয়? তা তাঁকে বলছি — আমি গান গাওয়ার জন্য কোনও বায়না নিই না। আমার বেহালার কনসার্টের (বাদ্য-বাজানোর) দাম এক লাখ টাকা। বাংলাদেশের জীবিত বাউলদের মধ্যে যদি আমার মতো কেউ বেহালা বাজাইতে পারেন তাহলে আমি তাঁকে লাখ লাখ টাকা পুরস্কার দেবো। তাই কনসার্টের দাম এক লাখ টাকা। আর আমি আশিক-ভক্তগণের জন্য ওই আসরে গিয়ে গান ফ্রি উপহার দিই।’
ক্বারী আমীর উদ্দিন কথা শেষ করে তাঁর বেহালা হাতে নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ সংগীতটি কেবল বেহালার সুর দিয়ে বাজাতে থাকেন। মাইকের আওয়াজে তাঁর বেহালার সুর আশপাশের গ্রাম-শহরে বাতাসে ভাসতে থাকে। মানুষ পাগলপ্রায় হয়ে ছুটে আসেন আসরের দিকে। বাঁশের চাটি আর টিন দিয়ে মঞ্চস্থল-ঘিরে-থাকা বেষ্টনী ভেঙে আয়োজকদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজারো দর্শক মাঠের নির্দিষ্ট স্থানে ঢুকে পড়েন।
প্রচুর মানুষের উপস্থিতি হওয়ার পর ক্বারী আমীর উদ্দিন বেহালা বাজানো থামিয়ে আবেদ আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন — ‘এই বাদ্য-বাজানোর জন্যই আমি এক লাখ টাকা বায়না নিই। আর গান গাই মাগনা (ফ্রি)।’ এরপর আমীর তাঁর লেখা গান ধরেন — ‘এত সুন্দর করে এই যে বসুন্ধরা, রেখেছো তুমি সাজাইয়া / যেখানে যা সাজে তাই দিয়া।’ এ গল্পটি আমি বছর দুয়েক আগে শুনেছিলাম প্রয়াত বাউলসাধক দুর্বিন শাহের ছেলে আলম শাহের কাছে। তিনি ওই আসরে আমীর উদ্দিনের অন্যতম সফরসঙ্গী ছিলেন। আমীরের মোহনীয় গান শুনে নাকি আবেদ আলী ওইদিন আর কোনও গানই পরিবেশন করেননি।
ক্বারী আমীর উদ্দিনের লেখা বই নিয়ে দু-চার কথা লেখার আগে দীর্ঘ গৌরচন্দ্রিকা টেনে ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গাইলাম কি না তা জানি না। তবে আমার কাছে আমীরের বইয়ের আলোচনার আগে এ-রকম ভূমিকা যুক্তিসঙ্গতই মনে হলো। এতে বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রায় ‘অচেনা-অজানা-অখ্যাত’ এক বাউল গায়কের গায়নশৈলী সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা লাভ সম্ভব হবে। তো, সেই আমীর উদ্দিন কেবল গানই গাইতেন না, তিনি একজন ভালো গীতিকারও বটে। ‘গুলজারে মারেফাত’, ‘বিরহের উচ্ছাস’, ‘জ্ঞাননেত্র’ ও ‘পরশমণি’ শীর্ষক তাঁর চারটি গানের সংকলনও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে গুলজারে মারেফাত ও বিরহের উচ্ছাস — এ দুটি বই একত্রে গ্রন্থভুক্ত করে ‘আমীরী সঙ্গীত’ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি সম্পাদনা করেছেন শুয়েব আহমেদ শওকতি। অমর একুশে বইমেলা ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার জলছাপ প্রকাশন এ বইটি প্রকাশ করেছে। ৪৫০ টাকা মূল্যের এ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লোকমান আহম্মদ আপন।
‘আমীরী সঙ্গীত’-এ ২৫৬টি গান সংকলিত হয়েছে। এরমধ্যে গুলজারে মারেফাত-এ ১৩৭টি এবং বিরহের উচ্ছাস-এ ১১৯টি গান। সংকলিত গানের মধ্যে নবিতত্ত্ব, নিগূঢ়তত্ত্ব¡, মুর্শিদতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, বিচ্ছেদ, বারোমাসি, গোষ্ঠ, আঞ্চলিক পর্যায়ের গান উল্লেখযোগ্য। প্রগতিচিন্তা ও বস্তুবাদ তাঁর গানের অন্যতম উপকরণ। মূলত ধর্মের অপব্যাখ্যা ও কাঠমোল্লাদের বিরুদ্ধে তাঁর সতত ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে অধিকাংশ গানে। বাউলদের মানুষভজনতত্ত্বকে তিনি সবার আগে স্থান দিয়েছেন। মানুষের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তা বিরাজমান — এ তত্ত্বই তাঁর গানে পরিস্ফুট হয়েছে। আমীর উদ্দিন তাই জানাচ্ছেন — ‘আরব দেশের কাবা ছেড়ে, দিলের কাবা ধরো’।
‘দিলের কাবা’-র সন্ধান পেতে হলে মনের ‘আবর্জনা দূরে ফেলে’ এগোতে হবে। এক্ষেত্রে ‘দয়াল মুর্শিদ বিনা’ পরিত্রাণ সম্ভব নয়। তাই আমীরের উপদেশবাণী — ‘মুর্শিদ প্রেমেরই দোকানদার / ভক্তি মাশুল মূল্য দিয়া, করে লও উদ্ধার। / ওরে মাল কিনিয়া মারিফতে / হকিকতে ভাবের পাইকার সাজলে না।’ মুর্শিদের প্রতি আত্মনিবেদন না-থাকলে ভক্ত কখনওই ভাবের পথের সন্ধান পায় না। মুর্শিদের সত্তা ও রূপে স্বয়ং আল্লা মিলেমিশে একাকার বলে ক্বারী আমীর উদ্দিন দাবি করছেন। তাঁর মতে :
আশেকের পরান আল্লা মুর্শিদ ছুরতে
আলিফ লাম মীম আহাদনূরী, পয়দা ইনছানিয়াতে
মুর্শিদরূপ স্বরূপে খোদা, ওই রূপে না ভাব জুদা
প্রেমেতে রয় জগৎ বাঁধা, রহমত মিলে খেদমতে
মুর্শিদের উছিল্লা করি, করিতেছেন লুকোচুরি
ইলাইহিল ওয়াছিলাতা, প্রমাণ রয় কোরানেতে
কল্পতরু মুর্শিদ যথা, শিষ্য হয়ে ভক্তিলতা
আমীর উদ্দিন নোয়ায় মাথা, মুক্তি আছে ভক্তিতে
মানুষের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার বসবাস — এটি বাউল-ফকিররা পরম্পরায় বিশ্বাস করে আসছেন। আমীর উদ্দিনও একইভাবে জানাচ্ছেন, ‘আপন ঘরে রাসুল আল্লা, মক্কা কাবা বায়তুল্লা’। মানুষ কিংবা মুর্শিদ — প্রত্যেকের অন্তরেই সৃষ্টিকর্তা বিস্তৃত, এটি সারবাণী ধরে নিয়ে এই ‘ভবসাগরে’ সৃষ্টিকর্তার-বন্দনা এবং মানুষকে ভালোবাসার মন্ত্র মুর্শিদের কাছ থেকেই গুরু পরম্পরায় পেয়ে আসছেন সিলেটের বাউলেরা। অনুরূপভাবে আমীর উদ্দিনও এই ‘মুর্শিদ নামের তরী বেয়ে’-ই সাধনপথের পথিক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তাঁর গানে। মুর্শিদ-শেখানো পথে হেঁটে কাম, ক্রোধ, লোভ দূরে ঠেলে দিতে চাওয়ার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন।
দুই
আমীরী সঙ্গীত-বইয়ে যেমন নিগূঢ়তত্ত্বের গুহ্য বিষয়াদি স্থান পেয়েছে, তেমনি কট্টরপন্থী কাঠমোল্লাদের দ্বারা সমাজে প্রচলিত ধর্মের অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধেও ভাষ্য রয়েছে। এ-রকমই একটি গানে তিনি লিখেছেন :
নাপাক ধুইলে পাক হয় কেমনে
যে বীর্যে জনম নিয়েছো, নাপাক কয় আলেমগণে
বীজ যে জাত গাছ তেমনি হবে, নাপাকের চিজ নাপাকই রবে
কাকের বাচ্চা ময়না ভবে, হয় না কোনও প্রমাণে
যদি চলো নৌকা বাইয়া, পানি উঠে ছিদ্র হইয়া
গলুইয়ে ঝালা ছিদ্র থুইয়া, ডুবে মরবে পরানে
বায়ু এলো গুহ্যদ্বারে, হাত পা ধুইয়া অজু করে
এইটা আবার কোন প্রকারে, সার বুঝে না অজ্ঞানে
যারা দ্বিলের ময়লা ফেলে দূরে, ষোলো রিপু বাধ্য করে
খাঁটি অজু বলে তারে, পাগল আমীর উদ্দিনে
আমীর উদ্দিনের লেখা গানগুলো এ-রকমই। এসব গানের কারণেই তিনি কট্টরপন্থীদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় গানের জলসা আয়োজনের আগে আমীর উদ্দিনের বিরুদ্ধে কাঠমোল্লারা প্রবল প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। আমীর উদ্দিন এসব প্রতিরোধের জবাবে ওইসব ব্যক্তিদের ধর্ম-সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে প্রকাশ্যে বিতর্কে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। কোনও কোনও এলাকায় স্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে গান পরিবেশনের আগে আমীর উদ্দিনের বাহাসও হয়েছে। আমীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে কোরান-হাদিসের আলোকে প্রচলিত ধর্মের অপব্যাখাগুলো তাঁদের কাছে তুলে ধরেছেন। কোরানের সঙ্গে গানের কোনও দ্বন্দ্ব নেই — এ নিয়েও ধর্মের আলোকে প্রবল যুক্তি উপস্থাপন করতেন আমীর উদ্দিন। এসব নানা কারণেই ব্যক্তি আমীর, তাঁর কণ্ঠ, তাঁর গানের পঙক্তি — সবকিছুর প্রতিই সাধারণ মানুষের ছিল তুমুল আগ্রহ।
ক্বারী আমীর উদ্দিনের তুমুল আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা অসংখ্য গান আমীরী সঙ্গীত বইয়ে স্থান পেয়েছে। এ বইয়ের পরতে-পরতে রয়েছে বাউলসাধনতত্ত্বের বিষয়াদি। নারীর রজঃস্রাবের তিনটি দিনের প্রসঙ্গ অপরাপর বাউলদের গানে যেভাবে এসেছে, সেটাই ক্বারী আমীর উদ্দিনের গানে এসেছে একটু অন্যভাবে। এ প্রসঙ্গে আমীরের ভাষ্য :
বাতি জ্বলে নিরলে কদম তলে
দ্বিলের কাবা মনলোভা, সাধনে দ্বার খোলে
কোহেতুরে নিশান উড়ে, চারি রংয়ের ফুলে
এক পায়ে তিন পথে চলো, রাজ দরবার গেলে
তারাপতির অমাবস্যায়, চাঁদ উঠে পাতালে
মায়ে দেখে পুত্রের ছবি, বসিয়া কপালে
পরশমণি মীন ভাসেরে, শোনিতের সলিলে
কামের ঘরে প্রেমের জ্যোতি, পরশমণি মিলে
দরবেশ আনাছ আলীর তথ্য, আমীর উদ্দিন বলে
ভেদ বাতুনী মারিফাত, কুলকলেমার কলে
সাধনতত্ত্বের গানের পাশাপাশি আমীর উদ্দিনের বহুল শ্রুত ও প্রচারিত প্রেম-বিচ্ছেদ এবং আঞ্চলিক পর্যায়ের গানগুলোও বইটিতে সংকলিত হয়েছে। এসব গানে আমীরের নিজস্ব ভাবনা ও বিচিত্র চিন্তাচেতনার পরিচয় পাওয়া যায়। আমীর উদ্দিন তাঁর বিশ্বাস ও বোধ থেকে নিজস্ব নন্দনভুবন সাজিয়েছেন। সে-নন্দনভুবন সাধনতত্ত্বে ঠাসা, নিগূঢ়তত্ত্বে পরিপূর্ণ আর উচ্ছ্বলতায় বিচিত্র। আমীরী সঙ্গীত বই সম্পর্কে কেবল এটাই বলা যায় — গানের পথের এক সফল পরিভ্রাজকের পদচারণার ছাপ রয়েছে বইটিতে। ক্বারী আমীর উদ্দিনের গানগুলো আমাদের ভাবায়, ভাবাতে বাধ্য করে। আর এখানটাতেই তাঁর প্রকৃত সফলতা।
… …
- রবীন্দ্রনাথের দুটি গান : ব্যক্তিগত পাঠ || সুমনকুমার দাশ - May 8, 2020
- লোককবি গিয়াস : কয়েকটি স্মৃতিটুকরো || সুমনকুমার দাশ - January 23, 2020
- কোকা পণ্ডিত ও তাঁর ‘বৃহৎ ইন্দ্রজাল’ || সুমনকুমার দাশ - January 8, 2020
COMMENTS