অনেকদিন ধইরা একটা ম্যুভি নিয়া লিখতে চাইতেছিলাম। মনে মনে কত ম্যুভি নিয়া ভাবি। এইটা নিয়া এই লিখি, এইটা নিয়া এই। লেখা হইতেছিল না। লেখা হইতেছে না মোটেও। ভিতরে ভিতরে কতকিছু টাইপ করতেছি। একটা সকাল একটা দুপুর একটা বিকাল এইসব নিয়া ভাবতে ভাবতে; নিজের ভিতর টাইপ করতে করতে পার করতেছি কত …
আপনে ‘লিপ-ইয়ার’ (Leap Year) দেখছেন? অ্যামি অ্যাডামস আর ম্যাথিউ গ্যুডরে প্রেম করতে দেখা যায় এইখানে। তাইলে লেখার কী আছে? এই প্রেমটা কীভাবে হইয়া ওঠে; কীভাবে একটা জার্নি আপনার চিন্তা থেইকা বড় এক পৃথিবীর লগে হাসাইতে হাসাইতে আর কাঁদাইতে কাঁদাইতে পরিচয় করাইয়া দিতে পারে; কী কইরা একটা সময় আপনার মনে হইব – এতদিন আপনে যে-ছায়াটারে আপনার ভাবতেছিলেন – সেইটা আপনি না হয়তো; তার লগে আরেকটা ছায়া ছিল; আরো অবস্কিউর; আরো সফিস্টিকেটেড; আরো অ্যাডোরেবল – এইরকম একটা কন্টিনিউয়্যিটি এই ছবিটাতে দেখা যায়। এইটাই লেখার।
আমেরিকান এক স্টেইজারের সাথে আইরিশ এক ইনকিপারের প্রেম। একটা জার্নি – ডিঙ্গল টু ডাব্লিন; “ডাব্লিন – আ সিটি অব চান্সেস অ্যান্ড চিটস্ অ্যান্ড ব্যাক্সট্যাবস্ অ্যান্ড স্নিক্স; আ সিটি হোয়ার ওর্স্ট অব হিউম্যানিটি কালেক্টস দ্য পয়জন টু দিস ফেয়ার সিটি (ডিঙ্গল)”। আর এই জার্নির ভিতর একটা অপরিচয় একটা প্রেম হইয়া ওঠে। দুইটা কালচার, দুইটা ভাষা, দুইটা মহাদেশ একের ভিতর অন্যে হারাইয়া যাইতে চায়। কাজেই এই জার্নি আপনারে টানবে। আপনে কোনখানে? সংসারে? প্রতিদিনকার রাস্তায়? ভুল হিসাবের পরে বোকার মতো দেখতেছেন রাস্তার পাশে আরো একটা বিল্ডিং বড় হইয়া উঠতেছে? কারো উৎসবে বিরক্তিকর হল্লা হইয়া বাজতেছেন কোনোখানে?
আইরিশ মিথ আর ব্লাইন্ড বিলিফগুলা এই জার্নির ভিতর আপনারে হাসাইব। আপনি দেখবেন আইরিশ হস্পিটালিটি, আইরিশ ফুড প্রসেসিং, আইরিশ উইট আর আইরিশ বেহেস্তি মিউজিক। পশ্চিমা এই ছবিটাতে আপনে এশিয়ান প্রেমের রেজোনেন্স পাইবেন। ছুঁইতে পারতেছেন না আর আপনের ভিতরটা যন্ত্রণায় পুইড়া যাইতেছে টাইপের!
অ্যানিওয়ে, অ্যামি অ্যাডামস এইখানে অসাধারণ। প্রফেশনালি খুবই সাক্সেসফ্যুল একটা মেয়ে যে জাইগা জাইগা স্বপ্ন দেখে। ছোটখাটো স্বপ্ন। বিয়া করতে হইব; একটা ঘর হইব; জামাইর লগে ঘুরতে বাইর হইব; এরপর হয়তো সেলফি তুইলা আপলোড দিবো কোনো সোশাল হল্লায়। তার সুখ দেইখা দুঃখী বান্ধবীরা কইব – ঢং! স্বপ্ন ছোট হইলেও অ্যামিরে এর পিছে ছুটতে দেখা যায় নাবালিকার মতো। এই ইনোসেন্সটাই ছবিটাতে আটকাইয়া রাখব আপনারে। সারাদিন এত এত কেওস আর টাফ ক্রেডলিং-এর পরে, এত মুখোশ আর মুখ রক্ষার ক্লান্তি আর ভীতির পরে – আপনে যারে অবিরত উধাও কইরা দিতেছেন
COMMENTS