সহমর্মিতা মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ। সহমর্মবোধ রয়েছে বলিয়াই মানুষ এত শৌর্যশালী। কিন্তু জনপরিমণ্ডলে এখন বর্তমানে এই গুণটাই মিসিং দেখতে পাই সর্বত্র।
দুনিয়ার বেবাক মানুষ লইয়াই আমার কৌতূহল বেজায়। এইজন্যই তো অভিনয় করি। আমার অভিনয়ের যা-কিছু ভালো অথবা খারাপ বা সাফল্য অথবা ব্যর্থতা তার পেছনে মূল ভূমিকা মানুষের প্রতি অদম্য এই কৌতূহল। তোমাকে দেখে যাই আমি, তোমার মতো হলে কেমন হতো ঘটনাটা তা আমি আমার অভিনয়ে ফোটাই।
নিজের কাপড়চোপড় নিজে ইস্ত্রি করলে তো কুঁচকানোর আশঙ্কা থাকে না। নিজের বুঝমতো চলেন, দেখবেন বখে যাবার ভয় কেটে গেছে।
ব্যস্ত একটা লাইফ কাটাই আমি। এমন মানুষ আপনার চারপাশে কমই পাবেন যার আছে একটা ক্যারিয়ার, আবার চার-চারটে সন্তান এবং সবকিছুর পরেও হপ্তাশেষে হৈহুল্লোড় আর ঘুরে বেড়ানোর বেলায় ক্লান্তি নাই।
জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে তুমি যা বিশ্বাস করো সেই মোতাবেক নিবিষ্ট হও। কাজের সঙ্গে কেবল শরীর নয়, নিজের মনটাকে নিযুক্ত করো এবং অপরের কাছ থেকে কাজ আদায়ের বেলায় তার সেরাটা বার করে নাও।
অনেককিছুই আমি পারি না। যেমন গল্ফ খেলাটা। আমি এই খেলাটা একদমই পছন্দ করি না। মানে, আমি সত্যি বলছি, এই খেলাটা আমার মোটেও পছন্দের নয়, আর আমি সেই কাজগুলোই করি যেইগুলা আমার পছন্দসই। একইসঙ্গে এইটাও সত্যি যে, যা আমি ভালোমতো করতে পারি না তা আমার পছন্দতালিকাতেও থাকে না।
এই পেশায় আপনি যত গভীরলিপ্ত থাকবেন, ততই বিনয়ী হবেন।
ব্যক্তিত্ব স্পষ্ট ধরা পড়ে কারো সঙ্গে পরিচয়লগ্নেই। জিনিশটা আসলে জন্মসূত্রেই নিয়া আসে একটা মানুষ, মনে হয় না বাকি জিন্দেগিতে এর খুব বেশি চেইঞ্জ হয়।
কাউরে ভালোবাসতে গিয়া আপনি কি কৌশলী হতে পারেন? কৌশল নির্ধারণ করে প্রেম করা, ভাবা যায়? প্রেমে কোনো পূর্বনির্ধারিত কৌশল কাজ করে না। কারণ হচ্ছে, প্রেম-ভালোবাসা ব্যাপারগুলা এমন যে এইগুলা আগে থেকে প্রেডিক্ট করা যায় না।
আপনি যা করছিলেন তা করতে থাকেন, করা ছাড়বেন না, হাল ছেড়ে না দেয়াটাই হচ্ছে কথা। আমি এই শিক্ষাটা আমার হাজব্যান্ডের কাছে থেকে পেয়েছি; সে শুধু বলে যে, সারাক্ষণ এই একটা কথাই বলে, ছেড়ো না, চালায়া যাও। বলে, শুরু থেকে শুরু করো দরকার হলে।
মাতৃত্ব ব্যাপারটার রয়েছে মানবায়নের একটা সাংঘাতিক তাৎপর্যপূর্ণ দিক। সবকিছুই সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় ও সন্তানের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয়, এই চিন্তাটা মাতৃত্বকালেই বিকশিত হয় একটা মানুষের ভিতরে।
নিজের বাইরের ভিন্ন কেউ হয়ে ওঠা বা হাততালিযোগ্য অন্যরকম হয়ে ওঠার ব্যাপার নয় অভিনয়। এইটা হচ্ছে নিজের সঙ্গে অপরের ফারাকটা কোথায় তা স্পষ্ট করা, আত্ম-অনাত্ম সম্পর্কটা আরও স্পষ্ট করা, ফাইন্যালি নিজেকে সেইখানে রেখে একটা আদলে ব্যাপারটা বোধগম্যরূপে সবার সামনে প্রতিভাত করা।
আমি জীবনটা আগাগোড়া অনুভব করতে চাই যেহেতু জীবনেই আছি।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- শৈলিন উডলির কথাগুলি (৭) - August 11, 2019
- কেইটের কথাবাত্রা (১০) - July 25, 2019
- টিল্ডা টোল্ড (২) - May 12, 2019
COMMENTS