মেরিলের মুখবাণী (৫)

মেরিলের মুখবাণী (৫)

শরীরের ওজন বাড়ছে বা কমছে, সেটা যা-ই হোক, এইসব নিয়া খামাখা ভেবে বেশি টাইম কিল কোরো না। শারীরিক দেখনদারি নিয়া ভাবা দরকার আছে, বেশি ভাবার দরকার নাই। ফিজিক্যাল বিউটি নিয়া বেশি ভাবা মানেই হচ্ছে জীবনের আরও বহু মজা থেকে বঞ্চিত হওয়া। আজকাল লোকে বডি নিয়া ভাবনায় এত সময় কিল করে যে এরচেয়ে বিরক্তিকর, এরচেয়ে বোকাসোকা, এরচেয়ে আত্মধ্বংসী কিছু হতেই পারে না।

মিডলইস্ট সম্পর্কে তেমন কিছুই, বিশ্বাস করুন, জানি না আমি। কিন্তু তবু অভিনয় পেশায় থাকার সুবাদে এমন অনেক অজানা কালচারের অচেনা মানুষের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে আমাকে। একটা জিনিশই খেয়াল করেছি আমি যে গোড়ায় আমরা সবাই এক; এবং প্রত্যেকটা কালচারেই মানবতা ব্যাপারটা থাকে, বেড়ায় ঘুরে সে এক কালচার থেকে আরেক কালচারে, এবং দিনশেষে এই কথাটা তো মানবেন যে অ্যাফ্রিকা থেকেই আমাদের সবার শুরু ও ছড়িয়ে পড়া আল্লার দুনিয়ায়।

নিজেরে কেমন দেখাইতেসে পর্দায় বা বাস্তবে, চেহারাছিরি ঠিকঠাক লাগতেসে কি না, এসব নিয়া মাথাঘামানি আমি দিনের শুরুতেই ঝেড়ে ফেলতে পেরেছিলাম বলে এখন আমার মনে হয় নিজের স্বাধীনতা স্বাধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে এইটাই ছিল আমার সেরা পদক্ষেপ। সবাই কিন্তু মুখের ছাঁদছিরি নিয়াই মাথা ঘামায়। জীবনের শুরুতেই নিজের দেখনদারি নিয়া মাথাঘামানি উদ্বেগ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছিলাম আমি।

স্টুডিয়োয় বা নানান অ্যাজেন্সিতে এমনকি পারিবারিক পরিসরেও যদি দেখা যায় একটা সিদ্ধান্ত নিতে যেয়ে কেবল পুরুষরাই নিচ্ছে, অন্তত অর্ধেক সিদ্ধান্তনির্মাতা নারী নন, তাইলে বুঝতে হবে একটাকিছু বড় গড়বড় রয়ে গেল। মনে রাখবেন যে আমাদের, মানে নারীদের, রুচিবোধ বলুন বা আমাদের মূল্যায়ন পুরুষদের চেয়ে ভিন্ন। বলছি না ভালো, বলছি না উন্নত, বলছি ভিন্ন। সম্পূর্ণ ভিন্ন।

মানুষ হিশেবে আমি যতটুকু যা বা যেমন, আমার কাজকামগুলাও যেন হয় তা বা ঠিক তেমন। কথা না, আমার কাজ দেখেন। কথায় না, আমার কাজগুলাতেই আমি।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you