থ্রিলারের প্রতি সৃজিতের বিশেষ একটা আকর্ষণ দেখা যায় সবসময়। তবে ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘X=প্রেম’-এর পর ‘কিলবিল সোসাইটি’ দেখে বলাই যায়, প্রেমের ছবিই সৃজিত মুখার্জির সিগ্নেচার।
ছবিতে দেখা যায়, খুনিকে নিজের মৃত্যুর কন্ট্রাক্ট দেয় পূর্ণা আইচ (কৌশানী মুখোপাধ্যায়), সে সামাজিক মাধ্যমের এক তারকা। নিজের নিত্যদিনের হাসিকান্না ক্যামেরায় ক্যাপচার করে, গানের দুইয়েক কল্লি গেয়ে ভার্চুয়াল জগতে শেয়ার করে লাইক-লাভ কুড়ায়, সামাজিক মাধ্যমের ফ্যানবেইস ফলোয়ারসংখ্যার জোয়ারে এবং জোরে এমনকি সিনেমায় সুযোগ পায়, পুরস্কারও পায়।
তার এই রাতারাতি সাফল্য বয়ফ্রেন্ডের সন্দেহ জাগায়। শাস্ত্রীয় সংগীত শিক্ষাপ্রাপ্ত বয়ফ্রেন্ড তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে পূর্ণার সহসা সাফল্যে, সে ধরেই নেয় চিরাচরিত শয্যাসঙ্গ করেই পূর্ণা চড়েছে এতটা সাফল্যের সিঁড়ি।
এমন সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সারদের সাধারণত সমাজ নির্গুণ, বোকাসোকা হিসেবেও ধরে নেয়। মেয়েরা তো না-হয় ‘শয্যাসঙ্গিনী হয়ে’ কাজ পায়, তবে পুরুষ ইনফ্লুয়েন্সারদের সাফল্য নিয়ে অবশ্য সমাজের তেমন মাথাব্যথা নাই।
সৃজিতের সিনেমা যেমন হয়, যেমন হয়েছিল ‘হেমলক সোসাইটি’ ইত্যাদি, এই সিনেমাও সেই মার্ক বজায় রেখেছে। যেমন মনোরঞ্জন করে, তেমন ভাবায়ও। পরমের অভিনয় ভালো, বরাবরের মতো, কৌশানীও মন্দ করেন নাই। এক দশকেরও অধিক কাল আগে ‘হেমলক সোসাইটি’ দেখে যারা ভালো বলেছিলেন, এই ছবিটি দেখেও অনুরূপ ফিল করবেন।
ম্যুভিডেস্ক, গানপার
- অক্টোবর নয় || তুহিন কান্তি দাস - October 9, 2025
- মায়ের চরণে মেমোয়ার - October 7, 2025
- সাধুসঙ্গ ও সাধনসংগীত || বিমান তালুকদার - October 3, 2025
COMMENTS