ভারত বা বলিউড তার রাজনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সফল। এই মেশিনে তারা সবই ফেলতে পারে। এবং গল্প তৈরি করে কনজ্যুমারিজম চালু রাখে।
পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে যেই মকারি তারা করে, সেইটা নেহায়েতই হাস্যরস।
আন্ডারওয়ার্ল্ডকে নিয়েও যেই সিনেমা ওরা বানায়, সেইটাও করুণরসের মধ্যবিত্তীয় ড্রামা। সিনেমা হিসেবে ঠিক।
কিন্তু এইটাকে ফলো করে অন্যদেশের অন্য ইন্ডাস্ট্রি যখন সিরিয়াস ট্রিটমেন্ট হিসেবে অ্যাডাপ্টেশন করে, তখন সেইটা সমস্যার।
আগে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত তৈরি করে তারপর সেইটার কমেডিকরণ, এইটা ভারতের রাস্তা।
বাংলাদেশে তার আগেই হাস্যরস করে ফেললে সেইটা ইভেন প্রতিবাদ হিসেবেও দাঁড়ায় না।
কারণ ক্যাশ করে ফেলার পরিণতিতে যখন পড়ে এইসব বিনোদন ঘরানা কিন্তু সিরিয়াস-সিরিয়াস-টাইপ অ্যাপ্রোচ, তখন বলে দিতে হয় যে, সমস্যার জায়গাটা কোনখানে।
হয় সিরিয়াস ভঙ্গি ভেঙে স্ট্রেইট করতে হবে, নাহলে বাদ দিতে হবে। সিরিয়াস ভঙ্গির মধ্যেও যদি কেউ করে, তাহলে আড়াল আবডালের আর্ট-অ্যাপ্রোচ ও তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব তো রইলই। ‘সময়’ যেহেতু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট এইসব বিষয়ে। আর “কখন কোনটা দেখাইতে হবে” — এই লাইনে হাঁটলে তা সমূহ ক্ষতির। লং রানে সেইটাই হয়।
ফ্যাসিবাদের টাইমে অর্থাৎ চালু একটা প্রতিবাদমুখর টাইমে যে-কোনোকিছু প্রদর্শন করার রাজনীতি এবং পরিণতি দুইটাই বোঝার দরকার আছে।
নাইলে যা জানা-ই আছে, তার প্রদর্শনমূলক প্রতিবাদের নতুন মিনিংটাই বা কী? সময়ের চিত্রায়ণ? ফুঁ!
সমাজ নির্মাণে বদ্ধপরিকর হইলে ক্ষমতা ও তার সমালোচনা করা এবং প্রতিবাদে মুখর হওয়াকে ‘কাজ’-এ রূপান্তর করা নিশ্চয়ই ভালো কিন্তু আর্টে আরেকটু এগিয়ে থেকে কাজটা করা লাগে। সামগ্রিক হিসাবটা রাখতে হয়। আফটার-ইফেক্টের মধ্যে শুধু নিরাপত্তাবোধের অভাবটিকে মাথায় রেখে কার্যসমাধার ভান করলে তা ভয়ঙ্কর রূপ পরিগ্রহ করে।
ক্ষমতার বিন্যাস তো ধরা খায়ই সাথে ‘আমলাতান্ত্রিক গণতন্ত্র’ সুসংহত হয় আর ‘জনতার আদালত’ হয় নাজুক থেকে নাজুকতর।
- ২৪/০৪/২০২৩
- জীবনের ঋতুসমুদয় || শিলামনি - July 20, 2025
- কেইটের কামাই - July 12, 2025
- অন্যদিন সিনেমাটি || তুহিন কান্তি দাস - July 12, 2025
COMMENTS