এক আগুনমুখা ফড়িং || কাজল দাস

এক আগুনমুখা ফড়িং || কাজল দাস

শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই রোনালদো শিশুর মতো কাঁদতে কাঁদতে টানেল ধরে বেরিয়ে গেছে।
হোয়াই?
সে তার সতীর্থদের সান্ত্বনা দিতে মাঠে দাঁড়ায়নি এক মুহূর্তের জন্যও। বিজয়ী দলের মুহুর্মুহু করতালি শোনার ইচ্ছাটাও তার নাই।
হোয়াই?
কারণ রোনালদো জানে মাঠে তার করণীয়টা কী।
সে তার পুরো খেলোয়াড়ি জীবনে এটাই করতে চেয়েছে।
এবং করেছে।
কিন্ত আজ সে পারেনি।
তার আর সেই সুযোগটাও নাই।
তার কাজ সান্ত্বনা দেয়া না। দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দলকে জেতানো।
দিস ইজ দ্য স্পিরিট।
দিস ইজ রোনালদো।
দ্যাটস ইট।

পেলে-ম্যারাডোনাদের মতো তার বাপদাদার কোনো লিগ্যাসি ছিল না। সেই এক ইউসেবিও। আর নিদেনপক্ষে ফিগো। আর কে?

লিওনেল মেসি না-আসলেও আর্জেন্টিনার কিছু কমত না বা নেইমার না-আসলেও ব্রাজিলের কিছু যায় আসত না। কিন্তু রোনালদো? সে একটা দিকপাল। সে যুগশ্রেষ্ঠ। সে-ই তার নিজের নির্মাতা। আয়নায় দাঁড়ানো রোনালদোর ছায়া কেবল সে নিজেই। তার হাতে কেউ ঐতিহাসিক বা কিংবদন্তির ব্যাটন দিয়ে যায়নি। সে একটা অক্ষয় বট। একটা সাহসী শার্দুল। একটা আগুনমুখা ফড়িং। পর্তুগালের মাদেইরার কিশোর রোনালদো একটা জেনারেশনের স্রষ্টা।

পর্তুগালের ইতিহাসের এক অনন্য যাত্রা তার হাত দিয়ে শুরু।

ইউ শ্যুড হ্যাভ সাম রেস্পেক্ট ফর দিস ওয়াইল্ডার অ্যান্ড ওয়ান্ডার কিড!


কাজল দাস রচনারাশি

COMMENTS

error: