রিপ্পিকে মনে পড়ে || মোখলেছুর রহমান সজল

রিপ্পিকে মনে পড়ে || মোখলেছুর রহমান সজল

২০০১-এর কোনো-এক সময় ম্যাগাজিন-অনুষ্ঠান ‘শুভেচ্ছা’, ‘আজকাল’ অথবা ‘ইত্যাদি’-তে একটা গান শুনে খুব মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গানটা এক-শোনাতেই মাথার ভেতর সেই-যে ঢুকে গেল আর বের হতে চাইল না। আমি কখনোই ঐ গানটাকে মাথার ভেতর থেকে বের করতে পারিনি আসলে। মাঝের অনেক বছর ভুলে ছিলাম হয়তো, কিন্তু হারিয়ে ফেলিনি। তার গানের ভাষায় বলতে গেলে তারই কণ্ঠ ভেসে ওঠে :

ও আকাশ তুমি কি তাকে দেখেছ
যে তোমার কাছ থেকে উদার হতে শিখেছিল
ও সাগর তুমি কি তাকে দেখেছ
যে তোমার নীল ছুঁয়ে ভালোবাসতে শিখেছিল

তার কাছে পৌঁছে দিও আমার যত স্বপন
সে আমার হারিয়ে-যাওয়া খুব কাছের একজন

Rippys Album

কিছু মানুষকে আমি কখনো দেখিনি। কিন্তু তাদের শূন্যতা আমাকে খুব বেশি তাড়িত করে। সেই নামগুলো বুকের গভীরে হাহাকার নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ক্রমাগত দাগ কেটে যায়। হ্যাপি আখন্দ, নিলয়দা এবং সঞ্জীবদাকে মিস্ করি খুব।

রিপ্পি হয়তো সেই সারিতে নিজেকে দাঁড় করিয়ে রাখতে পারে তেমন সৃষ্টিশীল কাজ রেখে যেতে পারেননি। তবুও রিপ্পিকে মনে পড়ে। রিপ্পিকে মনে পড়ে আড্ডাতে অবসরে।

নিয়তির কী এক নির্মম পরিহাস, গীতিকার কবির বকুল রিপ্পির মৃত্যুর আগেই লিখেছিলেন “রিপ্পিকে মনে পড়ে / আড্ডাতে অবসরে” এবং সেই কথামালা রিপ্পির কণ্ঠেই গান হয়ে উঠেছিল! কী নিষ্ঠুর কিছু সময়! কী নির্মম সেই বাস্তবতা!

ও পাখি তুমি কি তাকে দেখেছ
যে তোমার সুর শুনে সুখের অর্থ খুঁজেছিল
তার কাছে পৌঁছে দিও আমার যত স্বপন
সে আমার হারিয়ে-যাওয়া খুব কাছের একজন

ও ফুল তুমি কি তাকে দেখেছ
যে তোমার সুবাস নিয়ে হৃদয় পূর্ণ করেছিল
তার কাছে পৌঁছে দিও আমার যত স্বপন
সে আমার হারিয়ে-যাওয়া খুব কাছের একজন

(লিরিক : জামীউর রহমান রনিম)

রচনার সঙ্গে ব্যবহৃত অ্যালবামদ্বয়ের ফোটোগ্র্যাফ রচয়িতার সৌজন্যে প্রাপ্ত

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you