রিপন মিয়ার জীবন ও সাহিত্য || কাজল দাস

রিপন মিয়ার জীবন ও সাহিত্য || কাজল দাস

শেয়ার করুন:

‘আই অম রিপন ভিডিও’ হলো ফেসবুকের একমাত্র জেনুইন সাবঅল্টার্ন। তারে আপনারা ডিজিটাল সাবঅল্টার্নও বলতে পারেন।

কথায় শুদ্ধতা নেই, ইংরেজিতে ভালো উচ্চারণ নেই, দেখতে গেঁয়ো, পোশাকেআশাকে একদম বিউকোলিক, চালচলনে কোনো মেকি ভাব নেই। একদন আনপলিশড সোশ্যাল জেমস্।

তার মনোবলে দৃঢ়তা আছে আবার চরিত্রে সততা আছে। সবচেয়ে বড় যে জিনিস আছে সেটা হলো স্বজাতির (তার আশপাশের সবাই) প্রতি মমমত্ববোধ এবং দায়িয়্ববোধ।

সে একদিন অবলীলায় বলতেছে, আমারে একজন ঢাকায় যাবার কথা বলছে কিন্ত একজনের ঘরের যোগালির কাজ রাইখা যাইবার পারবাম না। আরেকদিন নেপাল থেকে এসে বলতেছে, “নেপাল থেকে ঘুইরা আইয়া হারি কাজে আইয়া পরছি। আরেকজনের ঘর তুফানে ভাইঙ্গা পরছে এইটা তাড়াতাড়ি কইরা ঠিক করন লাগবো।”

অনলাইনের প্রতারক সেলিব্রেটিদের ভিড়ে রিপনের দায়িত্বশীল আচরণ আমাদের সবার জন্যই একটা স্ট্যান্ডার্ড। তার আরেকটা বিষয় খুব চমৎকার, সেটা হলো : পরিমিতিবোধ। অনেক সাক্ষাৎকারে দেখেছি আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে হতাশা নাই। অপ্রাপ্তিও নাই।

সোশ্যাল মিডিয়ার তঞ্চকদের ভিড়ে রিপন মিয়া আসলেই কদর্যতামুক্ত এক সতেজ তরুণ। শুনলাম তার বাড়িতে গিয়ে সম্প্রতি কিছু লোক তাকে ও তার পরিবারকে হেনস্থা করে এসেছে। সম্ভবত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশন সংক্রান্ত কোনো ক্যাচাল হইতে পারে। অতিসম্প্রতি রিপন মিয়াকে কিছু প্রমোশনাল কাজেও দেখা গেছে।

যা-ই হোক, রিপন মিয়ার উপরে হেনস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সে তার মতো সরল সরল বাক্যের কবিতা আর সংলাপ দিয়ে আমাদের মুগ্ধ রাখুক।

সে তার মতো সহজ সরল থাকুক।

১৩ অক্টোবর ২০২৫


কাজল দাস রচনারাশি

শেয়ার করুন:

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you