আরএফএল-এর একটা শোরুমে গেলাম ইনফ্রারেড চুলা কিনতে। সেলসম্যান ছেলেটার বয়স আঠারো বিশ হবে। চুলার বিভিন্ন ফাংশন দেখাচ্ছিল। হঠাৎই সে বলল, জানেন সমরেশ মজুমদার মারা গেছেন।
ছেলেটাকে চিনি না। ওই দোকানেও এর আগে কোনোদিন যাইনি। সমরেশ মজুমদারের লেখা কোনো এক কালে ছাড়া ছাড়া পড়েছি। পত্রিকায় বা ফেসবুকে তার মরার খবর পড়লে বিশেষ ভাবান্তর আমার হতো বলে মনে হয় না। কিন্তু এই অচেনা এক তরুণের মুখ থেকে অযাচিতভাবে এই সংবাদ পেয়ে মনের মধ্যে হাল্কা শোকের অনুভূতি হলো। সমরেশবাবুর মৃত্যুই এর কারণ — এমনটা নয়। বরং ভাবছিলাম ওই তরুণের কথা। হয়তো কালবেলা বা গর্ভধারিণীর মায়াজালে আটকে থেকে থেকে নিজের এই বিবর্ণ জীবনটাকে সহ্য করতে শিখেছে।
নিজেকে নিয়েও একটা শান্ত বিষাদের পরিস্থিতি তৈরি হলো। সমরেশবাবুর বানানো জগতে আনাগোনা না করায়, তার মৃত্যু এই চুলা-বেচা সেলসম্যানকে কতখানি নাড়া দেবে, তা-ও হয়তো ধরতে পারব না।
দিনশেষে সবই সাহিত্য, তবুও কত যোগাযোগহীন!
- লোককবি তাজউদ্দিন ও তাঁর গান || জফির সেতু - November 25, 2025
- শাহজালাল শাহপরান গ্রামবাঙলায় গাজির গান || তুহিন কান্তি দাস - November 22, 2025
- আমাদের গ্রামের নাম আমাদের নদীর || কাজল দাস - November 19, 2025

COMMENTS